মুম্বাইয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

বক্তব্য দিচ্ছেন উপহাইকমিশনার মো. লুৎফর রহমান। ছবি: বাংলাদেশ উপহাইকমিশন, মুম্বাই
বক্তব্য দিচ্ছেন উপহাইকমিশনার মো. লুৎফর রহমান। ছবি: বাংলাদেশ উপহাইকমিশন, মুম্বাই

মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপহাইকমিশন মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে।

২১ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের প্রেসিডেন্ট হোটেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মহারাষ্ট্র সরকারের স্টেট চিফ ইনফরমেশন কমিশনার সুমিত মল্লিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান অ্যাডমিরাল (অব.) ভিষ্ণু ভগওয়াৎ।

অনুষ্ঠানে আয়ারল্যান্ডের কনসাল জেনারেল গেরি কেলি ও ইতালির কনসাল জেনারেল স্টেফেনিয়া কোসতানজা নিজ নিজ ভাষার বৈশিষ্ট্য বর্ণনা ও কবিতা আবৃত্তি করেন। এ ছাড়া স্থানীয় কবিতাপ্রেমী মাস্টার প্রতাপ মাজহার সেঠি ও প্রবাসী ইসরাক জামান কবিতা আবৃত্তি করেন।

আলোচনা পর্বে আলোচকেরা নিজ নিজ মাতৃভাষার সংরক্ষণ ও প্রচারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।

উপস্থিতির একাংশ। ছবি: বাংলাদেশ উপহাইকমিশন, মুম্বাই
উপস্থিতির একাংশ। ছবি: বাংলাদেশ উপহাইকমিশন, মুম্বাই

মুম্বাইয়ে বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার মো. লুৎফর রহমান তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান শহীদ দিবসের তাৎপর্য এবং স্বাধীনতা অর্জনে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে অমর একুশের স্বীকৃতির পটভূমি ব্যাখ্যা করেন।

আলোচনা শেষে প্রামাণ্যচিত্র ‘মাই মাদার টাং’ প্রদর্শন করা হয়।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। নীরবতা পালনের পর ভাষাসংগীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানে ভাষা দিবসের আবেশ জাগরিত হয়ে ওঠে। এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি