কাব্যংশ!
শহর জুড়ে কার্ফ্যূ! ফারেনহাইট ৪৫১!
রাজার নির্দেশে মস্ত ফায়ার প্লেসে পুড়ছে কাব্য;
অবশ্য ভোজ্য কবিতা নয়,
বিলুপ্ত সভ্যতার বিশুদ্ধতায় আছে যে টুকু ভবিতব্য।
এ শহরের আজ সন্ধ্যার কারুকার্যে ওঠেনি তারার ঝালর,
নদী আর নারীর আড়ালে মুখোমুখি বসিবারও ছিল না কেউ;
অভিমানী জীবনানন্দ গুছিয়ে নেয় জীবনের অভিযোগ—
ট্রামের সমান্তরালে বিষন্ন বেদনায় জিঁইয়ে রয়
কেবল মাত্র একটি, কমলা লেবুর শোক।
অতঃপর গলির মোড়ে, ঝলসানো পূর্ণিমার চাঁদে,
কবি সাইন বোর্ডে বিক্রিত ভোজ্য কবিতা:
সুকান্তের ক্ষুধার রাজ্যে পদ্য আর ডালের ঘুগনীতে
উদর পূর্তির উল্লাসে আজ আরামবাগের, সকল বার-বনিতা!
আজ থেকে কেউ আর পদ্য লিখবে না—
শেকল ভাঙ্গার রক্ত গানে, জাগবে না নজরুল-
দিনশেষে হয় না কাটা কৃষকের ধান
শুন্য রবি ঠাকুরের সোনার তরী, ঘুমায় আদরের বুলবুল।
এ ভীষণ দুঃসময়ে যদি বলো, কবিতা লিখতে-
কাঁচা পাকা চুলে কলপ মাখিয়ে, পেডিকিওর-মেনিকিউরে রং বদলে
আমি বরং রাজ- দরবারে
ভোজ্য কবিতার আসরেই নাম লিখাবো!