জীবনে যারা হতাশ, তাদের জন্য

সবার হতাশা দেখে মনে হলো আসলেই সেলফ পিটি বন্ধ করুন!

দুঃখ করার কিছু নেই! জীবনের সব পরীক্ষায় টপ র‌্যাংকে থেকেও আমি ৮-১০ বছর শুধু মা এবং বউ হয়ে থেকেছি, কিন্তু হাল ছেড়ে দিইনি! বছরের পর বছর বই ছুঁয়ে দেখিনি! সঙ্গের সবাইকে আকাশ ছুঁতে দেখেছি! কিন্তু নিজের ইচ্ছা থেকে সরে আসিনি!

নিজের জন্য নিজেকেই লড়তে হয়! হতাশ না হয়ে লক্ষ্য ঠিক করুন, সেই অনুযায়ী পড়াশোনা করুন! একটা লক্ষ্যে পৌঁছাননি তাতে কী?

এত পথ খোলা মেডিকেলে, দরকার তো শুধু নিজের পায়ে দাঁড়ানোর? টার্গেট চেঞ্জ করুন, যেটা আপনার পক্ষে সম্ভব!

কেউ সাহায্য করেনি বলে হতাশ?

কেন সাহায্য করবে?

স্ট্রাগল আপনার। আপনাকেই ম্যানেজ করতে হবে।

ভেঙে পড়ছেন? ডিপ্রেসড?

স্বাভাবিক!

আপনি আপনার একমাত্র শক্তি! একমাত্র টুল! প্রতিদিন এত এত পরীক্ষা—আইটেম, কার্ড, প্রুফ, রিটেন, ভাইভা—নিজেই দিয়েছেন। ট্যাক্টফুল হওয়ার চেষ্টা করুন। আমরা সবাই মাল্টিটাস্কার!

কাউন্সেলিং এবং এন্টিডিপ্রেসেন্ট দিয়েই নাহয় শুরু হোক আপনার হার না–মানার গল্প!

খারাপ লাগে ভাবতে কেন এন্টিডিপ্রেসেন্ট?

মানুষ আপনার কষ্টে আহা–উহু করবে! আপনার কাঁটাওয়ালা জুতায় হাঁটবে না! আপনাকেই প্রথমে জুতো চেঞ্জ করতে হবে, বোঝাতে পেরেছি?

স্বামী, মা–বাবা, শ্বশুর–শাশুড়ি, বন্ধুবান্ধব, সন্তান, প্রেমিক-প্রেমিকা, কেউ আপনার জুতো পরে হাঁটে না!

নিজের জুতো নিজে চেঞ্জ করুন! শুরুতেই হাতি–ঘোড়া হবে না, বইটা যদি খোলেন অন্তত সেটাই অনেক—এরপর?

লেগে থাকুন!

আবারও টাইম ম্যানেজমেন্ট, সংসার, সুবিধা-অসুবিধা আপনার, নিজের মতো করেই কাজ করে নিজেকে ম্যানেজ করতে হবে! আর সবচেয়ে বড় কথা—ইউ হ্যাভ টু!

বাজেট ম্যানেজ কে করবে?

আপনি।

কাজ করুন!

গা ঝাড়া দিয়ে—সময়, সংসার, স্বামী, সন্তান, পয়সা, রান্না—সবকিছুর বাজেট ঠিক করুন!

অনেক সময় হতাশায় আমরা সামনে খোলা সবচেয়ে সুন্দর আর ওপেন রাস্তার দেখা পাই না—চোখ মেলুন।

হার্ডওয়ার্ক—জীবনে আর কিছু নেই!

শুভ কামনা সবার জন্য!