জেনেভায় মুজিব শতবর্ষের ক্ষণগণনা উপলক্ষে স্মারকসভা

স্মারকসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মো. শামীম আহসান। ছবি: বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, জেনেভা
স্মারকসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মো. শামীম আহসান। ছবি: বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, জেনেভা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিব শতবর্ষের ক্ষণগণনা উপলক্ষে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও দূতাবাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্মারকসভা। অনুষ্ঠানে একই সঙ্গে যথাযথ মর্যাদা ও আনন্দময় পরিবেশে তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসও উদ্‌যাপন করা হয়।

গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জেনেভার জাতিসংঘ দপ্তরে স্থায়ী প্রতিনিধি মো. শামীম আহসান।

আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত আহসান তাঁর বক্তব্যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পরই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু বীরের বেশে ফিরে এসেছিলেন তাঁর প্রিয় স্বদেশে। আর এবারে এই ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারিকে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিব শতবর্ষের ক্ষণগণনার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সবাইকে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বছরব্যাপী জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মিশন কর্তৃক পরিকল্পিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্পর্কে অবহিত করেন এবং এসব অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।

উপস্থিতির একাংশ। ছবি: বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, জেনেভা
উপস্থিতির একাংশ। ছবি: বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, জেনেভা

সভা শেষে রাষ্ট্রদূত আহসান জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিব শতবর্ষের ক্ষণগণনা উপলক্ষে প্রকাশিত শতবর্ষের প্রতীক্ষা প্রকাশনাটি সংশ্লিষ্ট সবার দেখার জন্য স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু কর্নারে রাখেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিব শতবর্ষের ক্ষণগণনা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এ ছাড়া মুজিব শতবর্ষের ওপর নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি