জাপানে ঈদে প্রীতি ফুটবল প্রবাসীদের

ঈদের দিনে ফুটবল ম্যাচ।
ঈদের দিনে ফুটবল ম্যাচ।

পুরো এক মাস সিয়াম সাধনার পর এল খুশির ঈদ, তখন জাপানে করোনায় নতুন করে আক্রান্তের আশঙ্কাও কমে এল। প্রায় সবাই স্বেচ্ছায় ঘরবন্দী থেকে অনেকটা হাঁপিয়ে উঠলে বাংলাদেশি ছাত্র-পেশাজীবীদের ব্যতিক্রমী আনন্দ দেওয়ার জন্য প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয় ঈদে। 

আয়োজক জাপান থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা অনলাইন পত্রিকা বিবেকবার্তা।
জাপানে ২৪ রোববার উদ্‌যাপিত হয় ঈদুল ফিতর। এ দিন মসজিদে নামাজ না পড়লেও পরিচিত বন্ধুবান্ধব যাঁরা খুব কাছাকাছি বসবাস করেন, তাঁরা কারও বাসায় সম্মিলিতভাবে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে খুব অল্প সময়ের নোটিশে মো. এস আর রিয়াদুল হাসান বিভিন্ন ছাত্র ও পেশাজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে টোকিওর কিতা ওয়ার্ডের আকাবানে রেলস্টেশনে সবাইকে জমায়েত করেন। সেখান থেকে আরাকাওয়া নদীর ধারে দল বেঁধে সবাই গিয়ে খেলার আগে যখন জড়ো হন, তখন সবার মধ্যে ছিল অন্য রকম এক আনন্দ।
উপস্থিত বাংলাদেশি সবাই নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে ১১ জন করে সাদা ও কালো দুই দলে বিভক্ত হয়ে খেলতে শুরু করেন। ৭০ মিনেটের খেলায় সাদা দল ২ এবং কালো দল ১ গোল করে। পরে উভয় দলকে আরও সময় দেওয়া হয়। তবে আর গোল হয়নি, রেফারি সোহেল রানা খেলা শেষের বাঁশি বাজান।

প্রথমার্ধের খেলা শুরুর পর ১৫ মিনিটের সময় গোল করেন কালো দলের মনির হোসেন। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ২০ মিনিটের সময় সাদা দলের পক্ষে নিজাম উদ্দিন গোল পরিশোধ করে দুই দলের মধ্যে সমতা নিয়ে আসেন। তার পাঁচ মিনিট পরেই সোহাগ সাদা দলের পক্ষে আরও একটি গোল করেন। এরপর দুই দলের মধ্যে চলে বেশ উত্তেজনা। শেষ পর্যন্ত সাদা দলের কালো দলকে ২-১ গোলে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে খেলার সমাপ্তি টানা হয়।
কালো দলে খেলেছেন মো. জয়দুল ইসলাম (অধিনায়ক), নূর মো. কাউছার, মো. সিদ্দিক, মো. ঝুমন আলম, মো. খায়রুল আলম, মো. মনির হোসেন (গোলরক্ষক), মো. আরিফুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান, মো. আবু সাঈদ, মো. জোবায়ের, মো. মাসুম, মো. রাসেল।
সাদা দলের হয়ে খেলেছেন মো. রিয়াদুল হাসান (অধিনায়ক), মো. তারেক, সাঈদ, মাসুম, খান, নিজাম, রিপন কায়েস, সোহাগ, আরাফাত আসিফ সরকার (গোলরক্ষক)।
দিনটি ছিল ছুটির দিন। অনেকের কোন কাজ না থাকায় খেলায় অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে অনেক দর্শক মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন। তাঁরা খেলোয়াড়দের বেশ উৎসাহ দেন। নিজেরাও আনন্দ–উল্লাস করেছেন।
প্রতিযোগিতায় সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হন মো. জাহিদুল ইসলাম তারেক।
বিবেকবার্তা সম্পাদক পি আর প্ল্যাসিড উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন। খেলা শেষে তিনি বলেন, ‘বিদেশের বাড়িতে আমরা কাজ আর বাসার মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে অনেকেই হোম সিকে ভোগী। মাঝেমধ্যে এ ধরনের খেলার আয়োজন করলে বিদেশের বাড়িতে আমরা এভাবে এক হয়ে অনেককেই ভিন্ন রকম আনন্দ দিতে পারি। ভবিষ্যতেও এমন নানা আয়োজন করা হবে।’
খেলা আয়োজনের মাধ্যমে পি আর প্ল্যাসিড সবার সঙ্গে ঈদ আনন্দ শেয়ার করার মাধ্যমে সবার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করে বক্তব্য দেন।