টোকিওতে মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা শুরু

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ড. শাহিদা আকতার। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ড. শাহিদা আকতার। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও

জাপানের রাজধানী টোকিওতে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের অগ্রনায়ক ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিব বর্ষ উদ্‌যাপনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে দেশের সঙ্গে মিল রেখে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারের সদস্য, জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও জন্মবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

আলোচকেরা।  ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও
আলোচকেরা। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও

উন্মুক্ত আলোচনায় দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. শাহিদা আকতার বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা চিন্তাও করা যায় না। তাই ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় পূর্ণতা পায়।

শাহিদা আকতার আরও বলেন, পুরো বিশ্বের সঙ্গে একাত্ম হয়ে জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাসও জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপনের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। অনুষ্ঠানগুলো সার্থক ও সফল করার জন্য তিনি জাপানপ্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতা কামনা করেন।

উপস্থিতি।  ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও
উপস্থিতি। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী ও কর্মময় জীবনের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। দূতালয় প্রধান ড. জিয়াউল আবেদিন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। বিজ্ঞপ্তি