কানামাছি

.
.

হেবো: এই ন্যাড়া, এই গুয়ে, এই খেঁদি! আয় ভাই কানামাছি খেলি
এই গুয়ে, তুই ভাই কানামাছি।
গুয়ে: না ভাই, তা কেন, এস গোনা হোক—
আইকম বাইকম তাড়াতাড়ি
যদু মাস্টার শ্বশুর বাড়ি
রেন কম ঝমাঝ্ঝম!
পা পিছলে আলুর দম!
এই রে, ন্যাড়া চোর। নে ওর চোখ বাঁধ। আচ্ছা রেডি—
সকলে: কানামাছি ভোঁ ভোঁ যাকে পাবি তাকে ছোঁ,
কানামাছি ভোঁ ভোঁ যাকে পাবি তাকে ছোঁ!
ন্যাড়া: ওরে বাবারে! ওরে বাবারে! (কান্না)
খেঁদি: ওঠ ভাই লক্ষ্মীটি, কাঁদতে নেই।
ন্যাড়া: না ভাই, আমি আর খেলব না। আমার বড্ডো লেগেছে।
হেবো: চোর দেয় না বাড়ি যায়
হাঁড়ি-বাড়ি ভাত খায়।
খেঁদি: ছি ছি ছি, দেখছিস, ওরা কি বলছে? ওঠ চল খেলি চল।
ন্যাড়া: উঃ, আমার ভয়ানক লেগেছে! কাঠটা শক্ত যেন কাঠ!
গুয়ে: না রে, ওটা কাঠ না, ওটা তালগাছ। দাঁড়া না, ওকে হুলোই।

(গান)
ঝাঁকড়া-চুলো তালগাছ, তুই দাঁড়িয়ে কেন ভাই?
আমার মতন পড়া কি তোর মুখস্থ হয় নাই।
তুই দাঁড়িয়ে কেন ভাই?
আমার মতন এক পায়ে ভাই
দাঁড়িয়ে আছিস কান ধরে ঠায়
একটুখানি ঘুমোয় না তোর
পণ্ডিত মশাই।
তুই দাঁড়িয়ে কেন ভাই।
মাথায় তুলে পাততাড়ি তোর
কি ছাই বকিস বকর বকর?
আমতা আমতা করে নামতা
পড়িস কি সদাই?
তুই দাঁড়িয়ে কেন ভাই।
তালগাছ, তোর মাথার কোলে
বাবুই পাখির বাসা ঝোলে,
কোচর-ভরা মুড়ি যেন-
দে না দুটি, খাই।
তুই দাঁড়িয়ে কেন ভাই!!
পাখিরা তোর মাথায় এসে
উড়ে এসে জুড়ে বসে,
ঠুকরে ওরা দেয় কি মাথায়,
পাতা নাড়িস তাই?
তুই দাঁড়িয়ে কেন ভাই।