সিউলে ঐতিহাসিক সাতই মার্চ পালিত

৭ মার্চের আলোচনা পর্ব শেষে রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা কোরিয়ান ভাষায় অনূদিত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ–সংবলিত পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। ছবি: সিউল, দূতাবাস
৭ মার্চের আলোচনা পর্ব শেষে রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা কোরিয়ান ভাষায় অনূদিত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ–সংবলিত পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। ছবি: সিউল, দূতাবাস

যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদায় দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ঐতিহাসিক সাতই মার্চ উদযাপন করে। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রণ করেন।

৭ মার্চ বেলা তিনটায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হয়। এরপর পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে পাঠ করা হয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠের পর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরবর্তী সময়ে দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্বের ওপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণের পটভূমির পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতির তাৎপর্যের ওপর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন। এরপর আমাদের জাতীয় জীবনে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সাতই মার্চের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল এবং মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিল। এই ভাষণ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি ও সাহস জুগিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে ৩০ লাখ লোক প্রাণ উৎসর্গ করেন এবং ২ লাখ মা-বোন তাঁদের সম্ভ্রম হারান, যার দৃষ্টান্ত বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। ছবি: সিউল, দূতাবাস
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। ছবি: সিউল, দূতাবাস

আবিদা ইসলাম বলেন, ইউনেসকো কেবল বাঙালি ঐতিহ্য হিসেবেই নয় ৭ মার্চের এই ভাষণকে বিশ্ব মানবের সম্পদ হিসেবেও স্বীকৃতি প্রদান করেছে, যা সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

আলোচনা পর্ব শেষে রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা কোরিয়ান ভাষায় অনূদিত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ–সংবলিত একটি পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।

পরবর্তী সময়ে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধু ও ৭ মার্চের ওপর লেখা কবিতা পাঠ করেন। চা-চক্রের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সফল পরিসমাপ্তি ঘটে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি