বাংলাদেশের বর্তমান সরকার প্রবাসীবান্ধব
বাংলাদেশের বর্তমান সরকার প্রবাসীবান্ধব সরকার। প্রবাসীদের সুবিধার্থে সরকার একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বছর অভিবাসী দিবস উপলক্ষে শুধু প্রবাসী কর্মীদের জন্য জীবনবিমা পলিসি উদ্বোধন করেছেন।
মরিশাসের রাজধানী পোর্ট লুইসে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ তাঁর বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) দেশটিতে গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) যৌথভাবে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদ্যাপন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল এবং অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রিজ ও ফুড সিকিউরিটি–বিষয়ক মন্ত্রী মানিশ গোবিন। তিনি বলেন, ‘মরিশাসের আমরা সবাই অভিবাসী কর্মী।’ তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বায়নের এই সময়ে অভিবাসন অপরিহার্য। কারণ দক্ষতা, মেধা ও শ্রম বিনিময় একান্ত প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, অভিবাসন হলো অংশীদারত্ব। এই অংশীদারত্বে প্রেরণকারী দেশ ও গ্রহণকারী দেশ, সিভিল সোসাইটি, ট্রেড ইউনিয়নের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণে তাঁদের সরকারের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
আইওএমের হেড অব অফিস মিস সেলিন লেমেল বলেন, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল অভিবাসন নিশ্চিতকরণে আইওএম সব সময় সরকার, ব্যবসায়ী ও প্রবাসে যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের সহযোগিতা করে আসছে। তিনি নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ ও মরিশাস সরকারের ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ প্রবাসী কর্মীদের জন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড প্রদত্ত নানাবিধ সুবিধাদির কথা তুলে ধরে তিনি প্রবাসীদের বৈধপথে অর্থ প্রেরণ করার জন্য আহ্বান জানান। বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধকরণে বাংলাদেশ সরকার ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা হিসেবে প্রদান করছে। তিনি বলেন, বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণ করলে সব পক্ষই লাভবান হবে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশটির বিভিন্ন শিল্পকারখানায় কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। নাচ, গান ও নাটকের পরিবেশনায় সবাই মোহিত হয়ে যান।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবের বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। পরে আইওএম কর্তৃক নির্মিত বাংলাদেশের ওপর বৈধ অভিবাসনবিষয়ক তথ্যচিত্র প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পারমান্যান্ট সেক্রেটারি, যুক্তরাষ্ট্র ও ঘানার হেড অব মিশন, ভারত, চীন ও জাপানের ডিপ্লোমেটিক কোরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি