গৌরী চৌধুরীর অ্যালবাম 'জাগো মানুষ' আসছে

সব্যসাচী শিল্পী শ্রীমতী গৌরী চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
সব্যসাচী শিল্পী শ্রীমতী গৌরী চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব ও ঘরবন্দী মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বা সেলফ আইসোলেশনে প্রেরণা জোগাতে নতুন সংগীত নিয়ে আসছেন ব্রিটেনের অন্যতম প্রধান সব্যসাচী শিল্পী গৌরী চৌধুরী। ‘জাগো মানুষ’ নামের এই কম্পোজিশন অচিরেই ইউটিউবসহ ব্রিটেনের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক চ্যানেল ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হবে।

‘জাগো মানুষ’ কম্পোজিশনের কথা লিখেছেন সাংবাদিক অপূর্ব শর্মা, সুর করেছেন কলকাতার প্রখ্যাত গণসংগীতশিল্পী শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার, সংগীত বিন্যাস ও পরিচালনায় পরাগ হাসান।

‘জাগো মানুষ’ নামের গৌরী চৌধুরীর এই কম্পোজিশন অচিরেই ইউটিউবসহ ব্রিটেনের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক চ্যানেল ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হবে। ছবি: সংগৃহীত
‘জাগো মানুষ’ নামের গৌরী চৌধুরীর এই কম্পোজিশন অচিরেই ইউটিউবসহ ব্রিটেনের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক চ্যানেল ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হবে। ছবি: সংগৃহীত

গৌরী চৌধুরী প্রায় ৩৫ বছর ধরে ব্রিটেনে ভারত উপমহাদেশীয় সংগীতের প্রচার ও নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তাঁর জন্ম বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায়। পণ্ডিত রবিশঙ্কর ও বিটলসের জগদ্বিখ্যাত গায়ক জর্জ হ্যারিসনের স্নেহধন্য গৌরী বাংলা সংগীতের পতাকা হাতে নিয়ে, কখনো কখনো প্রথম বাঙালি শিল্পী হিসেবে গান করে বেড়িয়েছেন রয়েল আলবার্ট হল, রয়েল ফেস্টিভ্যাল হলসহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন সম্মানজনক ভেন্যুতে। বিখ্যাত সব সংগীত উৎসবেও গেয়েছেন তিনি। ‘সারেগামাপা’সহ বিভিন্ন রিয়েলিটি শোতে গান গেয়ে মনযোগ কাড়েন হৈমন্তী শুক্লাসহ ভারতের নামজাদা সব সংগীতশিল্পীর। সম্প্রতি রয়েল ফেস্টিভ্যাল হলে বাঙালি–অবাঙালি কিশোরদের দিয়ে বাংলা লোকসংগীত পরিবেশনার এক ঐতিহাসিক প্রকল্পে নেতৃত্ব দেন।

গৌরী চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে মানুষের এই দুর্যোগে আমার মনে হয়েছে শিল্পী হিসেবে আমার বা আমাদের কিছু করা উচিত। ভেবে দেখেছি, মানুষকে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ে অনুপ্রাণিত করা ছাড়া শিল্পী হিসেবে অবদান রাখার ক্ষেত্র খুব সীমিত। ভেবে রেখেছিলাম নতুন গান করব। আমার জন্য গান লিখেছেন সাংবাদিক অপূর্ব শর্মা, এই গানের সুর করেছেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী শুভপ্রাসাদদা। এই নতুন গানর সংগীতবিন্যাসে এগিয়ে এসেছে অনুজপ্রতিম পরাগ। আমি তাদের কাছে যারপরনাই কৃতজ্ঞ।’

গৌরী চৌধুরী বলেন, ‘এই ক্রান্তিলগ্নেই আমরা টের পাচ্ছি মানবিকাতাই মানুষের একমাত্র ধর্ম। মানুষের মধ্যে ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় ইত্যাকার বিভাজনের কোনো ভিত্তি নেই। মানুষকে এখন মানুষের পাশেই দাঁড়াতে হবে। ঘরে মানুষ যখন বসে আছে, আমি আশা করি সবাই আমাদের চারদিকের মানুষের কথা ভাবব, পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যথাসাধ্য এগিয়ে আসব আর ভালো গান শুনব। আমাদের এই ক্ষুদ্র পরিবেশনা যদি মানুষের আত্মবিচ্ছিন্নতার সঙ্গী হতে পারে, আমরা নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করব।’