ইতালিতে বাংলাদেশ থেকে ফেরাদের করোনা পরীক্ষা শুরু

স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার প্রত্যাশায় ইতালিবাসী। ছবি: সংগৃহীত
স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার প্রত্যাশায় ইতালিবাসী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি কমিউনিটির সব সদস্যকে করোনা পরীক্ষার আওতায় আনতে যাচ্ছে ইতালির কেন্দ্রীয় অঞ্চল লাসিও। ইতালির গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী দেশ থেকে ফেরা এসব প্রবাসী বাংলাদেশির মাধ্যমেই প্রায় ৫০ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি মেলায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ল্যাসিওর স্বাস্থ্য বিভাগ।

ইতালিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রায় শূন্যের দিকে যাওয়ার সময়ই নতুন করে শুরু হয়েছে এই করোনার সংক্রমণ, তাও আবার বাংলাদেশিদের মাধ্যমে।

ইতালির করোনার সার্বিক পরিস্থিতি মে মাসের শেষ থেকেই কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে খোলা হয় দেশটির লকডাউনে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রায় সবকিছু।

বাংলাদেশে আটকে থাকা ইতালিপ্রবাসীরা বিশেষ বিমানে ইতালিতে আসতে থাকেন। নিয়মানুযায়ী ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা থাকলেও অনেকেই তা মানছেন না। এ পর্যন্ত ৫টি ফ্লাইটে প্রায় দেড় হাজার প্রবাসী ইতালি ফিরেছেন। আজ আরও একটি বিশেষ বিমান রোমে আসবে। ইতালি ফেরা বাংলাদেশিদের মাধ্যমে সংক্রমণের খবর মেলে।

লাসিওর স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অ্যালেসিও দি আমাতো বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য ৬ জুলাই থেকেই করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র চালু হবে। তাই সব বাংলাদেশিকে স্বেচ্ছায় করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকা এবং এয়ারপোর্ট এলাকার নজরদারি জোরদার করার কথাও বলেন।

লাসিওতে প্রায় ৩৭ হাজার বাংলাদেশির বাস। অ্যালেসিও দি আমাতো বলেন, বাংলাদেশ থেকে ফেরাদের কোয়ারেন্টিনও আরও কঠোর করা হয়েছে এবং এয়ারপোর্টেও নজরদারি আরও কঠোর হবে বলেও জানান। প্রথম ফ্লাইটে ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার এয়ারপোর্টে উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিজেও তখন উপস্থিত প্রবাসীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রতি ও গুরুত্বারোপ করেন।

রোমে সব বাংলাদেশিকে করোনা পরীক্ষার আওতায় আনার বিষয়ে এই কার্যক্রমে প্রবাসীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ নিচ্ছে ইতিবাচক হিসেবে আবার কেউ কেউ নেতিবাচক ও অপ্রয়োজনীয় ভাবছে। তবে অপ্রয়োজনীয় ভাবছেন তাঁরা যাঁরা ইতালিতেই অবস্থান করছিলেন। এই বিষয়ে বাংলাদেশ সমিতি ইতালির সভাপতি আফতাব বেপারী বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করা উচিত। সব বাংলাদেশি ভাই ও বোনের তিনি অনুরোধ করেন যেন সবাই যেন তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে যান। আর এই সচেতনতার কারণেই করোনার রাহু থেকে মুক্ত হবে এই দেশসহ পৃথিবী।