দক্ষিণ কোরিয়ায় রথযাত্রা উদ্যাপিত

জগন্নাথদেবের রথ নিয়ে ভক্তদের যাত্রা। ছবি: সংগৃহীত
জগন্নাথদেবের রথ নিয়ে ভক্তদের যাত্রা। ছবি: সংগৃহীত

করোনা–পরিস্থিতিতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কোরিয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন ‘পূজা পরিষদ, দক্ষিণ কোরিয়া’র উদ্যোগে রাজধানী সিউলের কাছে গত ২৮ জুন উদ্‌যাপিত হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের রথযাত্রা ও পূজা পরিষদের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

২০১৯ সালের রথযাত্রার উৎসবের দিনে দক্ষিণ কোরিয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন হিসেবে পূজা পরিষদের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল।

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পূজা পরিষদ দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত স্বল্পসংখ্যক বাংলাদেশ, ভারত ও কোরিয়ার সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তদের উৎসবে অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানায়।

রথযাত্রা উপলক্ষে জগন্নাথদেবের উদ্দেশে ৫৬ পদের ভোগ নিবেদন করা হয়। পূজা শেষে বর্তমান মহামারি থেকে মুক্তি পেতে ও বিশ্বশান্তি কামনায় প্রার্থনা করা হয়। প্রার্থনা শেষে উপস্থিত ভক্তরা মিলে জগন্নাথদেবের রথ নিয়ে যাত্রা শুরু করেন এবং এক কিলোমিটার রাস্তা পরিক্রম করে আবার পূজামণ্ডপে ফিরে আসেন। রথযত্রা পরিক্রমা শেষে উপস্থিত ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।

জগন্নাথদেবের রথ তৈরির সাজসজ্জায় এবং মহাপ্রসাদ তৈরি ও বিতরণে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন দোলন দাস, পাঞ্চালী মিত্র, শুফল দত্ত, পঙ্কজ দত্ত, নয়ন কুমার দে, মৃদুল সোম, পুষ্পক কুমার ধরসহ অনেকে। জগন্নাথদেবের পূজায় পৌরোহিত্য করেন গগন সরকার ও শিশির চক্রবর্তী।

দক্ষিণ কোরিয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন ‘পূজা পরিষদ, দক্ষিণ কোরিয়া’র উদ্যোগে রথযাত্রা ও পূজা পরিষদের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়। ছবি: লেখক
দক্ষিণ কোরিয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন ‘পূজা পরিষদ, দক্ষিণ কোরিয়া’র উদ্যোগে রথযাত্রা ও পূজা পরিষদের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়। ছবি: লেখক

পরিশেষে পূজা পরিষদের সভাপতি হাসি রানী বাড়ৈ, সহসভাপতি দেবাশীষ হালদার, সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দত্ত ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মৃদুল সোম উপস্থিত ভক্তদের ধন্যবাদ জানান। তাঁরা বলেন, করোনা–পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক জনসমাগম না করার নির্দেশনা ছিল। তাই দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত সনাতনী দাদা–দিদিদের আমন্ত্রণ জানানো সম্ভব হয়নি। এ জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তাঁরা।

পূজা পরিষদের পক্ষ থেকে আগত ভক্তদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মাস্ক বিতরণ করা হয়। সবশেষে পূজা পরিষদের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ ও সবার মঙ্গল কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।


*লেখক: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, পূজা পরিষদ, দক্ষিণ কোরিয়া