মিসরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু

আলোচনা সভা। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, কায়রো
আলোচনা সভা। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, কায়রো

মিসরের বাংলাদেশ দূতাবাস আনুষ্ঠানিকভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার সূচনা করেছে। দেশটির রাজধানী কায়রোয় দূতাবাস প্রাঙ্গণে গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ক্ষণগণনার কর্মসূচির সূচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসও উদ্‌যাপন করা হয়।

দূতাবাস মিলনায়তনে দিবসটির তাৎপর্যের ওপর আলোচনায় ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত এ টি এম আবদুর রউফ মণ্ডল বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, দিবসটি পালনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।

আবদুর রউফ মণ্ডল বলেন, আজকের দিন থেকেই জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। যা ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে বর্ষব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদ্‌যাপিত হবে। এ ছাড়া ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপিত হবে। যা বাঙালি জাতির ইতিহাসে অনন্য মাইলফলক।

ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বলেন, কায়রোর বাংলাদেশ দূতাবাসও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান দুটি যথাযোগ্য মর্যাদায় আয়োজন করবে। তিনি মিসরপ্রবাসী বাংলাদেশিদের এই কর্মসূচিগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

আলোচনা সভা। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, কায়রো
আলোচনা সভা। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, কায়রো

আবদুর রউফ মণ্ডল উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির জনকের অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠার জন্য যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

আলোচনার পর জাতির জনকসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় মোনাজাত করা হয়।

কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। এরপর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এ ছাড়া প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি।