করোনাভাইরাস: হোক্কাইডোতে স্টেট অব ইমার্জেন্সি ঘোষণা

ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

হোক্কাইডো জাপানের সর্ব উত্তরের দ্বীপ। বছরের সাত মাস এখানে ঠান্ডা আর পাঁচ মাস তুষার পড়ে। ভয়ংকর ঠান্ডায় তুষার জমে থাকে।

কয়েক দিন হলো করোনাভাইরাস এই হোক্কাইডো দ্বীপেই বাসা বেঁধেছে। ভাইরাস বৃদ্ধির পরিবেশ অনুকূলে হওয়ায় একের পর এক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

এখন পর্যন্ত জাপানে ২২৩ জনের আক্রান্তের ও পাঁচজনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে হোক্কাইডো দ্বীপেই আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৬৬ ও মৃতের সংখ্যা ২।

পরিস্থিতি বিবেচনায় হোক্কাইডোর স্থানীয় সরকার হোক্কাইডোতে স্টেট অব ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেছে এবং প্রাইমারি থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বন্ধও ঘোষণা করা হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয় জাপানের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি। এখানে ৫০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী অধ্যয়নরত। আর কিছু কর্মজীবীসহ প্রায় ১০০ জন বাংলাদেশি বসবাসরত। তাদের সবার মাঝেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় বাংলাদেশিদের সংগঠন বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব হোক্কাইডোর (বাসাহ) সভাপতি মো. শাহজাহানসহ অন্য সবাই সবার খোঁজখবর রাখছেন। তাঁরা স্থানীয় সরকারসহ স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছেন।

সদ্য পিএইচডি সমাপ্ত অনেকেই দেশে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিয়েও শঙ্কায় কাটাচ্ছেন। কারণ, তাদের অনেকের টিকিটও বাতিল হয়ে গেছে।

আমরা দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাসের তদারকি ও দেশবাসীসহ সকলের দোয়া কামনা করছি।

ড. এম এ রহমান জামিল: গবেষক, কেমিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান।