মানিটোবা সরকারের মাতৃভাষা দিবস পালনের ঘোষণা
কানাডার মানিটোবা প্রাদেশিক সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। এখন থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করবে মানিটোবা প্রাদেশিক সরকার।
২১ ফেব্রুয়ারি সকালে মানিটোবায় বিয়ার্ডমোর স্কুলে এই সরকারি আদেশে স্বাক্ষর করেন প্রদেশের কালচার অ্যান্ড স্পোর্টস মিনিস্টার ক্যাথি কক্স। আদেশটি বাংলাদেশি কমিউনিটির কাছে হস্তান্তর করেন কনজারভেশন অ্যান্ড ক্লাইমেট মিনিস্টার সারাহ গুল্লিমার্ড।
বিয়ার্ডমোর স্কুলে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, মানিটোবায় একটি স্কুল ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি ও স্থানীয় কাউন্সিলর জেনিস লুকাস উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষে এ আদেশ গ্রহণ করেন খাজা আবদুল লতিফ, আবদুল্লাহ কাফি, রওশন জাহান, কামরুল এ এইচ মিথুন।
সরকারি আদেশ বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যদের কাছে হস্তান্তরের পর স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কাছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন সারাহ গুল্লিমার্ড, খাজা আবদুল লতিফ ও আবদুল্লাহ কাফি। আগামী বছর থেকে মানিটোবায় প্রতিটি স্কুলে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে এখানকার স্কুল ডিভিশন।
অন্যদিকে ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ইউনিভার্সিটি অব মানিটোবায় অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি অব মানিটোবা বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, ইউনিভার্সিটি অব উইনিপেগ বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও কানাডিয়ান বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এমপি টেরি ডুগাদ, উইনিপেগের ডেপুটি মেয়র মার্কস চেম্বার ও কাউন্সিলর জেনিস লুকাস। এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা ছাড়াও ইউনিভার্সিটি অব মানিটোবার বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমপি টেরি ডুগাদ বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের কথা স্মরণ করেন। ডেপুটি মেয়র মার্কস চেম্বার জানান, উইনিপেগ সিটি গভর্নমেন্ট আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে সব ধরনের সহযোগিতা করবে। জেনিস লুকাস জানান আগামী বছর উইনিপেগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন হবে স্থায়ী শহীদ মিনারে।
উল্লেখ্য, উইনিপেগের ক্রিক ব্রিজ পার্কে ইতিমধ্যে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে। মানিটোবা প্রাদেশিক সরকার, উইনিপেগ সিটি গভর্নমেন্ট ও বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা এই শহীদ মিনারের নির্মাণ খরচ বহন করবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কানাডিয়ান বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নাসরিন মাসুদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদুন নবী, ইউনিভার্সিটি অব মানিটোবা বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সিলভিয়া সিকান্দার, ইউনিভার্সিটি অব উইনিপেগ বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে গান-নাচ পরিবেশন করে বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থীসহ মানিটোবায় বাংলাদেশি কমিউনিটির বেশ কয়েকজন। এ ছাড়া প্রকাশ করা হয় একুশের দেয়ালিকা।