প্রবাসীর দুঃখ
প্রবাসীদের দুঃখ-কষ্ট
বুঝতে চায় না কেউ
সবাই শুধু নজর রাখে, উপহার পেলে তুষ্ট।
ভাইবোনদের আড়ি
চাই তো টাকা-কড়ি
জমি বেচে বিদেশ পাঠিয়েছি, ভুলে গেলি আজি?
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে
খানাপিনা নিদ্রাহীনে
সবাই ভালো থাকবে ভেবে, টাকা পাঠাই দেশে।
মাসের শেষে ঘন ঘন
টাকা চেয়ে করবে ফোন
টাকা হাতে পেলে ভুলে যাবে রিমাইন্ড কল।
পায়ের ওপর তুলে পা
চা স্টলে পান করে চা
বুক ফুলিয়ে অর্ডার করবে বিলেত থাকে ভ্রাতা।
দেশমাতা ভগ্নী-ভ্রাতা
ছেড়ে স্বদেশ থাকি একা
হিজরত করলে বুঝতে পারবে, দেশমাতার মর্যাদা।
প্রতিবেশী গরিব যারা
আছে তাদের কিছু চাওয়া
সবার মুখে হাসি দেখতে, নিরন্তর এই পথচলা।
ছুটির দিনে ব্যস্ততা বেশি
বাড়িতে একটু কথা বলি
ভাইবোন চায় মোবাইল, মা বলবে বাবা খেয়েছিস?
আত্মীয় আর প্রতিবেশী
হবে বড়ই অভিমানী
বিদেশ গেলে বুঝি হবে লাখ লাখ আয় বেশি।
বন্ধুবান্ধব আর সহপাঠী
ফোন করলে বেজায় খুশি
কথায় কথায় বলবে, মেয়ে নিয়ে করি আড্ডাবাজি!
বাড়ি করব গাড়ি কিনব
আর করব সাধের বিয়ে
স্বপ্ন সুখের ঘর বাঁধতে, বাড়িতে এনেছি রাঙা টিয়ে।
রাত যখন গভীর হবে
বউয়ের সঙ্গে কথা কবে
মিষ্টি কথায় ভাঙবে না মান, বউ অভিমানী তবে।
বছর যায় বছর আসে
বারে বারে মিথ্যা আশে
অভিমানী রাঙা বউ কেঁদে বলে, এবার তুমি আসবে?
একটু আশা একটু বাঁচি
একটু ভালোবাসার ফাঁকি
উপার্জনের জন্য বিদেশ জীবনটা যে পুরোই মাটি।
---
মো. শামীম হোসেন: লন্ডন, যুক্তরাজ্য।