বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বিজয় পূর্ণতা পায়

ছবি ৫ বক্তব্য দিচ্ছেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত (ছবিতে বাঁয়ে)। কেক কেটে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের ক্ষণগণনার উদ্বোধন (ছবিতে ডানে ওপরে) ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ (ছবিতে ডানে নিচে)। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, কোপেনহেগেন
ছবি ৫ বক্তব্য দিচ্ছেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত (ছবিতে বাঁয়ে)। কেক কেটে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের ক্ষণগণনার উদ্বোধন (ছবিতে ডানে ওপরে) ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ (ছবিতে ডানে নিচে)। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, কোপেনহেগেন

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পদার্পণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির দীর্ঘদিনের লালিত স্বাধীনতার স্বপ্ন পূর্ণতা পায়। ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের ক্ষণগণনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত এ মন্তব্য করেন।

গতকাল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দূতাবাস মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন স্বাধিকার আন্দোলনে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ ছাড়া পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়।

রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের কর্মকর্তা ও প্রবাসীদের নিয়ে কেক কেটে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের ক্ষণগণনার উদ্বোধন করেন। পরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি যেমন—দূতাবাসের নিজস্ব ভবনে জাতির পিতার আবক্ষমূর্তি ও একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপন, বঙ্গবন্ধুর জীবনীনির্ভর চলচিত্র ও চিত্র প্রদর্শনী, বিশেষ সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ জাতীয় দিবসসমূহে সরব উপস্থিত থেকে কার্যক্রমের সফলতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, বহির্বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়সহ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্নির্মাণে বঙ্গবন্ধুর সত্বর বাংলাদেশে ফিরে আসার অপরিহার্যতা অপরিসীম ছিল।

আবদুল মুহিত আশা প্রকাশ করেন, জাতির পিতার শততম জন্মবার্ষিকীতেই একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়ে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়ে যাবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উন্নত, সমৃদ্ধিশালী ও কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনে সবাইকে অবদান রাখতে আহ্বান জানান।

এর আগে সকালে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। বিজ্ঞপ্তি