ইরানে দেশীয় সংস্কৃতি সংস্থা প্রতিষ্ঠা

ইরানের আল মোস্তফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ’ নামে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়েছে। ছবি: লেখক
ইরানের আল মোস্তফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ’ নামে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়েছে। ছবি: লেখক

ইরানের গুলিস্তান প্রদেশের গোরগান শহরের আল মোস্তফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন অনেক বাংলাদেশি। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা কোনো ক্ষেত্রে এখানে পিছিয়ে নেই। বছরের বিভিন্ন সময়ে ইরানি সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি যথাসাধ্য নিজস্ব দেশীয় বিভিন্ন দিবস পালন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চর্চা ও পালন করে আসছেন তাঁরা।

আমাদের দেশের সামাজিক আচার ব্যবহার, কৃষ্টি-কালচার, সংস্কৃতি কার না ভালো লাগে? ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশি ছাত্ররা আল মোস্তফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। শুরু থেকেই ছাত্ররা নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন। ছাত্রদের কর্মতৎপরতায় শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষ মুগ্ধ হয়েছে। ইতিমধ্যে ছাত্ররা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে পুরস্কারও অর্জন করেছেন। তাঁদের কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ ও অধিক কর্মতৎপরতা পরিচালনার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ২০ এপ্রিল ‘শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ’ নামে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানও চালু করা হয়েছে।


‘শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ’–এর শুভ উদ্বোধন হয় ২৩ মে। নানা আয়োজনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন ইরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশি ছাত্রদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।


সংগঠনের অফিশিয়াল কাজ পরিচালনা করার জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে কম্পিউটার, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে রচিত বিভিন্ন বাংলাদেশি বই, জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন সামগ্রী দেওয়া হয়। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে ছাত্রদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। ছাত্রদের পক্ষে বক্তব্য দেন মো. আসিফ হোসাইন।

মতবিনিময় সভা শেষে বাংলাদেশ ও ইরানের শিক্ষা-সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ও ছাত্রদের সুযোগ–সুবিধার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।