জর্জ হত্যা: ক্ষোভের আগুন এবার ফ্রান্সে

করোনাভাইরাসের কারণে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আমেরিকার জর্জ হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার প্যারিসে বিক্ষোভ করেন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক সমর্থক গোষ্ঠী। ছবি: সংগৃহীত
করোনাভাইরাসের কারণে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আমেরিকার জর্জ হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার প্যারিসে বিক্ষোভ করেন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক সমর্থক গোষ্ঠী। ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার পর ফ্রান্সেও কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। দেশটিতে করোনাভাইরাসের কারণে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্যারিসের বিচারিক আদালত এলাকা প্লাস দ্যো ক্লিসিতে বিক্ষোভ করে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক সমর্থক গোষ্ঠী।

বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছেন চার বছর আগে ফ্রান্সে পুলিশি হেফাজতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ যুবক অ্যাডামা ট্রোরির বড় বোন আসা ট্রোরি। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে প‌রি‌স্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে ফ্রান্সে। ছবি: সংগৃহীত
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে ফ্রান্সে। ছবি: সংগৃহীত

এ ঘটনায় ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফ কাস্টানার বলেছেন, গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্যারিসে যে বাড়াবাড়ি হয়েছে, তার কোনোটিই ন্যায়সংগত নয়। যেখানে জনসাধারণের স্বাস্থ্য রক্ষায় সব সমাবেশ নিষিদ্ধ। তিনি প‌রি‌স্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষার জন্য পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।

প্যারিসে বিক্ষোভ করেছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
প্যারিসে বিক্ষোভ করেছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটল, যখন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে। ঠিক তখনি সে আগুনের উত্তাপ এসে পৌঁছাছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে।

২০১৬ সালে ফ্রান্সে পুলিশি হেফাজতে নিহত হন ২৪ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ যুবক অ্যাডামা ট্রোরি। সে সময় এর প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। গঠিত হয় অ্যাডামা ট্রোরি পরিবারের সমর্থক গোষ্ঠী।