স্টকহোমে নতুন প্রজন্মের মাতৃভাষা দিবস পালন

শিশুদের চিত্রাঙ্কন। ছবি: রাহাত নওয়াজেশ
শিশুদের চিত্রাঙ্কন। ছবি: রাহাত নওয়াজেশ

প্রবাসে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নতুন প্রজন্মের মধ্যে একুশের চেতনা ছড়িয়ে দিতে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বিনম্র শ্রদ্ধায় পালন করা হয়েছে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

বাংলা ভাষার চর্চা ও মর্যাদা এখন বিশ্বব্যাপী। বাংলা এখন আর শুধু আঞ্চলিক ভাষা নয়, আন্তর্জাতিক ভাষাও।

আমরা প্রবাসে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চাই। লালন করতে চাই। কিন্তু আমাদের পরের প্রজন্মের অবস্থা কী হবে? তাদের মাঝে কীভাবে আমাদের দেশীয় ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাব, আমাদের খুব গভীরভাবে তা চিন্তা করতে হবে।

এই বাস্তবতা থেকে আমাদের জোর অভিপ্রায় ছিল স্টকহোমে জন্মগ্রহণকারী ও বেড়ে ওঠা শিশুদের জন্য অনুষ্ঠান করা। এদের মাঝে অনেকেই প্রথমবারের মতো এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিল।

শিশুদের চিত্রাঙ্কন। ছবি: রাহাত নওয়াজেশ
শিশুদের চিত্রাঙ্কন। ছবি: রাহাত নওয়াজেশ

স্টকহোমে ঘরোয়া পরিবেশে আয়োজন করা হয়েছিল ভাষাশহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান। এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্যই ছিল নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলা ভাষা এবং একুশের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া।

শহীদ মিনারের ছবি–সংবলিত কাগজে সবার নিজ হাতের লেখা একটি বাক্য। ছবি: রাহাত নওয়াজেশ
শহীদ মিনারের ছবি–সংবলিত কাগজে সবার নিজ হাতের লেখা একটি বাক্য। ছবি: রাহাত নওয়াজেশ

একুশের অনুষ্ঠানসূচি মধ্যে ছিল শিশুদের চিত্রাঙ্কন (বাংলা বর্ণমালার ওপর চিত্রাঙ্কন) ও বাংলা বর্ণমালা পরিচিতি, বড়দের একুশের স্মৃতিচারণা এবং মাতৃভাষায় একুশের শহীদ মিনারের ছবি–সংবলিত কাগজে সবার নিজ হাতের লেখা একটি বাক্য। নতুন প্রজন্মের জন্য বিশেষ উপহার ছিল প্রবাসী বাঙালি ইসমত আরার নিজ হাতে তৈরি চিত্রপটে রূপান্তরিত শহীদ মিনারের প্রতিকৃতি।

ঘরোয়া আলোচনায় সবাই বাংলাদেশের একুশের স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা স্মরণ করে প্রবাসে এ আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির শোকের হলেও গর্বের দিন।

অনুষ্ঠান শেষ হয় অংশগ্রহণকারী বাচ্চাদের ছোট উপহার দিয়ে।

একুশের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন আয়রা, সাদিক, ওয়ানিয়া, সামিয়া, ইসরাত জাহান, ইসমত আরা, উম্মে সুমাইয়া, সালমা জিলানি, ওবায়দুল গাফার, খান ওলিদ মান্নান, আবদুল কাদের জিলানি, রাহাত নওয়াজেশসহ অনেকে।