থমকে যাওয়া জীবন, মৃত্যুর আলিঙ্গনে-৫

পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন মানুষ।
পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন মানুষ।

১৭ মার্চ। চীন থেকে করোনা হামলে পড়েছে ইউরোপে। ফেসবুকে চীনের উহানের ভিডিও আর ছবি দেখে বুকের ভেতর কষ্টরা চেপে বসে তীব্র হয়ে। কানাডার অন্টারিও, ভ্যানকুভার, মন্ট্রিয়লের মতো বড় বড় শহরের পর চুপিসারে ঢুকে পড়েছে কোভিড-১৯ আমাদের প্রভিন্সেও। 

আমাদের শহরে এখনো তার ঢোকার খবর পাওয়া যায়নি। তার পরও অটোয়ায় থাকা আমার কন্যা রোদেলাকে নিয়ে ভয়, বাংলাদেশে আমার বৃদ্ধ মা আছেন, ভয় তাঁকে নিয়ে। এমনকি নিজের প্রিয় দেশকে নিয়ে ভয়, দেশের অসহায় মানুষ, তাদের নিয়ে ভয়। বাংলাদেশে প্রবাসীরা ঠুকছেন ভাইরাস নিয়ে। এই দরিদ্র দেশে ভয়ংকর ভাইরাসের মোকাবিলায় যে হিমশিম খাবে, সেটাও নিয়েও ভীষণ ভয়।


কিন্তু এটাও সত্যি, মানুষ নিজে ভুক্তভোগী হলে যতটুকু বিপর্যস্ত হয়, তার আগ পর্যন্ত ভাবে, ধন্যবাদ বিধাতা, আমাদের সুস্থ রেখেছ। তার পরও আমরা মানুষ। পৃথিবীর বেশি রভাগ মানুষই অন্যের দুর্দশায় কষ্ট পায়। অন্য মানুষের কষ্ট দেখে বুকের ভেতর হা হা করে উঠে। প্রবাসে বসেও ইতালিফেরত লোকজনের দেশে ফেরা নিয়ে আঁতকে উঠেছি। এত দরিদ্র একটা দেশে এই ভয়ংকর ভাইরাস নিয়ে না ঢুকলেই কি নয়। এটা সত্যি, নিজের দেশে ঢোকার অধিকার সবার আছে। সবকিছু মিলিয়ে খবরের কাগজ, ইন্টারনেট যে সব তথ্য দিচ্ছে, সেসব তথ্যে মাথা কিছুটা এলোমেলো। এলোমেলো যে হয়ে গিয়েছিল এখন এক মাস পর মনে হলে হাস্যকরই লাগে। আসলে এ রকম পেনডেমিক সময়ে ভীত হয়ে মানুষ কত কী করে ফেলে। আজ সে রকম গল্পই বলব। আমার গল্পটা অতি সাধারণ, কিন্তু কখনো কখনো সাধারণ ঘটনাই মনে দাগ কেটে যায়।


গল্পটা মসুর ডাল নিয়ে। সেই সময়টায় অনেক কিছুর মতো বাজার থেকে মসুরের ডালও উধাও। আমি বেশ কয়েক দোকান ঘুরে নিরাশ হয়ে গেছি। দু-একটি দেশীয় দোকানে যা অল্প কিছু প্যাকেট আছে, তা আবার সবার কাছে বিক্রি করা হয় না।


বাসায় মসুর ডাল নেই। চার-পাঁচ দিন মসুর ডাল ছাড়া ভাত খেলাম। প্রতিদিনই মনে হতে থাকল, আমার পেট ভরেনি। মানুষের মন মাঝে মাঝে অযৌক্তিক হয়ে যায়। আমিও সে রকম অযৌক্তিকভাবে এজাজের সঙ্গে ঘ্যান ঘ্যান করতে থাকলাম, মসুর ডাল ছাড়া চলে? যদি খারাপ সময় আসেই, তবে তো অন্তত মসুর ডাল দিয়ে প্রোটিনের ব্যবস্থা করা যাবে।


এজাজ ওয়াল মার্ট থেকে এক প্যাকেট মুগ ডালে এনে বলল, নাও এই তোমার প্রোটিন। ডাল ডালই। যখন মসুর ডাল পাওয়া যাবে, তখন খাবে। কিন্তু আমি মুগ ডাল ছুঁয়েও দেখলাম না। কারণ, মসুর ডাল না খেতে পারলে করোনায় মরে গিয়েও আফসোস থাকবে।


বন্ধু-বান্ধব সবাইকে ফোন করতে লাগলাম। ইনিয়ে-বিনিয়ে বললাম, রোদেলার মসুর ডাল ভীষণ পছন্দ। মেয়েটা আসলে আর কিছু না হোক, পানি পানি ডাল দিয়ে এক টুকরো লেবু, আরেকটা শুকনো মরিচ ভাজা হলেই পেট ভরে ভাত খেতে পারত।

কথাটা যদিও পুরোপুরি সত্য নয়, তবু রোদেলার নাম নিলে বিষয়টা বেশি গুরুত্ব পাবে। আমার বন্ধুরাও মসুর ডাল কেনার চেষ্টা করবে, অন্তত রোদেলার জন্য। এই ফর্মুলায় কাজ হলো। এক দিন পর নীতা ভাবি ফোন দিল, ‘ভাবি, মার্কেট প্লেসে (অনলাইন শপ) মসুর ডাল বেচবে একজন। ঠিকানা দিই আপনি যান। আনতে পারলে আমাকেও একটু দিয়েন।’


আমি লাফিয়ে উঠলাম। ফেসবুকের মার্কেট প্লেস, যেখানে মানুষ বিজ্ঞাপন দেয় তাদের বিভিন্ন জিনিস বিক্রির জন্য। মেসেজ আদান-প্রদানের মাধ্যমে বিক্রি হয় জিনিসপত্র। নীতা ভাবির কাছ থেকে নম্বর নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করলাম। তিনি কানাডিয়ান কৃষক। শহরের দোকানে মসুর ডালের ক্রাইসিসে তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে ট্রাকে করে ডাল বিক্রি করছেন। ২২ এলবি ডাল ২০ ডলার। শাহীনকে (বোনের স্বামী) ফোন করে বললাম, ‘তুমি কি মসুর ডাল কিনতে যাবে?’


শাহীন মহা উৎসাহী। দুই সপ্তাহ ধরে সে বাজারে বাজারে ঘুরছে। তার দুটো বাড়ন্ত ছোট ছেলে আছে, যারা বাসায় থাকলে খাবার হজম হওয়ার আগেই তাদের ক্ষুধা লাগে। কোন পিতা-মাতার সন্তানের ক্ষুধার্ত চেহারা ভালো লাগে? ‘যাব আপা, আপনাকে আমি তুলে নেব।’


আমাদের বলা হলো আমরা যেন সেন্টার মলে গোল্ড লাইফ জিমের পার্কিং লটে যাই। সময় চারটা থেকে রাত আটটা। যেহেতু সে খামার থেকে আসছে, সে কারণে পার্কিং লটেই কেনা বেচা হবে। আমি আর শাহীন চারটার আগেই গিয়ে হাজির। এ দেশের মানুষ ঘড়ির কাঁটায় চলে। ঠিক চারটা, চারটায়ই এল। বয়স ৩০-৩৫ হবে। লম্বা, ফরসা, সোনালি চুলের কালো জ্যাকেট পরা সুদর্শন এক তরুণ। তার সঙ্গে গাড়ি চালাচ্ছে মধ্যবয়সী ফরসা, সাদা সোনালি চুলের আরেক কানাডিয়ান। আমার দেশের পরিচিত কৃষকের সঙ্গে এই কৃষকের কোনো মিল নেই। কালো বড় এক ট্রাক ভরে ডাল নিয়ে এসেছে। তার হাতে একটা কাগজের লিস্ট। যারা তাকে ফেসবুকে আগ্রহী হয়ে মেসেজ পাঠিয়েছে, তাদের নাম। তার হাতের কাগজ থেকে আমাদের নাম খুঁজে বের করল।


আমি ফিস ফিস করে বললাম, ‘শাহীন জিজ্ঞেস করো, আমরা কয়টা নিতে পারব?’
শাহীন ওদের দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলল, ‘কয়েকটা বেশি দেবে?’
ওরা বলল, ‘কয়টা চাও?’

লেখকের বোনের পরিবার। ছবি: সংগৃহীত
লেখকের বোনের পরিবার। ছবি: সংগৃহীত

শাহীন একটু ভেবে উত্তর দিল, ‘দাঁড়াও দেখি কয়টা লাগবে, আমার বন্ধুদের জিজ্ঞেস করি।’ সে বন্ধুবান্ধব অনেককেই জিজ্ঞেস করল, ‘মসুর ডাল লাগবে?’ প্রায় ১০ জনের মতো বলল, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ, পুরো বস্তাই চাই।’

কিন্তু আমার কাছে আছে ২০ ডলার, শাহীনের কাছে ২০, সর্বমোট ৪০ ডলার। কিন্তু ১০ প্যাকেটের দাম ২০০ ডলার।

শাহীন বলল, ‘আপা, এক কাজ করি, চলেন, ব্যাংক থেকে অর্থ তুলে আনি।’ ব্যাংক যদিও কাছে না, আমি তবুও রাজি হলাম। মানুষের একটু উপকার করতে পারলে ভালোই লাগে।

ওদেরকে ৪০ ডলার জামানত দিয়ে আমরা ব্যাংকের উদ্দেশে ছুটলাম। হাইওয়ে ধরে গাড়ি ছুটে চলছে। আধা ঘণ্টা পর টাকা নিয়ে এসে দেখি বেশ ভিড়। লম্বা, চওড়া একজন পাকিস্তানি গ্রোসারি (মুদি) দোকানদার তার ট্রাকে তুলছে বেশ কয়েকটি বস্তা।


আমাদের ডালের বস্তা শাহীন পেছনের ট্রাংকে ঢোকাল, পেছনের সিটে তুলল। আমাদের গাড়িতে জায়গা হচ্ছিল না। অনেক কষ্ট করে শাহীন সেগুলোর জন্য জায়গা করল। সে ভীষণ খুশি, কারণ এতগুলো মানুষকে সে কম দামে ডাল দিতে পারছে। আসলে পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ আছে, যারা অন্যের জন্য কিছু করতে পারলে আনন্দিত হয়। সে হচ্ছে সে রকম বন্ধুবৎসল মানুষ।


শাহীন গাড়ি চালাচ্ছিল আর বলছিল, ‘আপা, আর কার কার ডাল লাগবে দেখেন তো। এরা নাকি কালকেও আসবে।’ আমি হেসে বললাম, ‘দেখি দু-একজনকে জিজ্ঞেস করে।’


আমিও ভীষণ আনন্দিত। আমাকে বাসায় নামানোর আগে আমি এজাজকে ফোন দিলাম, ‘এই শোনো, মসুর ডাল কিনেছি, এক বস্তা।’ ঘুমজড়ানো কণ্ঠে বলল, ‘কী বলছো?’


মাইক্রোফোন মুখের কাছে নিয়ে বেশ জোরেই বললাম, ‘মসুরের ডাল কিনেছি।’ সে মহা বিরক্ত হয়ে বলল, ‘আমি ঘুমাচ্ছি, এখন উঠতে পারব না।’ প্রতিদিন বিকেলে সে ঘুমায়। তার প্রিয় ঘুমের ব্যাঘাত সে কিছুতেই করবে না। ১০ কেজি ডাল আমি কীভাবে বাসায় ঢুকাব, বুঝতে পারছিলাম না।


শাহীন বলল, ‘আপা আমি বাসায় রেখে আসব, চিন্তা করবেন না।’ আমাকে নামিয়ে সে বরফ মাড়িয়ে রাস্তায় নামল বাসায় বাসায় ডাল বিলি করতে। শীতের রাত, রাস্তাও এখনো ভীষণ পিচ্ছিল। নিজের টাকায় ডাল কিনে নিজের গাড়ির তেল খরচ করে ডাল পৌঁছে দিল বন্ধুদের বাসায়। তবে তার বন্ধুরা ডালের দাম অবশ্য দিয়ে দিয়েছে।
এদিকে ডাল পেয়ে আমি মহাখুশি। কারণ ২০ ডলারে এক বছরের ডাল। এমনিতেই বাজারে মসুর ডাল নেই। তারপর এত সস্তা। ডাল দিয়ে কী কী পদ করা যায়, একা একা বিড়বিড় করে বিশাল ফর্দ বানিয়ে ফেললাম। অন্যদিকে এজাজ রাগে গজ গজ করতে করতে রান্নাঘরে ঢুকতে গিয়েও ফিরে গেল। তারপর পরক্ষণেই আবার ফিরে এল। মাইক্রোওয়েভে এক কাপ চা বানিয়ে আড়চোখে আমার দিকে তাকাল।
‘তোমার আর শাহীনের সমস্যাটা কী বলো তো?


আমিও খুবই নির্বিকারভাবে বললাম, ‘কোনোই সমস্যা নাই। দাম কমে পেয়েছি, পাইকারি দামে কিনে ফেললাম। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কিনেছি।’ মুচকি হাসলাম একটু।
‘এসব মজুতদারির কোনো মানে হয়?’
তোমার কাছে মজুতদারি মনে হয়, আমার কাছে এটা প্রয়োজন। যদি খাবারের সমস্যা হয়, তবে ভাত আর ডাল খেয়ে অন্তত বেঁচে থাকব। ছয় মাসের শর্করা আর প্রোটিনের ব্যবস্থা করলাম।’
‘তোমার আর শাহীনের জন্যই মনে হচ্ছে বাজারে খাদ্যের ঘাটতি দেখা দেবে।’


আমি তাকে পাত্তা দিলাম না। কানাডায় নারীরা স্বাবলম্বী। বেশির ভাগই কোথাও না কোথাও চাকরি করে। চাকরিজীবী নারীদের স্বামীকে তেমন পাত্তা না দিলেও চলে। বিশেষ করে বাড়িতে কী খাবার কিনব আর কিনব না, সে বিষয়ে তো প্রশ্নের প্রয়োজনই পড়ে না। আমি তাড়াহুড়ো করে চুলায় ডালের চচ্চড়ি বসালাম। আজকের রাতের খাবার রুটি আর ডাল।


এই মসুর ডালের ক্রাইসিসের ব্যাখ্যাটা মনোবিজ্ঞানীরা হয়তো টয়লেট পেপারের সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। প্রথম দিকে করোনা মহামারিতে কেন পাগলের মতো মানুষ টয়লেট পেপার কিনেছে? এ বিষয়ে বন রাইন জিগ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপলাইড সায়েন্সের অধ্যাপক ব্রিটা কান বলেন, ‘সর্বোচ্চ অনিয়ন্ত্রিত, সর্বোচ্চ অনিশ্চয়তা এবং অজানা শঙ্কার মাত্রা থেকে এমন হচ্ছে। আসলে কেউ জানে না কী ঘটতে যাচ্ছে। মানুষ স্বভাবগতভাবে সব সময় পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করে। তাই যখন মাস্ক আর জীবাণুনাশক শেষ হয়ে গেল, তখন মানুষ এমন জিনিস কিনতে শুরু করল যেটা পচনশীল নয়। এ পরিস্থিতিতে টয়লেট পেপার তাদের সামনে নিরাপত্তার প্রতীকরূপে ধরা দিয়েছে।’ সূত্র: প্রথম আলো।
গল্পটা এখানেই শেষ করা যেত। কিন্তু আরেকটু যদি না বলি, তবে অসমাপ্ত থাকবে, যা বলতে চেয়েছিলাম ।
মার্চের শেষ সপ্তাহ, তত দিনে অভিবাসীদের গ্রোসারিতে মসুর ডাল এসেছে।

শাহীন ফোন করল, ‘আপা জানেন, ওই যে ডাল কিনল না পাকিস্তানি ওই দোকানটায়, তারা কিন্তু সেই ডালই দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে।’
‘কী বলো?’
‘তা হলে তো আমরা লাভই করেছি।’ সস্তায় কিছু কিনতে পারলে নারীরা ভীষণ আনন্দিত হয়। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। আমি হাসতে থাকলাম।
‘লাভ মানে? ১০ কেজি ডাল ২০ ডলার।’ সেও সস্তায় ডাল কিনে মহাখুশি।
‘তোমার বন্ধুরা খুশি তো?’
‘খুব খুশি আপা।’
‘তোমার বাজার সদাই কেমন চলছে?’
সে মন মরা গলায় বলল, ‘বেশির ভাগ অভিবাসীদের দোকানেই সবকিছুরই দাম বাড়িয়ে দিয়েছে আপা।’
‘কী বলো? কানাডিয়ানদের দোকানেও?’
‘না আপা, তারা অবশ্য বাড়ায়নি।’


তখন মার্চের শেষের দিকে। সে সময় কানাডিয়ান দোকানগুলো জিনিসপত্রের চালান দিয়ে কূল পাচ্ছিল না। কিন্তু তারা তখন কোনো কিছুরই দাম বাড়ায়নি। প্রচণ্ড ভিড়ে কাজ করতে করতে ক্লান্ত কর্মীরা এগিয়ে এসেছেন সাহায্যে করতে। কোনো কিছু খুঁজলে দৌড়ে ছুটে গেছেন গোডাউনে, যদি পাওয়া যায়, যদি কাস্টমারকে সাহায্য করা যায়। আর আমাদের মতো অভিবাসীরা জিনিসপত্রের দাম আগুন বানিয়ে এক বছরের ব্যবসা এক মাসেই করার চেষ্টা করেছে। অথচ এসব দেশে কোনো উৎসব, পার্বণে জিনিসের দাম কমিয়ে দেয় দোকানগুলো। এমনকি ঈদের সময়ও সুপার স্টোরে অনেক কিছুই সেলে (sale) থাকে। এটাই ওদের কাছে স্বাভাবিক। তাই এত বড় দুর্যোগে তারা দাম বাড়িয়ে খদ্দেরকে নিরাশ করবে না। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী শুধু ব্যবসাটাই ভালো বোঝে। আবার অনেকেই বিশ্বাস করে, মানবিকতা অনেক বড় । মানুষের লোভ-লালসা, অসততা ছাপিয়ে সবচেয়ে বড় তার মনুষ্যত্ব।

জানি না এই কোভিড-১৯ কি অবশেষে আমাদের মানবিকতা ফিরিয়ে দেবে? আমরা আবার পরিশুদ্ধ হয়ে নূতন পৃথিবীতে ভালোবাসা আর সহমর্মিতার চারা রোপণ করব? হয়তো সময়ই বলে দেবে।
যদি বেঁচে যাই তবে কি নতুন পৃথিবী হবে ভালোবাসাময়?


যদি বেঁচে যাই বেরিয়ে আসবে শামুকের পুরোনো খোলস ছেড়ে মানুষের কোমল হৃদয়খানি? চলবে...।