বসন্ত নেমে এল শীতের দেশে

বসন্তবরণে লুলিওর বাংলাদেশিদের একাংশ
বসন্তবরণে লুলিওর বাংলাদেশিদের একাংশ

প্রকৃতি যখন ফাল্গুনের পসরা সাজিয়ে বসেছে বাংলাদেশে, তখন বাংলাদেশিরা যেখানেই থাকুক না কেন, বরণ তো করে নিতেই হয়। মনের ফাল্গুনকে আটকে রাখবে শীতের এমন সাধ্য কোথায়।

সুইডেনের লুলিওতে এখন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ঘরে। শীতের দাপটে যখন ঘর ছেড়ে বের হওয়ার উপায় নেই, তখন দেশের বসন্তকে সাদরে বরণ করে নিয়েছেন লুলিওর বাংলাদেশিরা। এক টুকরো বাংলাদেশ যেন জেগে উঠল সুইডেনের বুকে।

সবার নানা রকমের কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও গত রোববার সারা দিন ধরে উৎসবের আমেজে লুলিও যেন সেজে উঠল বাসন্তীরঙে। সবার উপস্থিতিতে, সবার সহযোগিতায় এক অনন্য রূপ লাভ করল।

প্রায় সবাই–ই হলুদ আর বাসন্তীরঙের শাড়ি, পাঞ্জাবি পরে পুরো আবহকে আরও মোহনীয় করে তুলেছিলেন সুইডেনের ছোট্ট এই লুলিও শহরকে।

লেখিকা
লেখিকা

২২ রকমের দেশীয় খাবার, বিভিন্ন ভর্তা আর মিষ্টি দিয়ে হলো আপ্যায়ন।

এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না হলে আর বাঙালিয়ানা জমে? তাই শেষ বিকেলে সবাই মিলে গলা ছেড়ে দেশের সুরে, দেশের গানে সমস্বরে তাল মেলানো হলো। গানে গানে বসন্তবরণ হলো, তার রেশ রয়ে গেল মনে।

বাংলাদেশিরা এভাবেই নিজেদের আপন সংস্কৃতিকে নিভৃতে লালন করে যাচ্ছেন দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে বসেও।

পরবর্তী প্রজন্মকে বাংলাদেশের উৎসব, দেশীয় খাবার, দেশের সংগীত, সর্বোপরি দেশের সংস্কৃতি ও দেশাত্মবোধকে চেনানোর জন্য তীব্র ইচ্ছা আর ক্ষুদ্র প্রয়াসই যথেষ্ট। দেশপ্রেম যদি থাকে মনে, তাহলে শীতের দেশেও বসন্তকে বরণ করা যায়। লুলিওতে বসবাসকারী এক টুকরো বাংলাদেশ যেন তা–ই করে দেখাল।