জেনেভায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

জেনেভায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করেন। ছবি: বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, জেনেভা, সুইজার‌ল্যান্ড
জেনেভায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করেন। ছবি: বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, জেনেভা, সুইজার‌ল্যান্ড

যথাযথ মর্যাদায় ও আনন্দমুখর পরিবেশে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে জেনেভার জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই কর্মসূচির সূচনা করেন। এ সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাণী পাঠ করা হয়। এ সময় মুজিব বর্ষের প্রেক্ষাপটে গণহত্যা দিবস ও মহান স্বাধীনতা দিবসের ওপর এক উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান বক্তব্যের শুরুতেই সবাইকে মহান স্বাধীনতা দিবস ও মুজিব বর্ষের শুভেচ্ছা জানান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও স্বাধীনতাযুদ্ধে সম্ভ্রমহারা মা-বোনদের প্রতি অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ‘সার্বিক মুক্তির মধ্য দিয়ে একটি উদার, উন্নত, অবদানক্ষম, সমতাভিত্তিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য। মুজিব বর্ষের এই শুভ ক্ষণে দাঁড়িয়ে সেই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে আমাদের সম্মিলিত শপথ ও অঙ্গীকারকে আরও শাণিত করতে হবে।’ তিনি মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপম মহৎ আদর্শকে বুকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অদম্য উন্নয়ন যাত্রায় শামিল হতে সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

দূতাবাসে আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান। ছবি: বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, জেনেভা, সুইজার‌ল্যান্ড
দূতাবাসে আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান। ছবি: বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, জেনেভা, সুইজার‌ল্যান্ড

মো. শামীম আহসান আরও বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত ২৫ মার্চে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ সার্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত যুগান্তকারী এবং যুগোপযোগী যে ব্যবস্থাপনা দরকার, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। দেশের স্বার্থে আমাদের এ দিকনির্দেশনা মেনে চলা উচিত। এ ছাড়া জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাকে গড়ে তোলার জন্য আজ যেটি বেশি প্রয়োজন তা হলো সহমর্মিতা ও সচেতনতা। আমরা প্রবাসী বাংলাদেশি ভাইবোনদের খোঁজখবর রাখছি। আশা করছি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এ বিপর্যয় থেকে বের হয়ে আসতে পারব।

শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জেনেভার বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন বছরব্যাপী যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তার মধ্যে অন্যতম ছিল মহাসমারোহে এ বছরের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের দরুন সুইজারল্যান্ড সরকার কর্তৃক সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করার পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠানের আকার ও প্রকৃতিতে পরিবর্তন এনে দিবসটি উদযাপন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি