দিল্লিকা লাড্ডু

ফালুদা একধরনের মিষ্টান্ন, যা কিনা ভোজের শেষ পর্বে দেওয়া হয়। অন্য অনেক কিছুর মতো খাবারদাবার ও তার পরিবেশনাও মানুষের সংস্কৃতিরই একটা অংশ। সে হিসেবে ঐতিহাসিকভাবে ফালুদা বাংলাদেশের সংস্কৃতির আওতায় পড়ে না। তবে আজকাল সেটাকে আর কোনোক্রমেই দুর্লভ বলা চলে না। শহরাঞ্চলে, বিশেষ করে কাবাবের দোকানে ফালুদা পাওয়া যায়। তারপরও এখনো বাংলাদেশে অনেক মানুষ আছেন যাঁরা জানেন না, কীভাবে ফালুদা বানাতে হয় এবং এর স্বাদই–বা কেমন। এমন মানুষের সংখ্যাও কম হবে না, যাঁরা জীবনে ফালুদার নামও শোনেননি, আর শুনলেই বা কী? ফালুদা কি একরকমের? আজকালকার দিনে এরও আবার রকমফের হয়ে গেছে, অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন রেসিপিতে নানান কিসিমে ফালুদা বানানো যায়। ফালুদার রেসিপির সঙ্গে তার স্বাদে-গন্ধেও পার্থক্য হয়। এটা তৈরি করতে অনেক উপাদান লাগে, তবে ন্যূনতমপক্ষে যা না থাকলে কোনোভাবেই ফালুদা হবে না, তা হলো কর্নস্টার্চ, চালের আকারের ছোট ছোট নুডলসদানা, লেবুর রস, গোলাপজল, দুধ ও চিনি। সব শেষে আরেকটা জিনিস লাগে, সে কথায় আসছি একটু পরে।

  ফালুদার প্রায় সব উপকরণই বাংলাদেশে পাওয়া যায়, আর তাই যে কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশে কেন এ রকম একটা খাবার হয় না? এ প্রশ্নের উত্তর দুভাবে দেওয়া যায়। প্রথমত, সব খাবারই যে বাংলাদেশে হতে হবে, এমন তো কোনো কথা নেই। পৃথিবীর কত দেশে তো কত জাতের বিচিত্র খাবার পাওয়া যায়, সব দেশে কি ফালুদা হয়? হয় না। একইভাবে একই নিয়মে বাংলাদেশেও হয় না। দ্বিতীয়ত, ফালুদা বানাতে অবশিষ্ট যে উপাদানটা লাগে, তার নাম বরফ। বাংলাদেশ একটা গ্রামপ্রধান গরম দেশ। এখানকার বিদ্যুৎবিহীন গ্রামাঞ্চলে বরফ একটা দুর্লভ বস্তু (অবশ্য বর্তমানে সে অবস্থা অনেকটাই বদলে গেছে)। আর মূলত বরফের অভাবেই হয়তো বা বাংলাদেশে আগে কেউ ফালুদা তৈরির চেষ্টা করেননি, এখন করতে পারেন। বাংলাদেশে কেন ফালুদা হয় না, তার আসল কারণ নিয়ে বিতর্ক হতে পারে, তবে ফালুদা যে মূলত বাংলাদেশি খাবার নয়, এ ব্যাপারে কারও মধ্যে দ্বিমত আছে বলে মনে করি না।

ফালুদা নামে যে একটা মিষ্টিজাতীয় খাবার হয়, তা আমি প্রথম জানতে পারি ১৯৬০ দশকের মাঝামাঝি। তখন আমি হাইস্কুলের ছাত্র। ওই সময় আমাদের বাংলা গদ্য পাঠ্যবইয়ে সৈয়দ মুজতবা আলীর বিখ্যাত 'দেশে বিদেশে' থেকে একটা অধ্যায় গল্পের আকারে পড়তে হতো। এত দিনের কথা, আমার স্মরণশক্তি খুব তেজি নয়, তবে যতটুকু মনে পড়ে, প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল 'ইনহাস্ত ওয়াতানাম' অথবা 'প্রবাস বন্ধু'। এ প্রবন্ধে সৈয়দ মুজতবা আলী কাবুলে তাঁর প্রবাসজীবনের ওপর অনেক মজার মজার ঘটনা খুব সুন্দরভাবে লিখে গেছেন। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের অনেকেই হয়তো এই গুণী লেখকের নাম শোনেননি, হয়তো বা তাঁর লেখাও পড়েননি। ১৯৪৭–এর ভারত বিভাগের পর একসময় সৈয়দ মুজতবা আলী বগুড়া আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তখন কোনো এক ব্যাপারে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে মতবিরোধের জের ধরে তিনি চলে যান কলকাতায় এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঢাকায় ফিরে আসেন। সে আসাটাও স্থায়ীভাবে না অস্থায়ীভাবে ছিল, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। তবে তাঁর পরিবার অর্থাৎ স্ত্রী-পুত্ররা ঢাকাতেই থাকতেন।

বাংলাদেশের এই শক্তিমান সাহিত্যিকের জন্ম হয়েছিল ১৯০৪ সালে বৃহত্তর সিলেটের মৌলভীবাজারে এবং মৃত্যু হয় ঢাকায় ১৯৭৪ সালে। সৈয়দ মুজতবা আলী একজন ভীষণভাবে আড্ডাবিলাসী ও কৌতুকপ্রিয় মানুষ ছিলেন। তিনি পৃথিবীর অনেক দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন, কত জাতের কত শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে মিশেছেন, তার হিসাব রাখাও মুশকিল! বিচিত্র জ্ঞান ও অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ ছিল তাঁর জীবন। উপস্থিত বুদ্ধি ও রসবোধে মুজতবা আলীর তুলনা কেবল তাঁর নিজের সঙ্গেই হয়। তিনি ভোজনরসিক ছিলেন কি না জানি না, তবে তাঁর লেখায় প্রায়ই দেখা যায় নানা জাতের মজাদার খাবারদাবারের বর্ণনা। তাঁর সাহিত্যকর্ম অত্যন্ত উন্নত মানের। লেখা আপন ঢঙে ও স্বকীয়তায় আলোকিত। আমার আজকের পাঠকদের আমি অনুরোধ করব, সুযোগ করে সৈয়দ আলীর লেখা পড়তে বিশেষ করে তাঁর মাস্টার পিস, 'দেশে বিদেশে'।

ফিরে আসি 'প্রবাস বন্ধুর' কথায়। এখানে লেখক তাঁর কাবুলজীবনের একটা সুন্দর চিত্র তুলে ধরেছেন। গল্পের এক জায়গায় তিনি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে তাঁর বাসার আফগানি কাজের লোক আবদুর রহমানের কথা বলেছেন। একদিন কোনো এক বিষয়ে আবদুর রহমানের সঙ্গে সৈয়দ আলীর গল্প হচ্ছিল। ওই গল্পে প্রসঙ্গক্রমে উঠে এসেছিল ফালুদার কথা। লেখক আবদুর রহমানকে বলেছিলেন, তোমরা ফালুদা বানাও কী করে? ফালুদা তৈরিতে তো বরফ লাগে। বরফ পাও কোথায়? তখন আবদুর রহমান পাহাড়ের দিকে অঙ্গুলি তুলে উত্তরে আলী সাহেবকে বলেছিল, ওই যে পাহাড়ের চূড়ায় বরফ দেখছেন, ফালুদা বানাতে আমরা সেখান থেকে বরফ নিয়ে আসি। ফালুদা সম্পর্কে আমার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা এটুকুই।

ফালুদার কথা কেবল বইয়েই পড়েছি। ফালুদা কেমন, তা কোনো দিন চোখে দেখিনি, ছোঁয়ারও সুযোগ হয়নি, খাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না, তাই ফালুদার স্বাদও জানি না। আপনাদের মনে কৌতূহল হওয়া স্বাভাবিক, এত দিন পর কেন, কোথায়, কীভাবে ফালুদার কথা আবার মনে পড়ল। কোথায়ই বা ফালুদা খেলাম, আর কেনই বা এ লেখার অবতারণা। অবশ্য এরও একটা পটভূমিকা আছে। আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য সংক্ষেপে বলছি। ২০১২ সালের মে মাসের মাঝামাঝি আমার বড় মেয়ে নাজলার জন্য একটা অ্যাপার্টমেন্ট খুঁজতে সস্ত্রীক গিয়েছিলাম আমেরিকার ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের 'সিলভার স্প্রিং' শহরে। কাজ শেষ করে যখন ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিরে যাব, তখন আমার মেয়ে, স্ত্রী এবং আমি সবাই খিদেয় কাতর। আমি গাড়ি চালাচ্ছি আর তাঁরা দুজন রেস্টুরেন্ট খুঁজছেন এবং ভাবছেন কোথায় বসে দুপুরের খাবারটা সেরে নেওয়া যায়। আমার স্ত্রী বলছেন ইন্ডিয়ান খাবেন, মেয়ে খেতে চায় পার্সিয়ান কাবাব। সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। শেষে আমার ভোটে আমার মেয়ের পছন্দই জয়যুক্ত হলো। একটা গ্যারেজে গাড়ি পার্ক করে দুই ব্লক হেঁটে আমরা তিনজন গিয়ে উঠলাম এক ছোট্ট, কিন্তু খানদানি পার্সিয়ান খাবার দোকানে। রেস্টুরেন্টের নাম, 'মবি ডিক কাবাব হাউস'। মেনু দেখে খাবার অর্ডার দিয়ে আমরা এসে রান্নাঘরের কাছেই এক টেবিলে বসলাম। বসতেই ঘরের দেয়ালের দিকে চোখ পড়ল।

দেখতে পেলাম এক বিশাল পুরোনো পেইন্টিং। ছবিটার বর্ণনা এ রকম। ঘরের বাইরে খোলা জায়গায় একটা লাল ড্রাম খাড়া করে দাঁড় করানো আছে। তার ওপর বড় এক পাতিলে সদ্য রান্না করা গরম সুপ রাখা। পাতিলের ঢাকনা খোলা এবং দেখা যাচ্ছে উত্তপ্ত সুপের পাতিল থেকে ধোঁয়া কুণ্ডলী আকারে ওপরের দিকে উঠে যাচ্ছে। ড্রামের পাশে একটা প্লাস্টিকের বড় বালতি। সম্ভবত এতে পানি রাখা আছে এবং ওই পানিতে সুপের পেয়ালা ও চামচ ধোয়া হচ্ছে। ড্রামের ওপরে রাখা পাতিলের আশপাশে নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রায় ১০-১২ জন লোক দাঁড়িয়ে আছেন। সবার শরীরে পুরু উলের কম্বল জড়ানো। মেয়েদের মাথায় উলের হিজাব। মনে হচ্ছে ছবিটার শিল্পী পারস্য দেশের কোনো এক নাম না জানা গ্রামের একটা শীতের সকালের চিত্র এঁকেছেন। লোকদের মধ্যে কারও হাতে সুপের পেয়ালা, কেউ সুপ নিতে পাতিলের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। মনে হচ্ছে একে একে সবাই নিজ নিজ পেয়ালায় সুপ ঢেলে নিয়ে পাশে কোথাও বসে একসঙ্গে মিলেমিশে খাবেন। ছবিটা দেখে ছোটবেলার শীতকালের কথা মনে পড়ল। কোনো কোনো বছর অগ্রহায়ণ-মাঘ মাসে বেশি ঠান্ডা পড়লে ভোরবেলা আমরা ঘরের বাইরে গাছের শুকনা ডাল বা ধানের খড় জ্বেলে চারদিকে গোল হয়ে বসে আগুন পোহাতাম, পাড়ার বন্ধু এবং চাচাতো ভাই ও বাড়ির কাজের লোকদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে অলস সময় কাটাতাম, আর ভাবতাম, এক কাপ গরম চা হলে কতই না মজা হতো! কিন্তু দুঃখের বিষয়, ওই বয়সে চা আমাদের বরাদ্দ ছিল না।

ফিরে আসি 'মবি ডিক' পার্সি কাবাবের দোকানে। খাবার আগেই রেস্টুরেন্টের পরিবেশ ও ছবিখানা দেখে মনে মনে ভাবলাম, ইরানিয়ানরা অত্যন্ত সফলভাবে তাঁদের দেশের খাবার এবং সংস্কৃতিকে সুদূর আমেরিকায় সাধারণ মানুষ এবং বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে তুলে ধরছেন। আমেরিকায় আজকাল বেশ বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট হচ্ছে। আশা করি আমাদের দেশের ব্যবসায়ী ভাইয়েরা একইভাবে বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতিকে বিদেশি ও আমেরিকানদের সামনে সঠিক ও সুন্দরভাবে তুলে ধরবেন। পার্সিয়ান রেস্টুরেন্টে খাবারের সঙ্গে দেয়ালের ছবিটা বেশ লাগসই মনে হয়েছিল।

খাবারের অর্ডার দেওয়ার সময় ক্যাশ রেজিস্টারের পাশে কাউন্টারের ওপর দেখতে পেলাম একটা ছোট্ট বিজ্ঞাপনপত্র (ফ্লায়ার)। চোখ পড়ল পার্সিয়ান ফালুদার ছবির ওপর। দীর্ঘ ৫০ বছর পর মোক্ষম সুযোগ এসেছে, ফালুদা খাওয়ার! এটা কি আর হাত ছাড়া করা যায়! খেতে কেমন হবে জানি না, তাই তিনজনের জন্য অর্ডার দিলাম মাত্র এক বোল ফালুদা। বললাম, আমাদের খাওয়া শেষ হলে টেবিলে ফালুদার বোলটি পাঠিয়ে দেবেন। হিমায়িত ফালুদা নরম হওয়ার জন্য দোকানি সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিজার থেকে বের করে রাখলেন কিচেন কাউন্টারে। আমরা একেকজন একেক জাতের পার্সি কাবাব অর্ডার করেছিলাম। একসঙ্গে বসে খেলাম। পার্সি কাবাবের স্বাদ কেমন ছিল, সে গল্প না হয় আরেক দিন হবে। যাহোক, খাবারের মেইন কোর্স শেষ হওয়ার পর ওয়েটার টেবিলে নিয়ে এলেন ধবধবে সাদা ঠান্ডা ফালুদা। মুখে দেওয়ার আগেই জিবে পানি চলে এল। খেতে গিয়ে কেমন লাগল, সেটা শুনবেন একটু পরে। আমরা তিনজন মিলে চামচ দিয়ে কেটে কেটে ফালুদা খেতে শুরু করলাম। পার্সি রেস্টুরেন্টে বসে তিন বাংলাদেশি এক পাত্র থেকে শেয়ার করে খেলাম রীতিমতো আরবি কায়দায়। যদিও 'সিলভার স্পিং'-এর 'মবি ডিক'-এ বসে ফালুদা খাচ্ছিলাম, কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে আমার মন চলে গেল ৫০ বছর পেছনে বড়লেখার পিসি হাইস্কুলের ক্লাস নাইনের শ্রেণিকক্ষে। মনে হলো, যেন আমি প্রমথ স্যারের বাংলা ক্লাসে প্রথম সারিতে অসিত আর নৃপেন্দ্রের মাঝখানে বসে আছি, আর স্যার ধীরে ধীরে বইয়ের পাতা ওল্টাচ্ছেন এবং তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বিশুদ্ধ উচ্চারণে গড়গড় করে পড়ে যাচ্ছেন, আবদুর রহমানের ফালুদা বানানোর কাহিনি।

দীর্ঘদিন ধরে ফালুদা খাওয়ার যে অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়িয়েছি, সেদিন এ সাধ পূরণ হলো বটে। কিন্তু স্বাদে খুব যে তৃপ্ত হলাম, তা বলতে পারলে আরও খুশি হতাম! পাঠকদের মধ্যে যাঁদের জীবনে ফালুদা খাওয়ার সুযোগ হয়নি, তাঁদের কৌতূহল হওয়া স্বাভাবিক। ফালুদা দেখতে কেমন? খেতে মজাদার, নাকি বিস্বাদ? ইত্যাদি, ইত্যাদি। আপনাদের জন্য বলছি, কাবুলের আবদুর রহমানের ফালুদা কেমন ছিল, আর কেউ না জানলেও সৈয়দ মুজতবা আলী নিশ্চয়ই তা জানতেন। তবে সে তো আজ ইতিহাস। বর্তমানে ওই ফালুদার স্বাদ কারও পক্ষে পরখ করার এখন আর কোনো সুযোগ নেই, কারণ আবদুর রহমান নিশ্চয়ই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন অনেক আগেই। তবে আবদুর রহমান না থাকলেও তাঁর বংশধর কেউ যদি থেকে থাকেন, তবে ওই ফালুদার রেসিপি এখনো কাবুলের কোথাও না কোথাও আছে নিশ্চয়ই! অদূর ভবিষ্যতে আফগানিস্তানে কোনো দিন যদি শান্তি ফিরে আসে এবং কাবুল যাওয়ার সুযোগ হয়, তাহলে আবদুর রহমানের ফালুদার রেসিপির সন্ধান করব। আবদুর রহমানের ফালুদার স্বাদ কেমন তা জানি না, তবে 'মবি ডিক'-এর পার্সিয়ান ফালুদা তেমন আহামরি কিছুই নয়! ফালুদার স্বাদ বাংলাদেশের ফিরনি ফ্রিজ করে খেলে যেমন লাগে, তার কাছাকাছি, সমানও নয়। আপনারা যাঁরা ফালুদা খেয়েছেন, তাঁরা তো জানেনই, আর যাঁরা খাননি তাঁদেরও আফসোস না করতেই বলব, কারণ ফালুদা বলতে গেলে একধরনের 'দিল্লিকা লাড্ডু!' যে খায় সে পস্তায়, যে খায় না সে–ও!

* লেখক: অধ্যাপক, টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটি; এডিটর, জার্নাল অব ডেভেলপিং এরিয়াজ। [email protected]