ভাষাশহীদদের অবদান জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে
বাঙালি জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে ভাষাশহীদদের অবদানের কথা। সৌদি আরবের রিয়াদে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ ভাষা আন্দোলনের মহান শহীদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত ভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমুন্নত করেছেন। পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে দূতাবাসের মঞ্চকে বঙ্গবন্ধু মঞ্চ হিসেবে ঘোষণা দেন এবং মুজিব বর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে রিয়াদ দূতাবাসের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির কথা তুলে ধরে কমিউনিটির সহায়তা কামনা করেন।
সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদায় মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে। এ উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে রিয়াদে দূতাবাস চত্বরে পতাকা অর্ধনমিত করেন রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। এ সময় রিয়াদের বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতা, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের অভিবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
দূতাবাসে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে শহীদ মিনারের বেদি। আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে দূতাবাসের উপকমিশনপ্রধান ড. মো. নজরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একুশে ফেব্রুয়ারি কীভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, তার বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি অভিবাসী বাংলাদেশিদের প্রবাসে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি লালনের আহ্বান জানান।
উপকমিশনপ্রধান আরও জানান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের দূতাবাসের সেবাসংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য তিনটি টোল ফ্রি নম্বর চালু করা হচ্ছে, যেখানে প্রবাসীরা বিনা খরচে কল করে সেবা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে কমিউনিটির নেতারা একুশের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন। একুশের কবিতা আবৃত্তি করেন শাহজাহান চঞ্চল, কামরুজ্জামান, মসীহ সিরাজ ও বশির।
আলোচনা শেষে সব শহীদের মাগফিরাত ও দেশ, জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি