মিসরে ভাষাশহীদদের স্মরণ
মিসরের বাংলাদেশ দূতাবাস মর্যাদা ও শ্রদ্ধায় ভাষাশহীদদের স্মরণ এবং সাড়ম্বরে উদযাপন করেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ উপলক্ষে দেশটির রাজধানী কায়রোয় কাংলাদেশ দূতাবাসে ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত এ টি এম আবদুর রউফ মণ্ডল বক্তব্য দেন। তিনি মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্য উপস্থাপন করেন।
এ টি এম আবদুর রউফ মণ্ডল একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ার কাজে প্রত্যেককে তাঁর নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বাত্মক আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
আবদুর রউফ বলেন, ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে, যা বাঙালি জাতির ইতিহাসে অনন্য মাইলফলক।
তিনি বলেন, কায়রোর বাংলাদেশ দূতাবাস জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই অনুষ্ঠান দুটি যথাযোগ্য মর্যাদায় আয়োজনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই কর্মসূচিগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি ভাষাশহীদ ও জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সভায় ভাষাশহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর ভাষাশহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এ ছাড়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানে কায়রোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশি শিক্ষক, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় দূতাবাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত এ টি এম আবদুর রউফ মণ্ডল দূতাবাস প্রাঙ্গণে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। এরপর অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস ও কায়রোর জিনিয়াস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল যৌথভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে। বিজ্ঞপ্তি