পর্তুগাল পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত

ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে পর্যটকদের জন্য দরজা খুলছে পর্তুগালের। ছবি: সংগৃহীত
ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে পর্যটকদের জন্য দরজা খুলছে পর্তুগালের। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান মহামারির প্রেক্ষাপটে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ পর্তুগালের দরজা খোলা হয়েছে। দেশটি এখন পর্যন্ত ভাইরাসের সংক্রমণ নির্মূল করতে না পারলেও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ নিয়েছে, কেননা পর্যটন খাত থেকে দেশের মোট জিডিপির ১৯ শতাংশ আসে।

পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগস্টো সন্তোস সিলভা স্থানীয় এক পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পর্যটকদের পর্তুগালে স্বাগতম।

পর্যটন খাত থেকে মোট জিডিপির ১৯ শতাংশ আসে পর্তুগালের। ছবি: সংগৃহীত
পর্যটন খাত থেকে মোট জিডিপির ১৯ শতাংশ আসে পর্তুগালের। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে সরকারের ইন্টার্নাল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী এদুয়ার্দো কাবরিতা বলেছেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ সহজ করার দিকে নজর দিতে শুরু করেছি, যাতে প্রবাসীরা এবং অন্যান্য দেশের পর্যটক পর্তুগালে আসতে পারেন।’

এই সপ্তাহের শেষের দিকে ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্যে এবং ইউরোপের বাইরে পূর্বের পর্তুগিজ কলোনিয়াল দেশগুলোর মধ্যে বেশ কিছু ফ্লাইট চালু হবে। তবে পর্তুগিজ কলোনি দেশগুলো বাদে ইউরোপের বাইরে অন্যান্য দেশের সঙ্গে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত ফ্লাইট বন্ধ থাকবে।
বিমানে ভ্রমণ এবং বিমানবন্দরে বাধ্যতামূলক কিছু স্বাস্থ্য নির্দেশিকা রয়েছে। তবে পর্তুগালে আগমনের ক্ষেত্রে কাউকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন মানতে হবে না।

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য পর্যটক আসার সুযোগ করে দিচ্ছে পর্তুগাল। ছবি: সংগৃহীত
অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য পর্যটক আসার সুযোগ করে দিচ্ছে পর্তুগাল। ছবি: সংগৃহীত

উল্লেখ্য যে পর্তুগালে ইউরোপের প্রতিবেশী দেশগুলোর থেকে সংক্রমণের হার এবং মৃত্যুর হার খুব কম। সরকারের যুগোপযোগী দ্রুত সিদ্ধান্ত এবং জনসচেতনতা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

পর্যটকেরা পর্তুগালে এলে বিমানবন্দরে কিছু স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মানতে হবে। তবে কাউকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন মানতে হবে না। ছবি: সংগৃহীত
পর্যটকেরা পর্তুগালে এলে বিমানবন্দরে কিছু স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মানতে হবে। তবে কাউকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন মানতে হবে না। ছবি: সংগৃহীত

গত মার্চের মাঝামাঝি থেকে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় পর্তুগালে। ৩ মে থেকে প্রথম ধাপের লকডাউন খুলে দেওয়া হয়েছিল। ১৮ মে থেকে দ্বিতীয় ধাপের লকডাউন খুলে দেওয়া হয়েছে। ১ জুন থেকে সবকিছু খুলে দেওয়া হতে পারে। তবে এ মাসের শেষ নাগাদ পরিস্থিতি পুনর্বিবেচনার ওপর নির্ভর করবে সবকিছু।