মেলবোর্নে সংক্রমণ বাড়ছে

অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং তাতে মৃত্যু সমানতালে বাড়ছে। এবার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে দেশজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১৩ জন। এর মধ্যে বেশির ভাগই হচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর মেলবোর্নের রাজ্য ভিক্টোরিয়ার বাসিন্দা।

ওই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭২৩ জন এবং যে ১৩ জন আজ মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা সবাই ভিক্টোরিয়ার বাসিন্দা ছিলেন। বর্তমানে ভিক্টোরিয়ায় কঠোর জনস্বাস্থ্যবিধি বলবৎ রয়েছে। এই মাসের প্রথম থেকেই রাজ্যটি ছয় সপ্তাহের লকডাউনে রয়েছে। তবে সংক্রমণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধির কারণে লকডাউন দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে।

আগামী রোববার রাত থেকে রাজ্যে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক হিসেবে জারি রয়েছে। সীমান্ত বন্ধ রয়েছে দেশের অন্য সব রাজ্যের সঙ্গে। এ ছাড়া সিডনির রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসে আজ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ জন। এই রাজ্যে এবার এই দ্বিতীয় ধাপের প্রাদুর্ভাবে তুলনামূলক আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও কোনো কারণে ভিক্টোরিয়া রাজ্যের মতো বেড়ে যায় কি না, এ নিয়ে রাজ্য সরকার থেকে সাধারণ নাগরিক তীব্র শঙ্কায় আছেন। ফলে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক না হলেও গণপরিবহনে মাস্ক পরিধান করার অনুরোধ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান।

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিডনিতে বেশির ভাগ প্রবাসী বাংলাদেশিদের বসবাস। এখানেই একজন বাংলাদেশি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তবে এখন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। অন্যদিকে, সংক্রমণের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় আজ সিডনির কয়েকটি বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া বৃহত্তর সিডনি থেকে সংক্রমণ ঠেকাতে কুইন্সল্যান্ড রাজ্য তাদের সীমান্ত আবার বন্ধ করে দিয়েছে নিউ সাউথ ওয়েলসের সঙ্গে।

আগামীকাল শুক্রবার এবং পরশু—এই দুই দিনে এখানে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ঈদ উপলক্ষে দেশটিতে বসবাসরত মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি এই মহামারি কাটিয়ে উঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৯৬ এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮৯ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ হাজার ৯৭৭ জন আক্রান্ত এবং ৯ হাজার ৬১৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।