নেদারল্যান্ডসে মুজিব শতবর্ষের ক্ষণগণনা শুরু
বর্ণাঢ্য আয়োজনে নেদারল্যান্ডসের বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে মুজিব শতবর্ষের ক্ষণগণনা শুরু ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে দ্য হেগে দূতাবাস মিলনায়তনে গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কর্মব্যস্ত দিনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে এর প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনায় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও আওয়ামী-লীগের হল্যান্ড শাখার নেতারা আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা পর্বে আওয়ামী লীগের হল্যান্ড শাখার নেতাদের মধ্যে এমদাদ হোসেন ও জয়নাল আবেদীন তাঁদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর অকুতোভয় নেতৃত্ব, অপরিসীম আত্মত্যাগ, বিচক্ষণ দূরদৃষ্টি, সাহসিকতা, দেশপ্রেম প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে এর প্রভাব নিয়েও তাঁরা আলোচনা করেন। তাঁরা স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে জাতির জনকের বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বকে স্মরণ করে বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে পরিগণিত হবে।
তিনি মুজিব শতবর্ষ পালনের লক্ষ্যে দূতাবাসে যেসব কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা সবার সামনে তুলে ধরেন।
আলোচনার পর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং মুজিব শতবর্ষের ক্ষণগণনা উপলক্ষে ঢাকা থেকে প্রেরিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মুজিব শতবর্ষের ক্ষণগণনা শুরু করা হয়।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং মুজিব শতবর্ষের ক্ষণগণনা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের সামনে পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রামাণ্যচিত্রটি উপস্থিত সবাইকে ১৯৭২ সালের সেই স্মরণীয় মুহূর্তে ফিরিয়ে নিয়ে যায়, যখন আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ তৎকালীন তেজগাঁওয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সজল চোখে বরণ করেন তাঁদের প্রাণপ্রিয় নেতা ইতিহাসের বরপুত্র বঙ্গবন্ধুকে। বিজ্ঞপ্তি