নাসিম স্মরণে ডাবলিনে আলোচনা সভা ও দোয়া

প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম স্মরণে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শাখা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম জুমে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল পয়লা জুলাই।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডাবলিন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অলক সরকার। অনুষ্ঠানের শুরুতে মহাদুর্যোগ করোনায় প্রয়াত সবার আত্মার প্রতি সম্মাননা প্রদর্শন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না সাবেক মন্ত্রী নাসিম সম্পর্কে স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিম সাহেবের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ একজন বলিষ্ঠ, দৃঢ়চেতা ও জনদরদী নেতা এবং সিরাজগঞ্জ হারাল তাদের প্রাণপ্রিয় সিংহপুরুষকে। ওনার এই অভাব শত বৎসরেও পূরণ হওয়ার নয়। তিনি আমাদের সবার মাঝে বেঁচে থাকবেন।’

প্রয়াত নাসিম ভাইয়ের আস্থাভাজন ও ওনার সান্নিধ্যে আসা ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আল আমিন বলেন, ‘জনদরদি এই নেতা হাসপাতালের শয্যায় থেকেও মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তিনি নির্দেশ দিতেন কোথায় কী করতে হবে। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাবস্থায় আন্দোলন-সংগ্রামে নাসিম ভাই ছিলেন অগ্রদূত। এই নেতা শুধু সিরাজগঞ্জ জেলাতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি, তিনি দেশজুড়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন।’

জার্মানির বাংলাদেশ হাইকমিশনের অনারারি কনস্যুলার প্রকৌশলী হাসনাত মিয়া বলেন, নাসিমের পরিবার সেই স্বাধীনতা লগ্ন থেকেই দেশপ্রেমে উজ্জীবিত। বংশ পরম্পরায় মো. নাসিমও দেশের প্রতি অনুগত থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে দলকে দুঃসময়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশ একজন দেশপ্রেমিক নেতা হারিয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ যুবলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. সাজ্জাদ হায়দার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাকালে এমন কোনো মিটিং মিছিল ছিল না, যেখানে নাসিম ভাই ছিলেন না। প্রতিটি মিছিল-মিটিংয়ে তিনি সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতেন। ওই সময়ের সরকারি দলের দ্বারা নিগৃহীত হওয়া সত্ত্বেও তিনি পিছু হটেননি।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী বলেন, ‘নেতা ও বক্তা হিসেবে শ্রদ্ধেয় মোহাম্মদ নাসিম ভাই ছিলেন অদ্বিতীয়।’ তাঁদের সময়ে ছাত্রলীগের যেকোনো অনুষ্ঠানে তিনি চলে আসতেন প্রধান অতিথি হয়ে অথবা মূল বক্তা হিসেবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন এই নেতা করিতকর্মা ছিলেন, তাই তিনি দলের অনেক গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ময়মনসিংহ-৭, ত্রিশাল এলাকার সাংসদ এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী বলেন, ‘একজন মেধাবী ও সাহসী নেতা নাসিম ভাই যেকোনো গুরুদায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতেন। তাঁর মেধা ও গুণাবলির জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্রের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছিলেন। ওনার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন তারকা নেতা হারাল।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের সব প্রয়াত নেতার স্মরণে এবং প্রধানমন্ত্রী ও দেশবাসীর জন্য দোয়া করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাবলিন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মাসুদ শিকদার, শাহাদাত হোসেন, আবদুল বাসেত কিবরিয়া, নানু আলী খান, সহসভাপতি হাফিজুর রহমান লিঙ্কন, দীপু ফিরোজ, টিটু খন্দকার, মোহাম্মদ সুমন, সাইফুর রহমান বাবলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ খন্দকার, সাইফুল ইসলাম রবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সমীর কুমার ধর ও দিলদার হোসেন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুন্না সৈকত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক নাসির আহমেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খাইরুল ইসলাম পায়েল, সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. খালেক, দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শিশির ইসলাম।

আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগ থেকে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি মোনায়েম খন্দকার রানা, সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক খান ও জসিম উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সহসভাপতি স্বপন দেওয়ান, নজরুল ইসলাম মানিক, আয়ারল্যান্ড বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ফয়জুল্লাহ শিকদার, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান নান্না। আয়ারল্যান্ডের বাংলাদেশি কমিউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ, কাউন্টি ওফেলি আওয়ামী লীগ থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মামুনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান শুভ্র, সহসভাপতি দেবেশ কর্মকার, দপ্তর সম্পাদক তামান্না ফারিয়া, কাউন্টি কর্ক আওয়ামী লীগ থেকে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি সানোয়ার হোসেন, কাউন্টি লিমেরিক আওয়ামী লীগ থেকে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপদেষ্টা সাজেদুল চৌধুরী রুবেল ও জাহাঙ্গীর আলম, কাউন্টি গলওয়ে থেকে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ডা. বদরুল ইসলাম, কাউন্টি ওয়েক্সফোর্ড থেকে উপস্থিত ছিলেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আরমান কাজী, আয়ারল্যান্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এ আর নয়ন, আয়ারল্যান্ড ছাত্রলীগের সভাপতি নোমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক রিব্বী ইসলাম, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি লিঙ্কন মোল্লা, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান, সহসভাপতি মিজানুর রহমান মোল্লা, গ্রিস আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলমগীর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন, স্পেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাকিল খান পান্না ও বর্তমান সভাপতি বোরহান উদ্দিন, ইংল্যান্ডের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন হায়দার, জার্মান আওয়ামী লীগের নেতা সেলিম ভূঁইয়া।