ধন্যবাদ প্রিয় প্রাইম মিনিস্টার

কানাডার সাসকাতুন শহরের লেক। লেকের পাড়ে সারি সারি বাড়ি। ছবি: লেখক
কানাডার সাসকাতুন শহরের লেক। লেকের পাড়ে সারি সারি বাড়ি। ছবি: লেখক

আকাশে গনগনে রোদ। সেই গনগনে রোদ মেখে প্রকৃতি অদ্ভুত সুন্দর রং এর খেলায় মেতেছে। এ রকম আলো মাখা সোনালি দিনে আমার মনটা ভীষণ ফুরফুরে। কারণ শরীরটা ভালো লাগছে। কাল রাতে ভালো ঘুম হয়েছিল। দুটো প্যারাসসিটামল খেয়েছিলাম ঘুমানোর আগে। সে কারণেই কি না জানি না আজ, ঝর ঝরে শরীর নিয়ে ঘুম ভেঙেছে।

আগে প্রতিদিনই আমি বাড়ির পাশে গভীর নীল জলে টলমল লেকটার বেঞ্চে গিয়ে বসতাম। আকাশের শেষ কোনাটা এসে মিশেছে লেকের যেখানে ঠিক সেখানেই সূর্যটা ডুবো ডুবো হয়। সিদুর রাঙা সে সূর্য আস্তে আস্তে মিলিয়ে যায় উঁচু টিলার মতো বাঁধটায়। ঠিক তখনই কি বিষণ্নতা পেয়ে বসে শান্ত লেকটিতে। ভীষণ বিবর্ণ হয়ে যায় পাশের উঁচু বাঁধটা। তখন আস্তে আস্তে ছোট বাড়িগুলোর ফ্যাকাশে বাতিগুলো জ্বলতে থাকে। তখন আমার ভেতর ভীষণ এক নস্টালজিয়া কাজ করে।
আজ কি মনে করে হাঁটতে থাকলাম, ধীর লয়ে উল্টো দিকে। দুটো ব্লক পরই ছোট বোন শীলার বাড়ি। আস্তে আস্তে পেছনের বাগানের কাঠের দরজা খুলে আমি ওদের কাঠের ঝুলন্ত বারান্দায় (ডেক) গিয়ে উঠলাম। ওখানে একটা চমৎকার স্টিলের শরীরের সঙ্গে নীল খদ্দর কাপড়ের দিয়ে গদি পাতা ছোট্ট দোলনা আছে। আমি শীলার ডেকে গিয়ে চুপচাপ দোলনাটায় বসলাম। কাচের দরজা দিয়ে ভেতরটা পুরোই দেখা যায়। টিভি চলছে। শীলার দুই ছেলে চোখের পলক না ফেলে সেদিকে তাকিয়ে আছে। শীলা পাশের সোফায় বসে মোবাইলে কথা বলছে।

এদেশে সরকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলছে প্রতিনিয়ত। তাই আর ভেতরে ঢুকলাম না। বাইরেই থাকি, দোলনায় বসে এটাই ভালো। ওর ছোট দুটো বাচ্চার কাছ থেকে দূরে থাকাই উত্তম। বলা তো যায় না আমিই বহন করছি কি না করোনা জীবাণু। এই জীবাণু বহনকারী নিজের অজান্তেই অন্যকে সংক্রমিত করে। এখান থেকে দূরের বড় রাস্তা (হাই ওয়ে) দেখা যায়। দ্রুতগতিতে গাড়িগুলো ছুটে চলে। সেই চলায় এক ভীষণ গতিময়তা আছে। সেই গতি আমাকেও ছুয়ে যায়। আমি এই দোলনায় বসে সেই দুলতে দুলতে গতির মধ্যে জীবনের স্পন্দন খুঁজি।
নির্জন ডেকের নীরবতা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় শীলার ফোনের বাক্যলাপে।
‘শীলা মেরিত লটারি লাগ গিয়া (আমার তো লটারি লেগে গিয়েছে)।’ লাউড স্পিকারে উচ্চ স্বরে ভেসে এলো রোজিনার কণ্ঠের আনন্দ–উচ্ছ্বাস।
কিয়া বলতা হায়? শীলা চিৎকার করে উঠলো ভুলভাল হিন্দিতে। শীলা একটু জোরেই কথা বলে। এখন যেন সে শব্দ আরও বেড়ে গেল। সে সোফায় বসে ছিল, সেখান থেকে লাফ দিয়ে কার্পেটে পা রাখল আলতো করে। তারপর কোনো রকম টলতে টলতে লিভিং রুম থেকে বেরিয়ে এলো ডেকে। চেহারায় বিস্ময়। আমাকে ইশারায় তার মোবাইল দেখাল। আমি তো শুনতেই পাচ্ছিলাম। তারপরও চোখ বড় করে আশ্চর্য হয়ে ইঙ্গিতে বোঝালাম, শুনতে পারছি।
সে উর্দুতে যা বলল, তার বাংলা করলে এমন দাঁড়ায়, শীলা যেদিন রাতে জাস্টিন ট্রুডোর ঘোষিত কানাডা ইমার্জেন্সি বেনিফিটে (Canada Emergency Response Benefit) আবেদন করেছি। সেদিন মাঝরাতে ঘুম ভেঙে দেখি চার হাজার ডলার আমার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। আমার দুই হাজার, আমার স্বামীর দুই হাজার।

লেকের পাড়ে দোলনায় লেখক। ছবি: সংগৃহীত
লেকের পাড়ে দোলনায় লেখক। ছবি: সংগৃহীত

শীলা চেঁচিয়ে বলল, আবারও ভুল হিন্দি, বাংলা মিশিয়ে। কিয়া বলতা হ্যায়? কি বলো চার হাজার ডলার? এক রাতে?
হ্যাঁ, শীলা এক রাতে। শুধু তা–ই নয়, আজ ব্যাংকে জিএসটির (Goods and Services Tax calculation) টাকা জমা হয়েছে, ১ হাজার ৫০ ডলার। এই সেলস ট্যাক্স তিন মাস অন্তর কানাডিয়ানরা পায়।
শুধু এই নয়। রোজিনা ১৮ বছরের নিচে তিন বাচ্চার জন্য এই আপৎকালীন চাইল্ড বেনিফিট পাবে (Child tax Benefit) ১ হাজার ৬০০ ডলার। তার ছেলে ইউনিভার্সিটি প্রথম বর্ষে যাচ্ছে, সে পাচ্ছে ১২৫০ ডলার। সব মিলিয়ে পুরো পরিবারের জন্য ব্যাংকে এসে জমা হচ্ছে সাত হাজার পঞ্চাশ ডলার। এই মহাদুর্যোগের সময়ে প্রতি মাসে এ রকম কমবেশি টাকা সরাসরি জমা হবে ব্যাংকে।
শীলা মাথায় হাত দিয়ে স্টিলের চেয়ারে বসে পড়ল। ওরে আল্লাহ, জাস্টিন কি টাকার খনি খুলে বসেছে?
আসলেও তাই জাস্টিন ট্রুডো টাকার খনি নিয়ে বসেছেন। রোজিনা এসেছে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে। সাসকাচুয়ান প্রভিন্সের নোমিনি পোগ্রামে। সে কসকো গ্রোসারি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কাজ করে। তার স্বামী ট্রাক চালায়। এত টাকা একসঙ্গে পেয়ে মাথাতো খারাপ হওয়ারই কথা।
আরেকজন শীলার বন্ধু নাবিলা, সেও পাকিস্তান থেকে এসেছে তার পরিবার নিয়ে। তিনটা ছোট বাচ্চা নিয়ে কোনো রকম প্রবাসজীবন কাটছিল। নাবিলা কসকোতে কাজ করে। স্বামী পিৎজার দোকানে কাজ করে। বাসায় বাসায় পিৎজা ডেলিভারি দেয়। তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যখন মাঝরাতে টাকা আসতে থাকলো, তখন স্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেল। নাবিলার ধারণা হলো, যেভাবে স্রোতের মতো ব্যাংকে টাকা ঠুকছে, তেমনি কোন একদিন ট্রুডো এই টাকা বিভিন্ন ট্যাক্সের ফাঁদে ফেলে নিয়ে নেবেন। কিংবা কখন সরাসরিই বলবে টাকা ফেরত দাও। তাই এ টাকা সে নিতে চায় না। জোর করে স্বামীকে আবার পিৎজা ডেলিভারতে পাঠাল।
তবে সবার ভাগ্যে এমন শিকে ছেঁড়েনি। কিছু শর্তও আছে। কোভিড–১৯–এর জন্য যাদের চাকরি আপাতত বন্ধ আছে, কিন্তু দুই হাজার টাকার কম ইমপ্লয় বেনিফিট (Employment Insurance benefit) আসবে, তারাই মাসে দুই হাজার ডলার পাবেন। অথবা স্কুল বন্ধ হওয়ায় যেসব মায়েদের কাজ বাদ দিয়ে ঘরে থাকতে হবে, তাদেরও মাসে দুই হাজার টাকা দেওয়া হবে। এ রকম বেশ কিছু শর্ত দেওয়া আছে। আমি আর এজাজ যেহেতু বেতন পাব কোম্পানি থেকে, তাই আমরা কোনো টাকা পাব না। তবে আমার কন্যা রোদেলা ইউনিভার্সিটির ছাত্র হিসেবে মাসে ১ হাজার ২৫০ ডলার পাবে।

করোনা মোকাবিলায় নানান পদক্ষেপের কারণে বেশ জনপ্রিয়তার তুঙ্গে এখন জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: সংগৃহীত
করোনা মোকাবিলায় নানান পদক্ষেপের কারণে বেশ জনপ্রিয়তার তুঙ্গে এখন জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: সংগৃহীত

এ দেশে আঠারো বছর বয়সের আগ পর্যন্ত চাইল্ড বেনিফিট দেওয়া হয়। সেটিও বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। জিএসটি সেটিও বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে এই আপৎকালীন সময়ের জন্য।
মোদ্দা কথা, যাদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে, তারা যেন কোনো রকম আর্থিক সমস্যায় না থাকেন, পরিবার নিয়ে রিল্যাক্স থাকে এবং সেফ থাকে। বাড়িভাড়া, বাজার নিয়ে দুশ্চিন্তায় ঘুম হবে না, তা যেন না হয়।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তাঁর বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘আমরা বৃষ্টির দিনে ব্যয় করার জন্য দিনের পর দিন সঞ্চয় করেছি, উদ্বৃত্ত অর্থ রেখেছি। আজ দেশে বৃষ্টি হচ্ছে, আমরা সেই সঞ্চয়, সেউ উদ্বৃত্ত অর্থ ব্যয় করব।’ তিনি তাই করছেন। করোনাভাইরাসের ফলে অর্থনীতির যখন মুখ থুবড়ে পড়ছে তিনি তখন সব পেশার, সকল শ্রেণির মানুষের হাতে প্রয়োজনীয় অর্থ থাকে, সেটা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করলেন। তিনি তার কথা রাখলেন।
আর তাই রমণীকুলের হৃদয়ে ঝড় তোলা বিশ্বের মানবিক নেতা সবার হৃদয়ের মণি হয়ে গেলেন ট্রুডো। তিনি কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। তাই রোদেলাকে যখন প্রশ্ন করলাম, তুমিও তো টাকা পেলে উনার কাছ থেকে। নেবে তো?
মেয়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে একটু ইতস্তত করল, তারপর বলল, হ্যাঁ, হতে পারে সে এই করোনাটা ভালোভাবেই মোকাবিলা করছে, কিন্তু তারপর অর্থনৈতিক ধাক্কাটা কীভাবে সামলায়, সেটাই দেখার বিষয়।
আমি হাসলাম, তবুও জাস্টিনকে পছন্দ না।
সে তাঁর দায়িত্ব পালন করেছে মা। রাষ্ট্রের জনগণকে ভালো রাখাই তাঁর কাজ।
এরপরও সবাই তো আর তা করে না। ট্রাম্প কি করছে?
সবাই করে না মানে? এটা কানাডা, এখানে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র, মানুষের কল্যাণে তাঁকে কাজ করতেই হবে।
কথা না বাড়ানোই ভালো, কারণ সে উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছে। তাই হালকা সুরেই বললাম, কী সুন্দর সে দেখতে?
দেখতে সুন্দর বলে তুমি তাকে পছন্দ করো? তুমি পারও বটে। তুমি একটা টিন–এজারের মতো অ্যাক্ট করছ মা।
কেন তোমার কাছে তাকে সুন্দর মনে হয় না?
সে দেশের নেতা, নেতা হিসেবে সে কতটা কাজের, সেটাই মুখ্য, মা। সে এবার মোবাইল রেখে দিল। এ রকম ঠাস করে মোবাইল রাখা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কথা পছন্দ না হলে সে এরকমই করে।
যে মানবিক নেতাটি নিয়ে মা-মেয়ের ঝগড়া তিনি কিন্তু তার কথা রেখেছেন। সেল্ফ আইসোলেশনে থাকা জাস্টিন ট্রুডো তাঁর বাড়ির রিডো হল কটেজের পোডিয়ামের সামনে এসে প্রতিদিন দাঁড়াচ্ছেন। নাগরিকদের ভরসা দিচ্ছেন। আর কি ভীষণ আন্তরিকতায়, ভীষণ মায়ায় সবাইকে আশ্বস্ত করছেন। আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাঁর কথা শুনি। ভালো লাগায়, শ্রদ্ধায় মন ভালো হয়ে যায়। মনে মনে বলি, ভালো থাকুন আপনি প্রিয় নেতা। আর পৃথিবীর মানুষকে জানিয়ে দিন, নেতারা এমনই হয়।

শেষ বিকেলে লেকের পাড়ে। ছবি: লেখক
শেষ বিকেলে লেকের পাড়ে। ছবি: লেখক

উজ্জ্বল, ঝিকিমিকি মায়া মাখানো তাঁর চোখে এসে লুটিয়ে পড়ে, দু–একটা সাদা-কালো চুল। সেই চুলের ঝাপটা এসে রমণীদের বুকের মাঝে ঝাঁকুনি দেয়। তিনি ট্রল হতে থাকেন।
এপ্রিলের বিকেলের রোদ যখন নিভু নিভু করে, তখন প্রকৃতি ভীষণ নীরবতায় মগ্ন হয়। সেই নীরবতা ভেঙে কানাডিয়ানরা সাইকেল নিয়ে বের হয়। কেউবা দুহাতে কুকুরের রশি নিয়ে দ্রুতলয়ে হেঁটে চলে। সন্ধ্যার দিকে এদিকটায় লেকের পাড়ে ভীষণ নির্জনতা। এই নির্জন নৈঃশব্দ্যে হাঁটতে হাঁটতে আমি আমার বিজ্ঞ স্বামীকে প্রশ্ন করি, জাস্টিন যে এমন টাকা বিলাচ্ছে, এ বিষয়ে তোমার বক্তব্য কী?
সে আমার এসব প্রশ্নে একটু খানি হাসবে, তারপর খুব গম্ভীর হয়ে কথা শুরু করবে, প্রথমত, তার সাহস আর সদিচ্ছা আছে।
দ্বিতীয়ত, তিনি কোভিড–১৯ ক্ষতিগ্রস্ত ধনী, গরিব, প্রশফেসনাল, নন–প্রফেসনাল সবাইকে সমান হারে দুই হাজার করে ডলার দিচ্ছেন। সবার মর্যাদা (স্ট্যান্ডার্ড) একই ধরা হয়েছে।
সরকারের সামর্থ্য আছে এবং সাহসও আছে। আর যদি অর্থনৈতিক সাহায্য না দেওয়া হতো, তাহলে হাউজিং মার্কেট, ব্যাংক, দোকানপাট সব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ত। মানুষ না খেয়ে মরত। দেশে অরাজকতা শুরু হতো।
কিন্তু তাই বলে এত টাকা?
এটা এত টাকা না। আমরা কানাডায় অভিবাসী। তাই টাকাটা আমাদের কাছে বেশি মনে হচ্ছে। এ কারণে অভিবাসীরা এখন সব পোলাও-মাংস খাচ্ছে।
তার এসব হালকা রসিকতায় হাসলেও আমি আবারও মুগ্ধ হলাম। বৈশ্বিক মহামারির সময় এখনো জাস্টিন ট্রুডোর সরকার বলিষ্ঠ হাতে দক্ষতা নিয়ে সবকিছু মোকাবিলা করছে। অন্তত এই দুর্যোগে কানাডিয়ান সরকার ধনী-গরিব সবাইকে এক কাতারে ফেলেছে। কারও টাকা অন্য কেউ মেরে দিচ্ছে না। কেউ বেশি পেল, কেউ পেল না এ রকম অরাজকতা নেই।
এই মুহূর্তে পৃথিবীর দরকার সঠিক, দক্ষ নেতৃত্ব। করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে হিমশিম খাওয়া বিশ্ব পরিস্থিতি আতঙ্কি নিজের দেশের নাগরিকদের সামনে তিনি নির্ভরতার এবং আস্থার হাত বাড়িয়ে রেখেছেন। পুরো বিশ্বের মানুষ তার সাহস, দক্ষতায় আর দৃঢতায় মুগ্ধ। কোনো কৃতিত্ব তিনি একা নিচ্ছেন না। সরকারি কর্মকর্তা, রিসার্চার, স্বাস্থ্যকর্মীসহ সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি তাঁর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, ছাত্র, ফ্রন্ট লাইন কর্মী সবার কথা ভাবছেন। কথা রাখার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় প্রাইম মিনিস্টার। চলবে....