গ্রিসে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু

গ্রিসে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু। ছবি: সংগৃহীত
গ্রিসে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গ্রিস দারুণ সফলতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বিশ্ববাসীর কাছে। গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের প্রাণকেন্দ্র সিনদাগমায় সব নামী ব্র্যান্ডের শোরুমগুলো নব সাজে সজ্জিত হয়ে ক্রেতা আকৃষ্টে ব্যস্ত সময় পার করছে। জারা, এইচ এম, মার্ক স্পেনসার্স, ম্যানগো, সুইস ওয়াস, পোল অ্যান্ড বার, বসসহ নানান ধরনের মূল্য ছাড়ের মাধ্যমে গ্রাহক আকর্ষণের অফার দিচ্ছে।

দ্বিতীয় ধাপে লকডাউন উঠিয়ে গ্রিসে ৬০ শতাংশ স্বাভাবিক জীবন কাটাচ্ছেন জনগণ। তবে বাস ও ট্রেনে ভ্রমণ করতে হলে অবশ্যই মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণও করা হচ্ছে। চালু হওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কর্মে ব্যস্ত সময় পার করছেন জনগণ।

বাধ্যবাধকতার জন্য এখনো যেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, সেগুলো পুনরায় প্রণোদনার আওতায় রেখেছে গ্রিস সরকার।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আগামী ১৫ জুন থেকে সম্পূর্ণভাবে লকডাউন মুক্ত হবে গ্রিস।

ঘর ছেড়ে মানুষ গ্রিসের রাস্তায়। ছবি: সংগৃহীত
ঘর ছেড়ে মানুষ গ্রিসের রাস্তায়। ছবি: সংগৃহীত

১৫ মে গ্রিসের সব সরকারি–বেসরকারি অফিস আদালত চালুর সিদ্ধান্ত রয়েছে। কিন্তু ১৬ ও ১৭ তারিখ শনি ও রোববার হওয়ায় কার্যত ১৮ মে সোমবার থেকে গ্রিসের অফিস–আদালত চালু হবে। একই সময়ে অভ্যন্তরীণ রোডের জলযান ও আকাশপথে সীমিতসংখ্যক উড়োজাহাজ চলাচলের অনুমোদন রয়েছে।

মহামারি করোনাভাইরাস মুক্ত এখনো পুরোপুরি হতে পারেনি গ্রিসবাসী। প্রতিদিন ১০, ১৮, ২০ জন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হচ্ছেন। আজ (গতকাল বুধবার) ১৬ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। আজকের (গতকাল বুধবার) ৩ জনসহ মোট মৃত্যু ১৫৫ জন। এ ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আইসিওতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সংখ্যা কমে ২৮ জনে নেমে এসেছে। মোট সুস্থ হওয়ার রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৩৭৪ জন। সর্বশেষ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৭৬০ জন।