স্পেনে প্রবেশকারীদের ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন

স্পেনের বারাখাস বিমানবন্দর। ছবি: লেখক
স্পেনের বারাখাস বিমানবন্দর। ছবি: লেখক

ইউরোপ ও ইউরোপের বাইরে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে স্পেনে প্রবেশ করা সব যাত্রীকে বাধ্যগতভাবে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই নির্দেশ জারি করেছে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে তারা শুধু স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ফার্মেসিতে যেতে পারবেন। এ ছাড়া বাধ্যগতভাবে তাঁদের মাস্ক পরতে হবে। গত মঙ্গলবার (১২ মে) স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনাটি রাষ্ট্রীয় অফিশিয়াল বুলেটিনে (বিওই) প্রকাশিত হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে এ নির্দেশনাটি কার্যকর হবে।

স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রদত্ত নির্দেশনায় জানানো হয়, শুক্রবার (১৫ মে) থেকে জরুরি অবস্থা চলাকালীন অর্থাৎ ২৪ মে পর্যন্ত যেসব যাত্রী স্পেনে প্রবেশ করবেন, তাঁদের অবশ্যই ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তবে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সংসদে যদি জরুরি অবস্থা আরও বৃদ্ধির অনুমোদন দেওয়া হয়, তবে স্পেনে প্রবেশকারীদের জন্য সে নির্দেশনা জরুরি অবস্থার বাড়ানো সময় পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

স্পেনের জাতীয় পত্রিকা এল পাইস–এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ইউরোপিয়ান দেশগুলোর পদক্ষেপ অনুযায়ী স্পেন দেশটিতে প্রবেশকারী যাত্রীদের হোম কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে কেবল অন্য দেশ থেকে আসা স্পেনের বিচ্ছিন্ন অধিবাসী ও ইতালি থেকে ভ্রমণ করা স্পেনের অধিবাসীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন চালু করার নির্দেশনা ছিল। তবে নতুন গেজেট অনুযায়ী শুক্রবার থেকে সব আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীকে স্পেনে প্রবেশের পর হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

বারাখাস বিমানবন্দরে লেখক। ছবি: সংগৃহীত
বারাখাস বিমানবন্দরে লেখক। ছবি: সংগৃহীত

হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাকালীন কেবল অবশ্যপ্রয়োজনীয় পণ্যাদি যেমন খাবার ও ওষুধ কেনা এবং চিকিৎসা সহায়তা নিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। তবে সর্বদা মাস্ক পরতে হবে। কোয়ারেন্টিনে থাকাকালীন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ পৃথকভাবে স্বাস্থ্যের অবস্থা যাচাই করতে যোগাযোগ করবে এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে নিজেদেরই স্বাস্থ্যসেবায় ফোন করতে নির্দেশনা দেওয়া হবে। বিমান সংস্থাগুলো যাত্রীবাহী লোকেশন কার্ড প্রদান করবে এবং স্পেনে প্রবেশের সময় যাত্রীদের অবশ্যই সেই কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে।