সৌদিতে আটকে পড়া ৩৮৬ যাত্রী বিশেষ ফ্লাইটে দেশে

কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশি যাত্রীরা। ছবি: সৌদি দূতাবাস
কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশি যাত্রীরা। ছবি: সৌদি দূতাবাস

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৌদি আরবে আটকে পড়া ৩৮৬ জন যাত্রী বিমান বাংলাদেশের বিশেষ ফ্লাইটে আজ রোববার দেশে ফিরেছেন। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে রিয়াদের কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানের বোয়িং ৭৭৭ যাত্রীদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।

ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত মার্চ থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বাংলাদেশিরা দেশে ফিরতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সৌদি আরবের রিয়াদ ও জেদ্দা থেকে দুটি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেদ্দা থেকে বিমানের আরেকটি বিশেষ ফ্লাইট আগামী ১ জুলাই ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৌদি আরবে আটকে পড়া ৩৮৬ জন যাত্রী বিমান বাংলাদেশের বিশেষ ফ্লাইটে রোববার দেশে ফিরেছেন। ছবি: দূতাবাস
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৌদি আরবে আটকে পড়া ৩৮৬ জন যাত্রী বিমান বাংলাদেশের বিশেষ ফ্লাইটে রোববার দেশে ফিরেছেন। ছবি: দূতাবাস

এর আগে গত ১১ মার্চ সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশি যাঁরা দেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক, তাঁদের দেশে ফেরার উদ্যোগ গ্রহণ করে দূতাবাস। দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিরা আবেদন করলে তাঁদের মধ্য থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। তালিকায় গুরুতর অসুস্থ, ভিজিট ভিসায় এসে আটকে পড়া ও যাঁরা ফাইনাল এক্সিট নিয়ে চূড়ান্তভাবে দেশে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি প্রবাসী দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।

রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, সৌদি আরবে প্রায় ২১ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করেন, অনেকেই জরুরি পারিবারিক প্রয়োজনে দেশে ফিরতে চান, অনেক অসুস্থ প্রবাসী রয়েছেন, অনেকে ভিজিট ভিসায় এসে দেশে ফিরে যেতে পারছেন না, আমরা সবার কথা ভেবে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে আমরা অভিবাসী বাংলাদেশিদের সব ধরনের সুযোগ–সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।

এর আগে দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, করোনায় আক্রান্ত নন, কোনো উপসর্গ নেই, এই মর্মে সৌদি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট বিমানে প্রবেশের আগে প্রত্যেক যাত্রীকে অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। ঢাকায় অবতরণের পর বিমানবন্দরে তা জমা দিতে হবে এবং বাংলাদেশ সরকার–নির্ধারিত কোয়ারেন্টিন (সংগনিরোধ) সম্পর্কিত সব সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। প্রত্যেক যাত্রীকে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।