আমাদের করোনাকাল সুপারনোভা থেকে ব্ল্যাকহোলে

পরিবারের সঙ্গে লেখক। ছবি: সংগৃহীত
পরিবারের সঙ্গে লেখক। ছবি: সংগৃহীত

১.

কবি জীবনানন্দ দাশ তাঁর আবার আসিব ফিরে কবিতায় লিখেছেন, ‘আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে—এই বাংলায়/ হয়তো মানুষ নয়—হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে’। দেশের জন্য মনটা আকুল থাকে সব সময়। দেশের ভালো খবর শুনলে যেমন মনের ভেতরে নীল আকাশ ওঠে, তেমনি দুঃসময়ে, দুঃসংবাদ শুনলে মনটা কালো মেঘে ছেয়ে যায়।

দেশে বেড়াতে যাওয়ার আগে প্লেনের টিকিট বুকিংয়ের সময় থেকেই প্রতিটা দিনই নির্ভুল গণনার মধ্য দিয়ে পার হয়। আর এদিন গণনার মূল দায়িত্বে থাকে বাচ্চারা। তাদের সদিচ্ছায়, বেড়াতে যাওয়ার উৎসাহে, তাদের আপনজনদের টানে, রক্তের বাঁধনে।

বেড়াতে যাওয়ার সময়টা ছিল জানুয়ারি মাসের শেষে। ইতিমধ্যে ডিসেম্বরের শেষে চীনের উহান প্রদেশে করোনাভাইরাসের আগমন ঘটল। রাজকীয় আগমন! কয়েক দিনের মধ্যে গোটা দুনিয়া জেনে গেল তার আগমনী বার্তা। তার ক্ষমতা। দুর্বার তার পথচলা—এক দেশ থেকে অন্য দেশে। খবরের মাধ্যমে নিজেদেরও গোচরে এল। মনের ভেতরে অজান্তে ভয়ের সঞ্চারণের সঙ্গে অস্থিরতা তৈরি হলো। দেশে যাওয়ার প্ল্যান অনেক এগিয়ে গেছে। তার থেকে অযুত গুণ বেশি এগিয়ে বাচ্চাদের উদ্দীপনা। তারা কত কিছু তৈরিতে ব্যস্ত তাদের গাছের গোড়াদের জন্য। এই মুহূর্তে ভ্রমণ বাতিল করলে বাচ্চাদের মন খারাপ করবে। মন ভেঙে যাবে। ভরসা অস্ট্রেলিয়া আর বাংলাদেশে তখনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ ধরা পড়েনি। কাজেই বেড়াতে যাওয়ার মানসিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত। এরই মধ্যে ফ্লাইটের এক দিন আগে অস্ট্রেলিয়াতে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হলো। তাতে কী, এ মুহূর্তে কিছু করার নেই! সতর্কতাস্বরূপ মাস্ক ব্যবহার করে সিডনি বিমানবন্দর হয়ে দেশের উদ্দেশে রওনা।

২.
রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সব প্রিয় মানুষকে দেখার মধ্য দিয়ে ঈদের মতো আনন্দের শুরু। দীর্ঘ ভ্রমণের ধকল মুহূর্তেই নেই হয়ে গেল। এ এক অন্য রকম অনুভূতি। অন্য রকম ভালো লাগা। প্রতিবারই। সময়ের পার্থক্যের কারণে কোনো অ্যালার্ম ছাড়াই ফজরের আজানের সময় ঘুম ভেঙে যাওয়া আর প্রাতর্ভ্রমণে বের হওয়াটা প্রায় প্রতিদিনের রুটিনে পরিণত হলো। কোথায় করোনা আর তার ভয়। সব যেন অন্য গ্রহের ব্যাপার হয়ে গেল। মন থেকে পুরোপুরি দূরীভূত। কাছের মানুষজন আর পরিচিতদের সঙ্গে দেখা করা, কথা বলার অনুভূতি অন্য রকম। গ্রামের মেঠো পথ, মহানন্দা নদী, নদীর দুই পারের নান্দনিক সবুজে চোখ আর মন পুরোপুরি হারিয়ে গেল। সকালে দৌড়াতে বের হওয়ার সুযোগে যেসব জায়গায় আগে কখনো যাওয়া হয়নি, সেই সব জায়গায় যাওয়া হলো। গ্রামের সরল মানুষদের সরল মনের অগুনতি প্রশ্নের মধুর অভিজ্ঞতা হলো।

আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা, পারিবারিক অনুষ্ঠানে আনন্দঘন সময় কাটানো, আর দুই পরিবারের সঙ্গে অসীম আনন্দের মধ্য দিয়ে সময়টা যেন সুনামির জোয়ারে ভেসে গেল। ঘড়ির কাঁটা টিক টিক করে শেষ প্রান্তে এসে মনে করিয়ে দিল—ছুটিটা শেষ, এইবার ফেরার পালা। পাঁচ সপ্তাহের ছুটিটা পাঁচ দিনের চেয়েও কম মনে হলো। ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়াতে কোভিড-১৯–এ আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ ছুঁই ছুঁই। সরকার কোয়ারেন্টিন আর আইসোলেশন নিয়ে নিয়ম-নীতি প্রণয়নের আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়াতে পৌঁছে বাসা পর্যন্ত যেতে পারব কি না বা দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে কি না—এসব দুশ্চিন্তা মনে উঁকি দেওয়া শুরু হয়ে গেল। অনেক ভালো লাগা আর অনেক বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সময়স্বল্পতার কারণে দেখা করতে না পারার অতৃপ্ততা নিয়েই মার্চ মাসের প্রথম তৃতীয়াংশে অশ্রুসিক্ত হয়ে দেশ থেকে বিদায়।

৩.
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আবারও অনেক ভাবনা মাথায় আসা শুরু করল। কোয়ারেন্টিনে থাকা লাগবে কি না? কোনো টেস্ট করবে কি না? ইত্যাদি। কিন্তু মনের সব সংশয় দূর করে কোনো অতিরিক্ত বিন্দুমাত্র ঝামেলা ছাড়াই মাত্র কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েই বিমানবন্দর থেকে মুক্ত! বাসায় ফিরে পরের দিন মার্কেটে কেনাকাটা করতে গিয়ে বোঝা গেল করোনাভাইরাসের আতঙ্ক। সুপারমার্কেটের অনেক প্রয়োজনীয় খাবারের সেল্ফ একেবারে অথবা প্রায়ই ফাঁকা। হ্যান্ড স্যানিটাইজার আর টয়লেট টিস্যুর কথা তো ইতিহাস। একেবারে সোনার হরিণের মতো অবস্থা। বিশেষত, টয়লেট টিস্যু নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে কত ধরনের ট্রল, মজা ইত্যাদি।

দেশ থেকে ফিরে আসার পরের কয়েকটা সপ্তাহ সাধারণত এক শূন্যতার ভেতর দিয়ে যায়। এ সময় মনের ভেতরে অদৃশ্য এক নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। মানে সবকিছু ফাঁকা ফাঁকা লাগে। কিছুই ভালো লাগে না। মনের ভেতরে যেন কালো মেঘের আনাগোনা। যেকোনো সময়ে বৃষ্টি হওয়ার মতো অবস্থা।

এ পরিস্থিতি দূর করতে এখানে কাছের বন্ধুরা আর তাদের পরিবার সাধারণত প্রভাবকের মতো কাজ করে। করোনাভাইরাসের কারণে পারিবারিক বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার, আড্ডা দেওয়ার আর গল্পগুজবের কোনো উপাই নেই। বাইরে বেড়াতে যাওয়ারও তেমন উপযুক্ত সময় নয়। যদিও সরকার তখন পর্যন্ত চলাফেরার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেনি, তবু সব মানুষ নিজে থেকেই অনেক সাবধান। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ বাইরে যায় না। আর আড্ডা–টাড্ডা তো দূরের কথা। তার মধ্যেও একদিন বাচ্চাদের নিয়ে ন্যাশনাল আরবোরেটামে বেড়াতে গেলাম। কিন্তু মানুষজন ছাড়া সব ফাঁকা ফাঁকা লাগার কারণে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে এলাম। এর মধ্যে মার্চের ২৪ তারিখ থেকে স্কুলে বাচ্চাদের পিউপিল ফ্রি ডে শুরু হলো। মানে স্কুল খোলা থাকবে কিন্তু বাচ্চারা বাসায় থেকে অনলাইনে ক্লাস করবে। সঙ্গে সরকার সামাজিক দূরত্বসহ চলাফেরা ও জমায়েতের ওপর অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করল। মানে একেবারে বন্দিত্বের মতো অবস্থা।

দেশের আনন্দঘন মুহূর্তের সঙ্গে তুলনা করলে বলা যায়, জীবনটা সুপারনোভার আলোকিত অবস্থা থেকে একেবারে ব্ল্যাকহোলে নিমজ্জিত হলো। পার্থক্য শুধু, এই ব্ল্যাকহোল থেকে বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ বের হয়ে আসতে পারে। মানে মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগটাই সচল থাকল। বাচ্চাদের সারা দিনের রুটিনটা টিভির চ্যানেল, নেটফ্লিক্স আর বাসার ভেতরের বিভিন্ন খেলাধুলা যথা ক্যারম, দাবা, লুডু, ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি দখল করে ফেলল। তবু মনে মনে ভাবা যাক ওরা যদি একটু কম বোরড হয়, তাহলেই ভালো। এই একঘেয়েমি রুটিন চলল প্রায় দুই মাস। একটা বিষয় বোঝা গেল, মানুষ ছুটি চায়, আরাম চায়, কিন্তু ঘোরাঘুরি, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন ছাড়া দীর্ঘ ছুটির জন্য মানুষ নয়। ছুটিটা নিষ্প্রাণসম। আমৃত্যু ব্যস্ত থাকাটাই আসল জীবন।

৪.
ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। দিন দিন ভাইরাসে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ কমতেই আছে। দুইটা প্রদেশ ছাড়া বাকি সব প্রদেশে কয়েক সপ্তাহ যাবৎ নতুন কোনো কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত ধরা পড়েনি। সেই অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি (এ, সি, টি) সরকার পূর্বে আরোপিত নিয়মনীতি শিথিল করা শুরু করেছে। এখন একসঙ্গে ১০ জন পর্যন্ত জমায়েত হতে পারবে, যদিও নিজেদের মধ্যে ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আর ১৮ মে থেকে কয়েকটি ধাপের প্রথম ধাপে বাচ্চাদের স্কুলগুলো আগের মতো খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিল।

বিভব, গ্রেড-২–এর ছাত্র, এই কথা শুনে যারপরনাই আনন্দিত। তার স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে, টিচারদের সঙ্গে দেখা হবে ইত্যাদি ভেবে। তার বন্ধুকে কী গিফট দেবে, সে পরিকল্পনাও করা শেষ। আর মেয়ে, গ্রেড-৬–এর ছাত্রী, আফসোস করে বলল, ইশ্ আমিও যদি স্কুলে যেতে পারতাম। কারণ, তার স্কুল শুরু ২ জুন থেকে।

প্রাতর্ভ্রমণে লেখক। ছবি: সংগৃহীত
প্রাতর্ভ্রমণে লেখক। ছবি: সংগৃহীত

যেখানে সাধারণত স্কুলের দিন সকালে ঘুম থেকে তুলতে একরকম যুদ্ধ করা লাগে, সেখানে বিভব নিজে থেকেই সকালে উঠে স্কুলের ইউনিফর্ম পরে একেবারে তৈরি! আবার গাড়িতে বসে জিজ্ঞেস করল, বাবা, আমাকে একটা ভাগের অঙ্ক ধরো, দেখি আমি পারি কি না টেস্ট করো! শুনে মনে মনে ভাবি, এ তো মেঘ না চাইতে বৃষ্টি হওয়ার মতো অবস্থা! নিঃসন্দেহে করোনাকালের বোরিং সময় পার করার পজিটিভ ইফেক্ট এটি! সেদিন যখন স্কুল শেষে বিভবকে আনতে গেলাম, দেখি তার মুখ ভার। কষ্ট করে হাসি আনার চেষ্টা করলেও মুখের কালো ভাব যায় না। জিজ্ঞেস করলাম, কী হয়েছে তোমার? উত্তরে বলল, কিছু হয়নি। আবার জিজ্ঞেস করলাম, পড়ে গিয়েছিলে, ব্যথা পেয়েছ, কেউ পচা কথা বলেছে, টিচার কিছু বলেছে ইত্যাদি। তার সব কটির উত্তর—কিছু হয়নি। এইবার গালে একটা চুমু দিয়ে আব্বু কী হয়েছে বলতেই উষ্ণতায় বরফ গলা শুরু হলো। অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে বলল, তুমি দেরি করে এসেছ কেন? সঙ্গে বলে, আমার বন্ধুরা সবাই চলে গেছে। তাকে বোঝাই, গাড়ির পার্কিং পাচ্ছিলাম না। পার্ক করতে দেরি হওয়ার কারণে কয়েক মিনিট দেরি হয়েছে। তো তোমাকে বলা আছে যে আমার আসতে একটু দেরিহলে তুমি স্কুল অফিসে গিয়ে অপেক্ষা করবে; যা তুমি আগেও করেছ। উত্তরে বলল, ভুলে গেছি। স্বাভাবিক। করোনাকালের ইফেক্ট! কয়েক মাস স্কুলে না যাওয়ার ইফেক্ট!

অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরির কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এই রকম চলতে থাকলে জুনে এই টেরিটরিকে করোনাভাইরাসমুক্ত ঘোষণা করা হতে পারে। আর মানুষের জীবনযাপনও একেবারে পুরোপুরি না হলেও প্রায় স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে।

৫.
দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এক দুই তিন করে এই লেখা পর্যন্ত ৬৩ হাজার আক্রান্ত। মৃতের সংখ্যাও ৮ শত পেরিয়েছে। অনেক ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, অনেক গরিব মানুষের বসবাস, নিয়মনীতি সঠিকভাবে না মানা বা মানতে না পারাসহ অনেক বিষয়ের জন্যই হয়তো এই পরিস্থিতির সৃষ্টি। তবে গোটা বিশ্বের কোভিড-১৯–এ মৃত্যুর হার যেখানে ৬.৫%–এর মতো (আমেরিকা ৬%, ইংল্যান্ড ১৪%, ইতালি ১৪%, স্পেন ১০%, ফ্রান্স ১৫%, ভারত ৩%, অস্ট্রেলিয়া ১.৪%, সূত্র worldometers.info) সেখানে বাংলাদেশের ১.৫%। তথ্য–উপাত্তগুলো পুরোপুরি সঠিক ধরে নিলে, দেশের ১. ৫% মৃত্যুর হার মনে সাহস জোগায়, যেখানে উন্নত দেশগুলোর অনেক বেশি। অবশ্যই নিজের ভেতরে প্রশ্ন জাগে, কারণ কী? তবে কোনো কারণ না খুঁজে এই উপাত্তই যেন সঠিক হয় আর এর চেয়েও যেন কম মানুষ মারা যায় বা কেউই যাতে প্রাণ না হারায়, সেটাই ভাবতে বিশ্বাসী।

যত দিন বাজারে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আর বিশ্বস্ত ওষুধ না আসে, তত দিন নিজের ইমিউনিটিকে শক্তিশালী রাখার চেষ্টা করে যেতে হবে। সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। নিয়মিত ঘুম, পর্যাপ্ত খাওয়া, শারীরিক ব্যায়াম হয়তো উপকারে আসতে পারে। উল্লেখ্য, এখনকার জেনারেশনের অনেক ছেলেমেয়ে অনেক রাত পর্যন্ত মোবাইল ব্যবহার করার কারণে রাতের ঘুম নষ্ট করে, সঙ্গে সঠিক সময়ে ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া না করে শরীরকে দুর্বল করে ফেলছে। ফলে করোনাভাইরাসের জন্য নিজেদের অনেক ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলছে। এই অনিয়ম অবশ্যই পাল্টানো উচিত।

দেশে যেন প্রিয় মানুষগুলোসহ সব মানুষ ভালো থাকে, সুস্থ থাকে, করোনামুক্ত থাকে—এই আশা সব সময় করি।


কোথায় যেন একটা উদ্ধৃতি দেখেছিলাম:

'Tough times don't last, tough people do (সময় চিরস্থায়ী হয় না, শক্ত মানুষগুলো হয়)!


* লেখক: তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী। [email protected]