লন্ডনে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিষয়ে আলোচনা

যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিষয়ে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনা করেছে দেশটির বাংলাদেশ হাইকমিশন। গতকাল বুধবার এ বিশেষ আলোচনার আয়োজন করা হয়।

আলোচনায় বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনপ্রক্রিয়া, বিশেষ করে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ নিয়ে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির মধ্যে যেসব প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ ও মতামত ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম জানান, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাংলাদেশি ভাইবোনেরা যাতে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র যুক্তরাজ্য থেকে সহজে পেতে পারেন, সে জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সাইদা মুনা বলেন, দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদসহ জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন সম্পর্কে কমিউনিটির নেতারা যেসব পরামর্শ দিয়েছেন, সেগুলো নির্বাচন কমিশনসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত এবং এসবের দ্রুত সমাধানের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, ‘ইতিমধ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা শিগগিরই দেওয়া হতে পারে।’

হাইকমিশনার যেসব প্রবাসী বাংলাদেশির জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে, তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সব তথ্য হাইকমিশনের নির্দিষ্ট ই–মেইলে <[email protected]> পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, তাঁদের ডিজিটাল জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড তাড়াতাড়ি দেওয়া হবে।

এ ছাড়া যাঁদের তথ্য আগামী ১০ মার্চের মধ্যে আমাদের ই–মেইলে জানানো হবে, তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র মার্চে লন্ডন মিশনে ‘মুজিব শতবর্ষ বিশেষ কনস্যুলার সপ্তাহ’ পালনের সময় দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

হাইকমিশনার আরও বলেন, প্রবাসীরা যাতে জাতীয় পরিচয়পত্র যুক্তরাজ্য থেকেই পেতে পারেন, সে জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় থেকেই নির্বাচন কমিশনে চিঠি লেখাসহ সব ধরনের উদ্যোগ ও পদক্ষেপ সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ও আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে নির্বাচন কমিশনের একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধিদল যুক্তরাজ্যে এসে এখানে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের সম্ভাব্যতা যাচাই করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১২ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যেই প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি