নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান একুশে পালন

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান। ছবি: সংগৃহীত

শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও প্রভাতফেরির মধ্য দিয়ে নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনে পালিত হলো মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও রাষ্ট্রনায়কদের সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে অবহিত করানো জরুরি। এই দায়িত্ব আমাদের পালন করে যেতে হবে।’

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে হাইকমিশন চত্বরে তৈরি করা হয় শহীদ বেদি। আয়োজন করা হয় প্রভাতফেরির।

হাইকমিশন চত্বরে প্রভাতফেরি বের করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
হাইকমিশন চত্বরে প্রভাতফেরি বের করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান, তাঁর স্ত্রী জাকিয়া হাসনাত ইমরান ও মিশনের সব পদাধিকারী সপরিবার একুশের আয়োজনে অংশ নেন। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গাইতে গাইতে সবাই মিশন চত্বর প্রদক্ষিণ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন ভারতে কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত উং সিন। শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে তিনিও শ্রদ্ধা জানান।

শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। ছবি: সংগৃহীত
শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। ছবি: সংগৃহীত

সকালের অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্তারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের বাণী পাঠ করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

মিশনের সব পদাধিকারী সপরিবারে একুশের আয়োজনে অংশ নেন। ছবি: সংগৃহীত
মিশনের সব পদাধিকারী সপরিবারে একুশের আয়োজনে অংশ নেন। ছবি: সংগৃহীত

সন্ধ্যায় হাইকমিশনের মৈত্রী হলে দিবসটির তাৎপর্যের ওপর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।