সিউলে ব্যতিক্রমভাবে মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য লালন

সিউলে ব্যতিক্রমভাবে মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য লালন
সিউলে ব্যতিক্রমভাবে মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য লালন

খুব ইচ্ছা ছিল ছেলেকে নিয়ে শহীদ মিনারে যাওয়ার। কিন্তু করোনাভাইরাস আতঙ্কে যাওয়া হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বাইরের পরিবেশ থমথমে। তাই ছুটির দিনে ঘরে বসেই ব্যতিক্রমীভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য ছেলেকে শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

আমার ব্যতিক্রমী এই চেষ্টার মধ্যে ছিল এক. ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি ছেলে ও তার বন্ধুর সামনে গেয়ে শোনানো ও ব্যাখ্যা করা। দুই. শহীদ মিনারের ছবি দেখানো ও তার ব্যাখ্যা করা। তিন. আমাদের জাতীয় পতাকা দেখানো ও তার ব্যাখ্যা করা। এবং চার. একই সঙ্গে ছেলের বন্ধু ও ছেলেকে ইংরেজি, কোরীয় ও বাংলা বর্ণমালা পরিচয় করিয়ে দেওয়া, শেখানো ও লেখানো।

ছবিতে বাঁ থেকে লেখিকার ছেলে হৃদিতোষ, লেখিকা, লেখিকার ছেলের কোরীয় বন্ধু লি জিসু ও তার মা। তারা দুজনেই পাঁচ বছর বয়সী ও একই স্কুলের কিন্ডারগার্টেনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ছবিতে বাঁ থেকে লেখিকার ছেলে হৃদিতোষ, লেখিকা, লেখিকার ছেলের কোরীয় বন্ধু লি জিসু ও তার মা। তারা দুজনেই পাঁচ বছর বয়সী ও একই স্কুলের কিন্ডারগার্টেনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

জয় হোক সব ভাষার। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষাসৈনিকদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

বি. দ্র: আমার ছেলে হৃদিতোষ ও তার কোরীয় বন্ধু লি জিসু, দুজনেই পাঁচ বছর বয়সী ও একই স্কুলের কিন্ডারগার্টেনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
–––

হাসি রানী বাড়ৈ: সহকারী অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ইউংনাম বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কোরিয়া।