দেশের মানুষের পাশে আছি, আপনারাও হাত বাড়ান

খাদ্য সামগ্রী ব্যাগে ৪ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি আটা, ২ কেজি আলু ও ১টি করে সাবান আছে। ছবি: লেখক
খাদ্য সামগ্রী ব্যাগে ৪ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি আটা, ২ কেজি আলু ও ১টি করে সাবান আছে। ছবি: লেখক

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিত বিশ্বজুড়ে এক নজিরবিহীন সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশও এই সংকটের বাইরে নয়। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার লম্বা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে লোকজনকে ঘরে থাকতে বলেছে। এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে দিনমজুর-শ্রমজীবীসহ সমাজের দরিদ্র শ্রেণির মানুষ বিপাকে পড়েছে। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে সৈয়দ শাকিল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও আশা হোপ ফর বাংলাদেশ।

আমরা গত কয়েক দিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অসহায় মানুষের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী সহায়তা হিসেবে প্রদান করে আসছি।

সহায়তা হিসেবে দেওয়া হচ্ছে ৪ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি আটা, ২ কেজি আলু ও ১টি করে সাবান। সহায়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রাজধানীর মিরপুরের ফ্রি স্কুলের ৫০ জন শিক্ষার্থীর পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয়।

স্বেচ্ছাসেবকেরা নির্দিষ্ট পোশাক পরে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। ছবি: সংগৃহীত
স্বেচ্ছাসেবকেরা নির্দিষ্ট পোশাক পরে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের তালতলা বেদেপল্লির ১২০টি পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সাভারে একইভাবে ৫০টি পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ভোলার চর ফ্যাশনে ১০০টি পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া আমরা ঢাকার ছিন্নমূল মানুষের জন্য একবেলা খাবারের ব্যবস্থা করেছি। প্রতিদিন প্রায় ৩০০ জন মানুষকে খাবার দেওয়া হচ্ছে। এই কার্যক্রম চলবে আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত।

সৈয়দ শাকিল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও আশা হোপ ফর বাংলাদেশ দিনে একবেলা ছিন্নমূল মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করছে। প্রতিদিন প্রায় ৩০০ জন মানুষকে খাবার দেওয়া হচ্ছে। এ কার্যক্রম চলবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত। ছবি: সংগৃহীত
সৈয়দ শাকিল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও আশা হোপ ফর বাংলাদেশ দিনে একবেলা ছিন্নমূল মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করছে। প্রতিদিন প্রায় ৩০০ জন মানুষকে খাবার দেওয়া হচ্ছে। এ কার্যক্রম চলবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত। ছবি: সংগৃহীত

আমাদের এই সহায়তা কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে ঢাকার গিফট ফর গুড ও আলোকিত শিশু-এর স্বেচ্ছাসেবীরা। তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। এই সহায়তা কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন আলোকিত শিশুর প্রতিষ্ঠাতা মিঠুন দাস কাব্য। আমি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কারণ, তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

দেশ-বিদেশের যে কেউ আমাদের এই সহায়তা কার্যক্রমের অংশীদার হতে পারেন। সহায়তা কার্যক্রমে অংশ নিতে চাইলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

করোনার কারণে বিপাকে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে সৈয়দ শাকিল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও আশা হোপ ফর বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত
করোনার কারণে বিপাকে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে সৈয়দ শাকিল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও আশা হোপ ফর বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত

আমি সুদূর জার্মানি থেকে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আপনিও আপনার সাধ্যমতো সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন। আমরা নিশ্চয়ই এই দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হব।

*লেখক: প্রতিষ্ঠাতা, সৈয়দ শাকিল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও আশা হোপ ফর বাংলাদেশ