জ্বর এবং মায়ের আদর

‘তোকে ডাক্তারি পড়ানোটাই আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে। তখন কি আর বুঝেছিলাম ডাক্তার হয়ে তুই আমাদের এই শেষ বয়সে এমন দুশ্চিন্তায় ফেলবি। জানলে কোনো দিনও তোকে ডাক্তারি পড়াতাম না। আবার শুধু নিজে ডাক্তার হয়েই খ্যান্ত হলি না, বিয়ে করার কথা বললেই বলিস ডাক্তার মেয়ে দেখ। এক তোকে নিয়েই আমাদের চিন্তার অন্ত নাই আবার ডাক্তার বউ হলে আরেকজনের চিন্তা যোগ হবে। আমি বেঁচে থাকতে তোকে ডাক্তার বিয়ে করতে দেব না। আল্লাহই জানেন এই করোনার দুর্যোগ কবে যাবে। খুব সহজে যাবে বলে তো মনেও হয় না। বলি, দেশে কি শুধু তুই একাই ডাক্তার, আর কোনো ডাক্তার নাই? তোকেই কেন সব করতে হবে? আচ্ছা ডাক্তারদের কি শরীর খারাপ হতে পারে না? তাদের বিশ্রামের দরকার নাই? দু–এক দিন ছুটি নিলে কি হয় শুনি? ফোন করে বলে দিলেই তো হয় তোর ভালো লাগছে না, আজকে যেতে পারবি না? সারাক্ষণ শুধু দায়িত্বের দোহাই। কেমন ছেলে যে পেটে ধরেছিলাম, আল্লাহই জানেন।’

রাহেলা বেগম এতক্ষণ এই কথাগুলো ছেলেকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলছিলেন। আজকে নতুন নয়। দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই ডা. রোকনুজ্জামানের মায়ের এই বকবকানি শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সকালে রোকন যখনি নাশতার টেবিলে বসে, নাশতা সেরে বের হওয়া পর্যন্ত তার মায়ের এই নন–স্টপ কথা চলতেই থাকে। প্রথমে ঝাড়েন ছেলে রোকনের ওপরে আর রোকন বের হয়ে যাওয়ার পরক্ষণেই শুরু করেন রোকনের বাবার ওপরে। আজকেও তার ব্যতিক্রম হলো না।

রাহেলা বেগম বলেন, ‘বলি রোকনের বাবা, আমি নাহয় স্বল্প শিক্ষিত মানুষ ছিলাম, অতশত বুঝি নাই, তুমি তো শিক্ষিত মানুষ, বুঝেশুনে কেন তোমার ছেলেকে ডাক্তারি পড়াতে গেলে। আবার ছেলের বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজছ, তা–ও আবার ডাক্তার মেয়ে হতে হবে। রোকনের বাবা, আমার রোকনের যদি কিছু হয়, আমি কিন্তু তোমাকে ছাড়ব না, এই বলে রাখলাম।’

এই বাসায় তিনটি মাত্র প্রাণী। মাঝেমধ্যে ছুটা বুয়া এসে ঘর–গৃহস্থালির সব কাজ করে দিয়ে যেত। এখন করোনার কারণে বুয়ার আসাও বন্ধ।

রোকন নাশতা শেষ করে খুব শান্তভাবে মায়ের মুখের দিকে তাকায়। আচ্ছা মা, এসব বলে কি লাভ বলত? এই দায়িত্বগুলো তো আমাদেরই পালন করতে হবে না কি? আমরা না করলে কে করবে বলত? আর ডাক্তারি পড়ার কথা বলছ, তা–ও আবার এত দিন পরে? মনে করে দেখত, আমি কিন্তু ডাক্তারি পড়তে চাইনি। একই সঙ্গে আমার বুয়েটেও ভর্তির সুযোগ হয়েছিল। তোমারই কিন্তু ইচ্ছে ছিল বেশি আমি যেন ডাক্তার হই। আজ ডাক্তার হয়েছি বলেই না এই বিশেষ সময়ে করোনা রোগীদের সেবা করতে পারছি। সারা পৃথিবীর দিকে তাকাও দেখো না কী অবস্থা? লাখ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে করোনাতে। ডাক্তাররা চিকিৎসা না করলে কারা করবে, বলো তো?

‘চুপ কর, আমাকে আর এসব বোঝাতে হবে না। ডাক্তার হয়েছিস বলেই সবাই তোদের মাথা কিনে নিয়েছে? তাদের তো আবার শুনি কি সব সুরক্ষার জিনিসপত্রও নাই। হঠাৎ যদি তোর করোনা হয়ে যায়, কী হবে বল তো? তুই আমাদের একটামাত্র ছেলে।’ এই টুকু বলেই মা কেঁদে ওঠেন। রোকন আর দেরি করতে পারে না। মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা অথবা সময় কোনোটাই এই মুহূর্তে তার নেই। হাসপাতালে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। নিজের হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর থেকে রোকন বাসায় এক রকম আইসোলেশনেই থাকছে। শুধু দূর থেকে বাবা–মার সঙ্গে কথা হয়। বাবা–মাও ছেলেকে স্পর্শ করেন না, ছেলেও বাবা মাকে দূর থেকেই সবকিছু বলে।

রোকনদের বাসায় কথা যা বলার রোকনের মা–ই বলেন। বাবা-ছেলে দুজনেই স্বল্পভাষী। ভালোই চলছিল তাদের দিনকাল। এই করোনা এসেই সব কেমন উল্টেপাল্টে দিল। নিজেদের নিয়ে তো দুশ্চিন্তার তেমন কিছু ছিল না। সারা দিন তারা দুজন বাসাতেই থাকেন। চিন্তা হয়েছে ছেলেকে নিয়ে। দেশে নাকি এখন পর্যন্ত দুই শর বেশি ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত। রোকনের করোনা হতে কতক্ষণ। এই ভাবনাতেই রাহেলা বেগমের খাওয়াদাওয়া হারাম হয়ে গেছে। রোকনের বাবা অনেকটা রাশভারী ধরনের মানুষ। বাস্তববাদী। রাহেলা বেগমের সঙ্গে তিনি যদিও একমত নন। আবার তিনি এটাও বোঝেন, মায়ের মন তো। সারা দিন রাহেলা বেগমকে এটা–ওটা দিয়ে বোঝাতে থাকেন।

একদিন মাঝরাতে হঠাৎ রোকনের ‘মা’ ডাকে ধড়ফড় করে বিছানা থেকে উঠে পড়েন রাহেলা বেগম। তাড়াহুড়ো করে রোকনের রুমে ঢুকে পড়েন। রোকন তার মাকে ইশারায় কাছে যেতে বারণ করে। থার্মোমিটার হাতে নিয়ে রোকন মাথা নিচু করে চুপচাপ বসে আছে। রোকনের জ্বর। দুদিন হলো হালকা খুশখুশে কাশি থাকলেও খুব একটা পাত্তা দেয়নি রোকন। কিন্তু আজ কাশির সঙ্গে জ্বর আসার কারণে রোকন সত্যিই দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। রোকনের বাবাও নিঃশব্দে রাহেলা বেগমের পেছনে এসে দাঁড়ান। রোকনকে জিজ্ঞেস করেন,

কিরে বাবা তোর কি জ্বর?

হ্যাঁ বাবা, রোকন উত্তর দেয়।

রোকনের জ্বর হয়েছে শুনেই রাহেলা বেগম হাউমাউ করে কান্না শুরু করে দেন। ত্বরিত গতিতে রোকনের দিকে এগিয়ে আসেন কপালে হাত দিয়ে জ্বর পরীক্ষা করতে। রোকন দূর থেকেই মাকে কাছে আসতে বাধা দেয়। বাবা জিজ্ঞেস করেন,

করোনা না তো? রোকন কিছু বলে না। এবার মা চিৎকার দিয়ে ওঠেন,

তুই ডাক্তার, তুই জানিস না তোর করোনা হয়েছে কি না?

রোকন খুব ঠান্ডা মাথায় উত্তর দেয়,

আচ্ছা মা জ্বর হলেই যে করোনা হবে তা তো নয়। পরীক্ষা না করে বলা যাবে না।

কত জ্বর? বাবা জিজ্ঞেস করেন।

এক শ দুই।

মাথাব্যথা আছে, মা জিজ্ঞেস করেন।

একটু একটু, রোকন উত্তর দেয়।

আমি কি একটু তোর মাথার কাছে বসব, বাবা? মাথা টিপে দিই? মাথায় পানি দেব?

না না মা, তোমরা কেউ আমার কাছাকাছি আসবে না। তোমাদের ঘরে যাও প্লিজ। আমাকে আমার যত্ন নিতে দাও। রোকন বলে।

এবার রাহেলা বেগম আরও ভেঙে পড়েন। মনে মনে ভাবেন, নিশ্চয়ই ছেলের করোনা হয়েছে। রোকন খুব শক্ত করেই বলে দিয়েছে তারা কেউ যেন রোকনের ঘরে একদম না ঢোকেন। রোকনেরও কেন জানি মনে হচ্ছে তার করোনা পজিটিভ। যদিও পরীক্ষা না করে অনুমান করা কঠিন। কিন্তু সব ধরনের সাবধানতা সে অবলম্বন করতে চায়। দরজার বাইরেই মা সারা রাত বসে থাকেন। জায়নামাজে নামাজ পড়তে থাকেন। ছেলের জন্য দোয়া করতে থাকেন। একটু পরপরই দরজা একটুখানি খুলে উঁকি দিয়ে দেখেন ছেলে কী করছে। ছেলের কাছে যেতে সাহস পান না। খুব কষ্ট হয় রাহেলা বেগমের। এ কেমন অসুখ আল্লাহ দিলেন, মানুষ তার প্রিয়জনকে কাছে পাবে না। আল্লাহ এই কঠিন অসুখ মানুষকে কেন দিলেন। রাহেলা বেগমের খুব ইচ্ছে করছে ছেলেকে কাছে টেনে নিতে, ছেলের মাথা কোলে নিয়ে চুলগুলো বিলি করে দিতে। তা তো আর হওয়ার নয়। এখন অপেক্ষা করতে হবে পরীক্ষায় কী আসে। আবার পরীক্ষায় নেগেটিভ এলেও ১৪ দিন অপেক্ষা করতে হবে। তিনি ভাবতেই পারেন না পজিটিভ হলে কী হবে। রোকনকে ওরা নিয়ে যাবে। হাসপাতালে ডাক্তার না হয়ে এবার রোগী হয়ে থাকতে হবে। ছেলেকে আর দেখতে পারবেন না তিনি। এর পরেরটুকু আর ভাবতে পারেন না রাহেলা বেগম।

রোকনের জ্বর একটু একটু বাড়তে থাকে। নিজেই বিছানা থেকে উঠে বাথরুমে গিয়ে মাথায় পানি ঢালে। জ্বরের ওষুধ খায়। যদিও শ্বাসপ্রশাসে কোনো রকম সমস্যা হচ্ছে না, এটুকুই যা সান্ত্বনা। তবুও সকালে হাসপাতালে জানিয়ে তাড়াতাড়ি পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। রোকনের মায়ের কথা ভাবতেই খুব কষ্ট হয়। অবশ্য রোকন এখনো জানে না দরজার ওপাশেই তার মা সারা রাত অপেক্ষা করছেন। জায়নামাজে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছেন আর ছেলের জন্য প্রার্থনা করছেন। বিছানায় শুয়ে একটু ঘুমানোর চেষ্টা করে রোকন। ঘুম আসছে না কিছুতেই। মাথাটা ব্যথায় টনটন করছে। কেমন যেন ঘুম আর তন্দ্রার মাঝামাঝি একটা অবস্থায় চলে যায় রোকন। ঠিক বুঝতে পারে না কল্পনায় নাকি স্বপ্নে রোকন পরিষ্কার দেখতে পায়।

সে অনেক দিন আগের কথা। বাবা বেসরকারি একটা কলেজের শিক্ষক ছিলেন। সেই সুবাদে ডাক্তারিতে ভর্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত রোকনকে বাবা-মার সঙ্গে উপজেলা শহরেই থাকতে হয়েছে। সংসারে প্রাচুর্য না থাকলেও অভাব–অনটন ছিল না। স্কুলে পড়ার সময় রোকনের পরপর দুবার টাইফয়েড জ্বর হয়েছিল। মাঝেমধ্যে সেই জ্বর কাঁপুনি দিয়ে ১০৪–১০৫–এ উঠে যেত। মা তখন রোকনের মাথাটা নিজের কোলের ওপরে নিয়ে চুল টেনে দিতেন। মাথায় পানি দিতেন। এখনো মনে আছে মায়ের হাতের স্পর্শে সেই জ্বর কোথায় পালাত। শুধু বাবা–মায়ের একমাত্র ছেলে হওয়ার কারণেই কি মা তাকে এত আদর করতেন? না, তা তো নয়। সন্তানের জন্য মায়ের এই যে মমত্ব, আকুতি, তা তো চিরায়ত।

ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ার সময়ও মাঝেমধ্যে বাড়ি গেলে, বিশেষ করে শীতের দুপুরে হালকা রোদে মা উঠোনে পাটি বিছিয়ে ছেলের মাথায় তেল দিয়ে দিতেন আর মাথার চুল টেনে দিতেন। ছেলের কোঁকড়া চুলগুলো নাকি রাহেলা বেগমের খুব ভালো লাগত। মায়ের হাতের স্পর্শ পেতে পেতে কখন যে রোকন ঘুমিয়ে পড়ত বুঝতেই পারত না। আবার প্রতিবছর ফাইনালগুলোর আগে লম্বা সময় ধরে বাড়ি যাওয়া হতো না রোকনের, তখন মাকে খুব মিস করত রোকন। মাঝেমধ্যে অতিরিক্ত পড়ার চাপে কেন জানি মনে হতো, ইশ্, যদি একটু জ্বর আসত। যদিও তখন জ্বর এলেই যে বাড়ি যাওয়া যেত, তা তো নয়। তবুও জ্বরের সঙ্গে মায়ের আদরের একটা কেমন যেন নিবিড় সম্পর্ক ছিল, সেই অনুভূতি থেকেই এমন মনে হতো রোকনের।

সেই ছোটবেলা থেকে এখনো প্রতিদিন অন্তত একবার করে হলেও মা রোকনের কপালে হাত স্পর্শ করান, দেখেন জ্বর আছে কি না। মাঝেমধ্যে সিজোনাল ফ্লু হলে একটু–আধটু জ্বর হলে রোকনকে কাছে পান মা রাহেলা বেগম। রোকন তখন নিজের থেকেই মাকে কাছে ডাকে। মাথা টিপে দিতে বলে। রাহেলা বেগম পরম যত্নে ছেলের মাথার চুল টেনে দেন। এই মুহূর্তে একদিকে রোকন যেমন মায়ের হাতের সেই স্পর্শ খুব মিস করছে, অন্যদিকে মা সন্তানকে আদর করা থেকে বঞ্চিত থাকার কষ্টে ডুকরে ডুকরে কাঁদছেন। মাত্র দরজার ওপাশেই রয়েছেন মা, অথচ সেই মাকে রোকন এখন কাছে ডাকতে পারছে না। একমাত্র মায়ের হাতের একটু স্পর্শই পারে এই মুহূর্তে রোকনকে সুস্থ করে তুলতে। কিন্তু আপাতত সেটা আর হবে না। রোকনের ভয় বাড়তে থাকে। নিজেকে নিয়ে না যতখানি, তার চেয়ে বাবা–মাকে নিয়ে। নিজে করোনায় আক্রান্ত হলে হয়তো কোনোভাবে সামাল দেওয়া যাবে, কিন্তু তার বাবা-মা নিশ্চিত এই ধকল সামলাতে পারবেন না। তাই যেকোনোভাবেই হোক বাবা–মাকে সুস্থ রাখতে হবে। রোকনের যে কষ্ট হচ্ছে, এটা যেন কোনোভাবেই বাবা–মা টের না পান।

রোকনের খুব কষ্ট হচ্ছে, সে চাইলেও আপাতত হাসপাতালে যেতে পারবে না। চার দিন আগে যে ছেলেটি ভর্তি হলো, কতইবা বয়স হবে, আঠারো কিংবা বিশ। কাল সকালেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ছেলেটিকে আইসিইউতে ভর্তি করা হবে কি না। তবে নিশ্চিত করে বলা যায় ছেলেটির অবস্থা মোটেও ভালো নয়। চার দিন ধরে রোকন নিজেই ছেলেটিকে দেখছে। ছেলেটির মা একটু পরপরই হাসপাতালে ফোন করে ছেলের অবস্থা জানতে চায়। মাকে তো আর বলা যায় না ছেলের অবস্থা খুব ভালো নয়। গত চার দিনে ছেলেটির জ্বর একবারও এক শ তিনের নিচে নামেনি। করোনা না হলে এই জ্বর নিয়ে ছেলেটি বাসাতেই থাকত, আর তার মায়ের স্নেহ আর আদরে দ্রুত ভালো হয়ে উঠত। ছেলেটির শুকিয়ে যাওয়া মুখটির কথা খুব মনে পড়ছে। ইচ্ছে করছে এখনই হাসপাতালে ফোন করে ছেলেটির অবস্থা জেনে নেবে।

রোকনের জ্বর আরও একটু বাড়তে থাকে। রোকন মেলাতে চেষ্টা করে তার লক্ষণগুলো করোনার লক্ষণ কি না। গত দুই মাসে রোকন করোনার লক্ষণে অনেক ধরনের বৈচিত্র্য খেয়াল করেছে। তাই পরীক্ষা না করে কোনোভাবেই বলা যাবে না রোকনের করোনা পজিটিভ কি না। এই মুহূর্তে এসবের কোনোটা নিয়েই ভাবতে পারছে না রোকন। রোকনের চোখের সামনে ওই ছেলেটির মুখই বারবার ভেসে আসছে। ছেলেটি বাঁচবে তো? হাসপাতালে ফোন করে ছেলেটির অবস্থা জেনে নেওয়া দরকার। হঠাৎ রোকনের মোবাইল বেজে ওঠে। হাসপাতাল থেকে ফোন এসেছে। অজানা কিন্তু প্রত্যাশিত একটা আতঙ্কে কেঁপে ওঠে রোকনের বুক।