জাপানের সাইতামায় পৌষ উৎসব

পৌষ উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ। ছবি: সাইতামা বাংলা সোসাইটি
পৌষ উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ। ছবি: সাইতামা বাংলা সোসাইটি

শীতের সকালে চাদর মুড়ি দিয়ে চুলার পাশে বসে নতুন ধানের চালের গুঁড়া ও খেজুরের রসে তৈরি বিভিন্ন মৌসুমি পিঠা-পায়েসের স্বাদ অতুলনীয়। প্রবাসজীবনে এটা আশা করা বাতুলতা।

এই অতৃপ্তি কিঞ্চিৎ লাঘবের প্রয়াস হিসেবে সম্প্রতি জাপানের রাজধানী টোকিওসংলগ্ন সাইতামায় হয়ে গেল পৌষ উৎসব। সাইতামা বাংলা সোসাইটি এই উৎসবের আয়োজন করে।

উৎসবে ছিল ঝাল চন্দ্রপুলি, গজা, মেরা, ভাপা, তেলের পিঠা, ফুলঝুরি, নিমকি, নকশি, শিঙারা, চুঁই পিঠা, চিতল পিঠা, ঝিনুক পিঠা, পাটিসাপটা, বিবিখানা, সিমফুল পিঠা, মাংসের পুলি পিঠা, সুজি রসমঞ্জুরি, নারকেলের পুলি, পাকোড়া, তিলের পুলি, গাজরের পায়েস ইত্যাদি।

এ ছাড়া দুপুরের খাবারের জন্য ছিল চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন টিক্কা ও সালাদ।

পৌষ উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ। ছবি: সাইতামা বাংলা সোসাইটি
পৌষ উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ। ছবি: সাইতামা বাংলা সোসাইটি

আমাদের মা-খালাদের উত্তরাধিকারী হয়ে যাঁরা আমাদের জীবনসঙ্গিনী হয়ে প্রবাসে আছেন, তাঁদের প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে এই পৌষ উৎসব। তাঁরা রাত জেগে পরম মমতা ও আন্তরিক পরিশ্রমে পিঠাপুলি তৈরি করে এই উৎসবকে সার্থক রূপ দিয়েছেন।

দুপুরে সবাই মিলে সংগঠন আয়োজিত খাবার গ্রহণের পর নারীরা তাঁদের তৈরি পিঠাপুলি টেবিলে সাজিয়ে অনুষ্ঠানস্থলকে আকর্ষণীয় ও নয়নাভিরাম করে তোলেন। পরে সমাগত মেহমানদের মধ্যে তাঁরা পিঠাপুলি পরিবেশন ও নিজেরাও সমাগত মেহমানদের সঙ্গে এর স্বাদ আস্বাদন করেন।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে পিঠাপুলি নিয়ে আসা নারীদের সবাইকে সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন উপদেষ্টা নুরুল হক রহমান ও তাপস বড়ুয়া। এ পর্যায়ে সভাপতিত্ব করেন কাউছার হোসাইন। সঞ্চালনা করেন মমিনুল ইসলাম।

অতিথি ও আয়োজকেরা পিঠাপুলির স্বাদ আস্বাদন করছেন। ছবি: সাইতামা বাংলা সোসাইটি
অতিথি ও আয়োজকেরা পিঠাপুলির স্বাদ আস্বাদন করছেন। ছবি: সাইতামা বাংলা সোসাইটি

দ্বিতীয় পর্বে সংগঠনের সদ্য গঠিত কমিটিকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। নতুন সভাপতি মাজহারুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে নতুন কমিটিকে বরণ করেন উপদেষ্টারা।

পুরস্কার বিতরণী। ছবি: সাইতামা বাংলা সোসাইটি
পুরস্কার বিতরণী। ছবি: সাইতামা বাংলা সোসাইটি

বিকেলে নারীরা বিভিন্ন বিনোদনমূলক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিবেক বার্তার সম্পাদক পি আর প্ল্যাসিড, অধ্যাপক খায়রুল বাসার ও সনৎ বড়ুয়া।