কায়রোয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন

কায়রোয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপন। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, কায়রো
কায়রোয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপন। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, কায়রো

মিসরের রাজধানী কায়রোয় ব্যাপক উৎসাহ–উদ্দীপনায় উদ্‌যাপন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস ও কায়রোর জিনিয়াস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল যৌথভাবে দিবসটি উদ্‌যাপন করে।

অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ভূমিকার ওপর আলোচনা ও ভাষা আন্দোলনের তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ছাড়াও স্কুলের শিক্ষক ও অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুরে স্কুল প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

বক্তব্য দিচ্ছেন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এ টি এম আব্দুর রউফ মণ্ডল। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, কায়রো
বক্তব্য দিচ্ছেন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এ টি এম আব্দুর রউফ মণ্ডল। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, কায়রো

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্কুলের প্রিন্সিপাল মিস মারভাত। তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস তাঁদের স্কুলে আয়োজন করার জন্য দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এ টি এম আব্দুর রউফ মণ্ডল। তিনি তাঁর বক্তব্যে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্কুলের প্রিন্সিপালসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দিবসটি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উদ্‌যাপনে অনুমতি দানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। উপস্থাপনায় তিনি ভাষা আন্দোলনে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

ভাষাশহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, কায়রো
ভাষাশহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, কায়রো

আলোচনার পর মাতৃভাষা দিবস, বিশেষত বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রশ্নোত্তরপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্বে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, উন্নয়ন ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করে। শিক্ষকেরাও এ পর্বে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের শেষে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে পরিবেশন করেন। এরপর স্কুলের শিক্ষার্থীরা দুটি মিসরীয় দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করে।

অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের দূতাবাসের পক্ষ থেকে স্যুভেনির হিসেবে বাংলাদেশের পতাকা, বাংলাদেশ, অ্যাম্বাসি অব বাংলাদেশ, কায়রো লেখা একটি করে ব্যাগ স্মারক উপহার দেওয়া হয়।

শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের দূতাবাসের পক্ষ থেকে স্যুভেনির হিসেবে বাংলাদেশের পতাকা, বাংলাদেশ, অ্যাম্বাসি অব বাংলাদেশ, কায়রো লেখা একটি করে ব্যাগ স্মারক উপহার দেওয়া হয়। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, কায়রো
শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের দূতাবাসের পক্ষ থেকে স্যুভেনির হিসেবে বাংলাদেশের পতাকা, বাংলাদেশ, অ্যাম্বাসি অব বাংলাদেশ, কায়রো লেখা একটি করে ব্যাগ স্মারক উপহার দেওয়া হয়। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, কায়রো

পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানোর মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে ভাষাশহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

উল্লেখ্য, স্কুলটি দূতাবাসের সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ কো-অপারেশন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে সম্মতি দিয়েছে। ভবিষ্যতে স্কুলটির সঙ্গে দূতাবাস আরও অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। বিজ্ঞপ্তি