বরফের রাজ্য সাস্কাচেওয়ানে সরস্বতীপূজা

পূজা শেষে অঞ্জলি দেন ভক্তরা। ছবি: অমিত উকিল
পূজা শেষে অঞ্জলি দেন ভক্তরা। ছবি: অমিত উকিল

‘জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচ যুগশোভিত মুক্তাহারে, বীণা রঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমোহস্তুতে।’ এই জপ মন্ত্রে দেবী বন্দনায় মেতে উঠেছিলেন কানাডার সাস্কাচেওয়ান প্রদেশের সাস্কাতুনে বসবাসরত হিন্দুধর্মাবলম্বীরা।

বক্তব্য দেন হাইকমিশনার মিজানুর রহমান। ছবি: অমিত উকিল
বক্তব্য দেন হাইকমিশনার মিজানুর রহমান। ছবি: অমিত উকিল

সাস্কাতুনে শ্রীশ্রী সরস্বতী দেবীর পূজা উদ্‌যাপিত হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি। সরস্বতী দেবীর পূজা প্রতিবছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু প্রবাসে মূলত হিন্দুধর্মাবলম্বীদের নিজস্ব মন্দির না থাকায় এখানে তিথি মেনে পূজা করা অনেক সময় সম্ভব হয় না। তাই এবার সাস্কাতুন সর্বজনীন পূজা পরিষদ ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার আয়োজন করে সরস্বতীপূজা।

আবৃত্তি পরিবেশনা। ছবি: অমিত উকিল
আবৃত্তি পরিবেশনা। ছবি: অমিত উকিল

দিনব্যাপী সরস্বতীপূজায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অংশ নেন। সকালে পূজা অর্চনা শেষে বাগ দেবীর চরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন ভক্তরা। এরপর শিশুদের হাতেখড়ি দেওয়া হয়। ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে পূজার প্রথম অংশ শেষ হয়।

সান্ধ্য আরতির মাধ্যমে সরস্বতীপূজার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় সন্ধ্যা ছয়টায়। স্থানীয় শিল্পীরা পরিবেশন করে গান, আবৃত্তি ও নাচ।

নৃত্য পরিবেশনা। ছবি: অমিত উকিল
নৃত্য পরিবেশনা। ছবি: অমিত উকিল

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান উপস্থিত হন। হাইকমিশনার মিজানুর রহমান সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদেশে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানান।

সংগীত পরিবেশনা। ছবি: অমিত উকিল
সংগীত পরিবেশনা। ছবি: অমিত উকিল

সাস্কাতুন সর্বজনীন পূজা পরিষদের সভাপতি প্রশান্ত মণ্ডল সভাপতির বক্তব্যে উপস্থিত সবাইকে সরস্বতীপূজাকে সফল ও আনন্দদায়ক করে তোলার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি এত বড় আয়োজন সফল করার জন্য বর্তমান সময়ের ছাত্রছাত্রীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রশংসা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন।