মানিটোবায় বাংলাদেশের বসন্তের দোলা

বসন্তবরণ অনুষ্ঠানে দেশীয় পোশাকে অংশগ্রহণকারীদের একাংশের ছবি। ছবি: মাসুদ মল্লিক
বসন্তবরণ অনুষ্ঠানে দেশীয় পোশাকে অংশগ্রহণকারীদের একাংশের ছবি। ছবি: মাসুদ মল্লিক

বাংলাদেশের প্রকৃতিতে ছোঁয়া লেগেছে বসন্তের। শীতের পর এসেছে বসন্ত।

কানাডার দিনপঞ্জিতে এখনো প্রবল শীত। প্রদেশভেদে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ১০ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বসন্তবরণ অনুষ্ঠানে দেশীয় পোশাকে অংশগ্রহণকারীদের একাংশের ছবি। ছবি: মাসুদ মল্লিক
বসন্তবরণ অনুষ্ঠানে দেশীয় পোশাকে অংশগ্রহণকারীদের একাংশের ছবি। ছবি: মাসুদ মল্লিক

এ দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মন পড়ে থাকে বাংলাদেশে। দেশের প্রতিটা উৎসব পালন করেন কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশিরা। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও বসন্তবরণ করেছেন মানিটোবাপ্রবাসী বাংলাদেশিরা।

মানিটোবায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই দিনকে বরণ করা হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান।

বসন্তবরণ অনুষ্ঠানে দেশীয় পোশাকে অংশগ্রহণকারীদের একাংশের ছবি। ছবি: মাসুদ মল্লিক
বসন্তবরণ অনুষ্ঠানে দেশীয় পোশাকে অংশগ্রহণকারীদের একাংশের ছবি। ছবি: মাসুদ মল্লিক

শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই ঠান্ডার মধ্যে বাংলাদেশের মতো খোঁপায় ফুল গুঁজে বাইরে ঘুরে বেড়ানো সম্ভব ছিল না। তাই ঘরোয়াভাবে পালন করা হয় এই অনুষ্ঠান।

বসন্তবরণ অনুষ্ঠানে পিঠাপুলি। ছবি: মাসুদ মল্লিক
বসন্তবরণ অনুষ্ঠানে পিঠাপুলি। ছবি: মাসুদ মল্লিক

মানিটোবায় এই ধরনের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। কেউ কেউ নিজের বাসায় পরিচিত বন্ধুবান্ধব নিয়ে করেছেন বসন্ত উৎসব। উৎসবে ছিল পটলাক, যা বাংলাদেশে ওয়ান ডিশ পার্টি নামে পরিচিত।

বসন্তবরণ করতে নারীরা পরেছিলেন লাল-হলুদ শাড়ি ও খোঁপায় ফুল। আর পুরুষেরা পরেছিলেন পাঞ্জাবি। শিশুরা বাহারি রঙের দেশীয় জামা পরে অংশ নেয়।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের পাশাপাশি বাসা থেকে বানিয়ে নিয়ে আসেন ভাপা, চিতই, পাটিসাপটা, পোয়াসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা। বাদ পড়েনি খই–মুড়ি। আয়োজন করা হয় বাংলা গানের অনুষ্ঠানের। কেউ কেউ লুডু খেলেন।

বসন্ত আড্ডা। ছবি: মাসুদ মল্লিক
বসন্ত আড্ডা। ছবি: মাসুদ মল্লিক

অংশগ্রহণকারী সেলিম হায়দার বলেন, ‘আমার মেয়ে কানাডায় জন্মগ্রহণ করেছে। এখন সে কলেজের শেষ পর্যায়ে পড়ছে। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশি সব প্রোগ্রামে অংশ নিই। আমি তাকে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই। আমি চাই তার মাঝেও যেন টিকে থাকে বাংলাদেশি সংস্কৃতি।’