বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি জাতি এক অবিচ্ছিন্ন সত্তা

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন হাইকমিশনার মিজানুর রহমান। ছবি: বাংলাদেশ হাইকমিশন, অটোয়া
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন হাইকমিশনার মিজানুর রহমান। ছবি: বাংলাদেশ হাইকমিশন, অটোয়া

একাত্তরে মৃত্যুকে তুচ্ছ করে বঙ্গবন্ধু সমগ্র জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে ওঠেন। বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি জাতি হয়ে ওঠে এক অবিচ্ছিন্ন সত্তা। যে কারণেই তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের সার্থকতার এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত।

কানাডার রাজধানী অটোয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানের ক্ষণগণনা ও ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

অটোয়ায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানের ক্ষণগণনা শুরু ও ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

উন্মুক্ত আলোচনা। ছবি: বাংলাদেশ হাইকমিশন, অটোয়া
উন্মুক্ত আলোচনা। ছবি: বাংলাদেশ হাইকমিশন, অটোয়া

অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন।

হাইকমিশনার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ এই জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।

বাণী পাঠ শেষে উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে মাসুদ সিদ্দিকি, বাহাউদ্দিন শিশির, কবির চৌধুরী, জুলফি সাদিক, অধ্যাপক নিপা ব্যানার্জি, বেগম রাশেদা নেওয়াজ, হাইকমিশনের প্রথম সচিব অপর্ণা রানী পাল, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক প্রমুখ এ দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরেন।

বক্তারা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় বলে উল্লেখ করেন। বিশ্ব জনমতের চাপেই পাকিস্তানি শাসকচক্র তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। আর সেখান থেকে মুক্ত হয়েই তিনি দেশে ফেরেন বিজয়ী জাতির জনক হয়ে।

উন্মুক্ত আলোচনা। ছবি: বাংলাদেশ হাইকমিশন, অটোয়া
উন্মুক্ত আলোচনা। ছবি: বাংলাদেশ হাইকমিশন, অটোয়া

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে ভার্চ্যুয়াল ওয়াচের মাধ্যমে ক্ষণগণনার উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত কমিউনিটির আমন্ত্রিত অতিথিরা উদ্বোধনে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, আসন্ন জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে হাইকমিশন কর্তৃক গৃহীত ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ১৭ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত নানা কর্মসূচির বিষয়ে হাইকমিশনার উপস্থিত সবাইকে অবহিত করেন। আমন্ত্রিত অতিথিরা এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলেও আশ্বাস প্রদান করেন।

এ ছাড়া কমিউনিটির নেতারা জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কমিউনিটির পক্ষ থেকে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে হাইকমিশনারকে অবহিত করেন। বিজ্ঞপ্তি