নমপেনে প্রবাসীদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ছবি: লেখকের মাধ্যমে প্রাপ্ত
প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ছবি: লেখকের মাধ্যমে প্রাপ্ত

কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রবাসীরা। গত রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তাঁরা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে জাতীয় সংসদের এই প্রতিনিধিদল ওই দিনই সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় সফরে নমপেনে পৌঁছান।

প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি। সদস্যরা হলেন সাংসদ গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, সাংসদ আবদুল মজিদ খান ও সাংসদ নাহিম রাজ্জাক।

সৌজন্য সাক্ষাতের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কম্বোডিয়ায় অনাবাসিক ও থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল কাউনাইন, ব্যাংকের বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি নাজমুল হক ও তাঁদের অন্য সফরসঙ্গীরা।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ছবি: লেখকের মাধ্যমে প্রাপ্ত
প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ছবি: লেখকের মাধ্যমে প্রাপ্ত

এই সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে নমপেনে কর্মরত বাংলাদেশিদের দারুণ উপভোগ্য একটি সন্ধ্যা কেটেছে তা বলাই বাহুল্য। অতিথিরা হৃদয়ের টানে তাদের মূল সফরসূচি শুরু করার আগে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করলে স্থানীয় সানওয়ে হোটেলে এই নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।

সফরের ক্লান্তি উপেক্ষা করে অতিথিরা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি আসেন সানওয়ে হোটেলে। নৈশভোজের পাশাপাশি আলোচনা হয় নানা বিষয়ে। প্রতিনিধিদলের নেতা সবার সঙ্গে কুশলবিনিময়ের পর তাদের সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রবাসীদের জ্ঞাত করেন। এ ছাড়া দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশিদের কোনো অসুবিধা আছে কি না, কর্মপরিবেশ কেমন, বাংলাদেশের জন্য এখানে কেমন ব্যবসায়িক সম্ভাবনা আছে ইত্যাদি জানতে চান।

আলোচনা হয় কম্বোডিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাস স্থাপন ও ঢাকায় এ দেশের দূতাবাস স্থাপনের সম্ভাবনার কথা নিয়ে।

এ ছাড়া বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদলকে জানানো হয়, ইদানীং কিছু আদম ব্যাপারী বাংলাদেশিদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এ দেশে এনে বিপদে ফেলে গা ঢাকা দিচ্ছে। বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে দেখার পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।