সিলেবাসে নেই

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলে গেছেন, মুখস্থ করে পরীক্ষা দেওয়া আর নকল করে পরীক্ষা দেওয়ার মধ্যে নাকি কোনো পার্থক্য নেই। তাই হাসান ছোটবেলা থেকেই মুখস্থবিদ্যার ঘোরবিরোধী। আসল ব্যাপার হলো সে মুখস্থ করতে পারত না, তাই মুখস্থ না করে সত্যিকারের নকল নিয়ে যেত পরীক্ষার কেন্দ্রে যদিও কবিগুরুর এই বার্তা তার তখন পর্যন্ত অজানা ছিল। অবশ্য তাদের আমলে পরীক্ষায় নকল করাটাকে খারাপ নয় বলে শিল্পই বলা উচিত। নকলের জন্য যে পরিমাণ বুদ্ধি এবং পরিশ্রম করতে হতো, সেটা যদি কেউ পড়ার পেছনে ব্যয় করত, নির্ঘাত সে পরীক্ষায় ভালো ফল করত। হাসানের নকলের হাতেখড়ি হয় সেই পঞ্চম শ্রেণিতেই।

পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত হাসান যে বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিল, সেটি এখন পদ্মা নদীর গর্ভে। সেই বিদ্যালয়ের গল্প অন্য কোনো দিন। পঞ্চম শ্রেণিতে ওঠার পর স্যাররা বললেন, এবার তোমাদের রচনা মুখস্থ করতে হবে। তারা তখন পর্যন্ত জানতই না ব্যাকরণ বা Grammar বলে কোনো আলাদা বিষয় আছে। সবাই তখন রচনা বই জোগাড় করতে লেগে গেল। সে–ও অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে একটা রচনার বই জোগাড় করে ফেলল। বইয়ে গরুর রচনা দেখে তো সে খাবি খাওয়া শুরু করল। প্রায় দেড় পাতা ভর্তি গরুর রচনা, তা–ও আবার ছোট ছোট অক্ষরে লেখা। যেটা হাতে লিখলে প্রায় চার পাঁচ পৃষ্ঠা হয়ে যাবে। সে তখনই বুঝে গেল এই বস্তু কোনোভাবেই তার পক্ষে মুখস্থ করা সম্ভব না কিন্তু পরীক্ষায় তো আসবে। এখন উপায়?

সবাই হাসানের মাথা নিয়ে বিভিন্ন রকমের ফোড়ন কাটত। কারণ তার মাথা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশ বড়। তাই সবাই বলত, তার মাথাভর্তি গোবর আছে আর গোবরের উর্বরতা শক্তির কারণে তার মাথার এই বিশাল আকৃতি। গোবরে ভরা মাথাতে ভালো বুদ্ধিগুলো একটু দেরিতে এলেও খারাপ বুদ্ধি খুবই দ্রুত কাজ করে। সে দোকান থেকে সাদা কাগজ কিনে নিয়ে এল, যেগুলোর আকার পরীক্ষার খাতার সমান। এরপর খুব সুন্দর করে বই দেখে দেখে সেই পৃষ্ঠাগুলোতে গরুর রচনা লিখে ফেলল। পরীক্ষার দিন সেই পৃষ্ঠাগুলো হাফ প্যান্টের পকেটে ভাঁজ করে নিয়ে পরীক্ষা দিতে গেল।

তাদের বিদ্যালয়ে পরীক্ষার খাতা বাঁধায় করার জন্য বাবলাগাছের কাঁটাকে পিনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হতো। পরীক্ষার শেষের দিকে অতি সাবধানে পকেট থেকে সে পৃষ্ঠাগুলো বের করে বাবলাগাছের কাঁটা দিয়ে পরীক্ষার খাতার সঙ্গে গেঁথে দিল, কিন্তু দুজন সহপাঠী সেটা দেখে ফেলল এবং যথারীতি স্যারকে জানিয়ে দিল। স্যার তাকে ডেকে বললেন, আর কোনো দিন নকল করবি? সে লজ্জায় না সূচক মাথা নাড়ল। সবচেয়ে লজ্জার বিষয় হচ্ছে, ঘটনাটা ঘটল ক্লাসের সবার সামনে, যার মধ্যে রুশিও আছে। রুশি আসলে দেখতে কেমন, সেটা সে জানত না কিন্তু রুশির কণ্ঠস্বর তার হৃদয়ে কাঁপন ধরাত। তার কাছে মনে হতো মানুষের কণ্ঠস্বরও এমন মধুর হয়!

হাসান বুঝতে পারে ক্লাসের ছেলেদের মধ্যে একটা অঘোষিত প্রতিযোগিতা চলে রুশির কাছাকাছি ঘেঁষার। সবাই বিভিন্ন অজুহাতে রুশির সঙ্গে ভাব জমানোর চেষ্টা করে, কিন্তু সে কোনোভাবেই সাহস করতে পারে না বরং বিভিন্ন দরকারে রুশি কখনো তার কাছে এলে সে পালিয়ে বাঁচে। তার হাতের ‘ঘ’ লেখাটা তাদের ক্লাসে বিখ্যাত। সবাই তার কাছে ঘ লিখে নেওয়ার জন্য আসত। এমনও হয়েছে, পরীক্ষার হলে তার বন্ধুরা নিজের আসন ছেড়ে উঠে এসে হাসানের কাছ থেকে ঘ লিখে নিয়ে যাচ্ছে ঘ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময়। রুশি প্রায় প্রত্যেক পরীক্ষার সময়ই হাসানের কাছে এসে ঘ লিখে নিয়ে যায়। এ কারণে ক্লাসের ছাত্ররা ওকে যে মনে মনে হিংসা করে, সেটাও সে বুঝতে পারে।

এই অপমানের সময় হাসান ক্লাসের সবাইকে নিয়ে ভাবছে না, সে শুধু মনে মনে রুশির মুখটা কল্পনা করছে। রুশি নিশ্চয় এখন আর ওকে ভালো জানবে না। অবশ্য এরপর আর ওর সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ কম। ক্লাস ফাইভ পাস করে হাসান চলে যাবে শহরে ওর আব্বা–মায়ের কাছে। শহরের বাড়িতে ওর আব্বা–মা আর মেজ ভাইটা আগেই চলে গিয়েছে কিন্তু হাসান থেকে গেছে তাদের খেত পাহারা দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি ক্লাস ফাইভের পড়াটাও শেষ করতে পারবে। যা হোক এরপর স্যার তার লাল কালির কলম দিয়ে পৃষ্ঠাগুলোর কোনাকুনি দাগ দিয়ে সেগুলোকে বাতিল করে দিলেন। আর তাকে এমন একটা সৃষ্টিশীল কর্ম সম্পাদন করার জন্য বিশবার কানে ধরিয়ে ওঠবস করালেন। এভাবেই তার জীবনের প্রথম সৃষ্টিশীল কর্মের সাফল্য ধূলিসাৎ হয়ে গেল।

পঞ্চম শ্রেণি পাস করে সে মাধ্যমিকে এসে ভর্তি হলো শহরতলির একটা অখ্যাত বিদ্যালয়ে। সেই বিদ্যালয়ের শিক্ষাদীক্ষার ব্যাপারে তেমন সুনাম না থাকলেও অন্য একটা দুর্নাম ছিল। সেই গল্প অন্য কোনো দিন। ষষ্ঠ, সপ্তম শ্রেণিতে অন্যান্য বিষয়ের পড়াকে তেমন ঝামেলা না মনে হলেও গণিতের জ্যামিতি তার কাছে একেবারেই অপ্রয়োজনীয় বিষয় মনে হতো। বিশেষ করে উপপাদ্য জীবনে কোনো কাজে লাগবে, সেটা কোনোভাবেই বুঝে উঠতে পারছিল না। আর প্রাইভেট না পড়ার কারণে বুঝিয়ে দেওয়ারও কেউ ছিল না, তাই যতই মুখস্থ করার চেষ্টা করে, ততই গিট্টু লেগে যায় কিন্তু পরীক্ষায় তো এগুলো আসবে এবং যথারীতি তাকে উত্তর করতে হবে; না হলে পরীক্ষায় নির্ঘাত ডিগবাজি দিতে হবে।

পরীক্ষার আগেই স্যাররা সাজেশন দিয়ে দিলেন কোন উপপাদ্য আর সম্পাদ্যগুলো পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। হাসান সাজেশন অনুযায়ী বেশ কিছু ছোট ছোট কাগজে সেগুলোকে লিখে ফেলল। সে আগের পরীক্ষাগুলোতে সবাইকে এটা করতে দেখেছে। এরপর পরীক্ষার দিন সকালে সে সেই উত্তর লেখা ছোট কাগজগুলো জামার হাতার ভাঁজে, কলারের ভাঁজে, প্যান্টের পায়ের ভাঁজে লুকিয়ে নিয়ে পরীক্ষা দিতে গেল। নকল করার আরও কয়েকটি পদ্ধতির মধ্যে জনপ্রিয় কিছু পদ্ধতি ছিল ব্লেড দিয়ে বেঞ্চ চেঁছে সেখানে লেখা, আর বাথরুমে বই রেখে আসা। সে অবশ্য সেগুলোতে তেমন উৎসাহ পেত না।

পরীক্ষার কক্ষে গিয়ে সে দেখল, তার উত্তরগুলোর মধ্যে থেকে সব কটিই পরীক্ষায় এসেছে। একে একে সেগুলো বের করে ধীরে সুস্থে পরীক্ষার খাতায় লেখা শুরু করল। সব কটিই লেখার শেষে আবার আগের জায়গায় রেখে দিল, কিন্তু বাদ সাধল শেষেরটা লেখার সময়। লেখা শেষে ফেলে দিতে যাবে, এমন সময় বিদ্যালয়ে মার দেওয়ার জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত গেম টিচার এসে তার সামনে বসলেন। তার সিটটা পড়েছিল দরজা দিয়ে ঢুকেই ডান পাশের প্রথম বেঞ্চে আর স্যার এসে বসলেন বাঁ পাশের একেবারে শেষ বেঞ্চে। যাতে সামনে–পেছনে সবদিকেই নজর রাখা যায়। তার মেরুদণ্ড দিয়ে একটা শীতল স্রোত বয়ে গেল। এই বুঝি তীরে এসে তরি ডুবল।

সে খাতার ভেতরে হাত দিয়ে নকলের কাগজটাকে শক্ত করে ধরে রাখল, যাতে স্যার অন্যদিকে দৃষ্টি ফেরানোমাত্রই সে সেটাকে ছুড়ে ফেলতে পারে কিন্তু স্যার আর অন্যদিকে দৃষ্টি ফেরান না। একেকটা সেকেন্ডকে মনে হচ্ছিল একেকটা দিন। সময় যেন থেমে গেল। সে যেন অনন্তকাল ধরে ওই কাগজের টুকরাটা আঁকড়ে ধরে বসে আছে। অবশেষে স্যার কয়েক সেকেন্ডের জন্য অন্যদিকে দৃষ্টি ফেরানোমাত্রই গায়ের সর্বশক্তি দিয়ে কাগজটাকে পেছনের দিকে টান দিল, হ্যাঁচকা টানে সেটা যে কোথায় গিয়ে পড়ল। এরপর একটু রিভিশন দেওয়ার ভান করে সে স্যারকে খাতাটা জমা দিয়ে দিল। এরপর সে মনে মনে তওবা করল জীবনেও আর নকল করবে না।

কথায় আছে কুকুরের লেজ কখনই নাকি সোজা হয় না, আর হাসান তো শাখামৃগের বংশধর। তাই সংশোধনের কোনো প্রশ্নই আসে না। মাধ্যমিক পরীক্ষার হলে ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলছে। সিট পড়েছে জিলা স্কুলে। তাদের সঙ্গে অন্য আরেকটা স্কুলের সিট পড়েছিল। তার পাশের ছেলেটা ইংরেজির নজরুল গাইডের একটা পাতা ছিড়ে পকেটে করে নিয়ে এসেছে কিন্তু ভয়ে বের করতে পারছে না, উল্টো ঘামা শুরু করেছে দেখে সে বলল, পাতাটা আমাকে দাও। ছেলেটা যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচল। সে পাতাটা হাতে নিয়ে দেখে প্রশ্নটা পরীক্ষায় এসেছে। সে বলল, ধুরো মিয়া, দাঁড়াও আমি আগে লিখে নিই, তারপর তোমাকে দেখাচ্ছি।

লেখা শেষ করে হাসান তার পাশের ছেলেটাকে বলল, তোমার পাশের জানালা দিয়ে পাতাটা বাইরে ফেলে দাও। এরপর তাকে বলল, তুমি আমার খাতা দেখে দেখে লেখো। উত্তর লেখা শেষ করার পর বেচারার মুখে দেখি কৃতজ্ঞতার হাসি। আসলে যারা কখনই নকল করেনি, তাদের জন্য নকল করাটা অনেক কঠিন কাজ কিন্তু হাসানের আগে থেকেই অভ্যাস থাকায় তার কাছে সেটা ছিল অনেকটা ডালভাতের মতো একটা ব্যাপার। ভাত আর ডাল মিশিয়ে শুধু একটা চুমুক, চাবানোর কোনো ঝামেলা নেই। এভাবেই মাধ্যমিকের পাট শেষ হলো।

হাসানের জীবনে এরপর আর নকল করার দরকার পড়েনি, কারণ জেলার সবচেয়ে ভালো কলেজে ভর্তি হয়ে পড়াশোনার একটা দারুণ পরিবেশ পেয়ে গেল। আর পড়াশোনাটা যেহেতু তার কাছে বোঝা ছিল না, তাই ইচ্ছামতো পড়ত কোনো সময় না মেনেই। এভাবে স্নাতক শেষ করে করপোরেট চাকরি করে অবশেষে সে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দিল। সরকারি চাকরি স্থায়ীকরণের তিনটি পূর্বশর্তের একটি হচ্ছে পরীক্ষায় পাস করা। মোট তিনটি পরীক্ষা, তার মধ্যে একটা তাদের বিষয়ভিত্তিক, অন্য দুটি বাংলাদেশের যত আইনকানুন আছে, সেই বিষয়ে। যেগুলো তার কাছে একেবারেই অপ্রয়োজনীয় মনে হয়।

তার মনে হয় বাংলাদেশের সরকারি চাকরিজীবীরা এত আইনকানুন জানেন বলেই হয়তোবা এর ফাঁকফোকরগুলোও ভালোমতোই জানেন এবং সেগুলো পেশাজীবনে কাজেও লাগান। যাহোক মুখস্থবিদ্যার প্রতি তার বরাবরই অনীহা। সে কারণেই বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে যেখানে তার নম্বর সব সময় নব্বই থেকে এক শর মধ্যে ওঠা–নামা করলেও বাংলা এবং ইংরেজিতে মোটামুটি টেনেটুনে পাস করে এসেছে সব সময়। আর আইনকানুন তো আরও এককাঠি নীরস। তাই যথারীতি সে আবারও পঞ্চম শ্রেণির উপায় অবলম্বন করবে বলে স্থির করল। প্যান্টের বড় আকারের বিভিন্ন পকেটে বইয়ের বিভিন্ন পাতা নিয়ে গেল। সবকিছু ঠিকমতোই চলছিল কিন্তু বাদ সাধল বাঁ পকেটের পাতাগুলো।

তার সিট পড়েছে দেয়ালের পাশে। বেঞ্চে তার বাঁয়ে একজন এরপর হাঁটার জায়গা। সে পকেট থেকে বইয়ের পাতাগুলো বের করে খাতার নিচে রেখে লিখে চলল। এভাবে তিনটি প্রশ্নের উত্তর প্রায় শেষ করে এনেছে। ঠিক তখনই হঠাৎ মাঝের হাঁটার জায়গা থেকে পরীক্ষকের গলা শোনা গেল। এই ছেলে দাঁড়াও। হাসান প্রথমে বুঝতে পারল না যে কাকে দাঁড়াতে বলছে। কারণ তার খাতার নিচের পাতাটা স্যারের দেখার কথা নয়। তখন স্যার বললেন, এই যে তোমার পকেটে ওইগুলো কী, আমাকে দাও। তখন হাসান বুঝল তার বাঁ পকেটে রাখা বইয়ের পাতাগুলো উঁকি দিচ্ছে হাঁটু ভাঁজ করে বেঞ্চে বসার কারণে। হাসান তৎক্ষণাৎ দাঁড়িয়ে গেল আর ডান হাতটা দিয়ে খাতার ভেতরের পাতাগুলোকে ডান পকেটে পুরে দিল। স্যার তাকে সব দিয়ে দিতে বললেন। সেও সুবোধ ছেলের মতো সব দিয়ে দিল। এরপর তার খাতা জমা নিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দেওয়া হলো এবং একসময় খাতা ফেরত দেওয়া হলো। এরপর সে একেবারে উড়োজাহাজের গতিতে লিখে পরীক্ষা শেষ করল এবং এই মর্মে তওবা করল, অনেক হয়েছে আর না। বাকি দুটি পরীক্ষা ভালোভাবেই দেবে। মজার ব্যাপার, খাতা নিয়ে নেওয়ার কারণে সবাই ধারণা করেছিল হাসান হয়তো সেই পরীক্ষায় ফেল করবে কিন্তু কাকতালীয়ভাবে সে পাস করে যায়।

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাটা দিনে দিনে বাণিজ্যিকীকরণের কারণে সেটার মধ্যে আর এখন আনন্দের লেশমাত্র অবশিষ্ট নেই। শিক্ষিত বাবা–মায়েদের স্ট্যাটাসের পরিচয় বহন করে তাদের ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ের নাম। তাই ছেলেমেয়ের পেছনে বাবা–মায়েরা লেগে থাকে আঠার মতো। বছর শেষে একটা ভালো নম্বরপত্র হয়তোবা মিলে সেই সঙ্গে শ্রেণিতে একটা ভালো অবস্থান কিন্তু ছেলেমেয়েরা শিখছে না কিছুই। হাসানেরা নকল করার পরও যতখানি শিখেছে, এখনকার ছেলেমেয়েরা তার সিকি ভাগও শিখছে না বলেই তার বিশ্বাস। সবকিছুই তারা ভালো নম্বর পাওয়ার লোভে মুখস্থ করে ফেলছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের কোনো পথ আদৌ বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা খুঁজে পাবে কি না, তার জানা নেই।