৫০ পয়েন্টে অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী ভিসা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সংক্রমণ রোধে অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্তেও রয়েছে কড়া নিরাপত্তা। এ কঠিন সময়ে দেশটি খুব কমসংখ্যক নতুন প্রবাসীদের ভিসা প্রদান করছে। আর পয়েন্ট ভিত্তিক ভিসার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা এত বেশি যে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৯০ পয়েন্টেও ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে এমন একটি ভিসা রয়েছে যেখানে মাত্র ৫০ পয়েন্টেও অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী বাসিন্দার ভিসা পাওয়া সম্ভব।

দেশটির কুইন্সল্যান্ড রাজ্য দিচ্ছে ছোট ব্যবসার মালিকদের সাব ক্লাস ৪৯১ ভিসা। ১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার মূল্যের ব্যবসার পূর্ণ মালিকানা থাকলেই হওয়া যাবে দেশটির স্থায়ী বাসিন্দা। স্টার্ট-আপ ব্যবসা অর্থাৎ নতুন ব্যবসার মালিকানা গ্রহণযোগ্য নয়। অবশ্যই ইতিমধ্যে চালু রয়েছে এমন ব্যবসা কিনতে হবে এবং আবেদন করার পূর্বে অন্তত ৬ মাস ব্যবসা করার প্রমাণপত্র দেখা হবে। প্রথমে অস্থায়ী সাব ক্লাস ৪৯১ ভিসা তারপর নির্ধারিত শর্তপূরণ হলে মিলবে স্থায়ী ভিসা।

অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী বাসিন্দার ভিসা পাওয়ার বেশ কিছু বিকল্প আছে, তবে যাদের মধ্যে উদ্যোক্তা সুলভ চেতনা আছে তাদের জন্য এটি একটি ভালো সুযোগ। ছোট ব্যবসার মালিক সাব ক্লাস ৪৯১ ভিসাটি রাজ্য সরকার কর্তৃক মনোনীত ভিসা। আর বিজনেস স্কিলড মাইগ্রেশন কুইন্সল্যান্ড (বিএসএমকিউ) হচ্ছে কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের মনোনয়ন প্রদানের দপ্তর।

এই ভিসাটির সুবিধাগত অন্যতম দিক হলো ৪৯১ ভিসাটিতে কোনো পেশার সীমা নেই। অর্থাৎ, যেকোনো পেশার প্রবাসীরাই এ ভিসায় আবেদন করতে পারবেন। একজন প্রকৌশলী চাইলে বেকারি ব্যবসা কিনতে পারবে আবার একজন ডাক্তার মোটর গ্যারেজ ব্যবসার মালিক হয়ে আবেদন করতে পারবেন।

ভিসাটির কিছু আবশ্যিক শর্ত হলো—
১.
সাব ক্লাস ৪৯১ ভিসাটি পয়েন্টভিত্তিক স্কিলড ওয়ার্ক রিজিওনাল (প্রোভিশনাল) ভিসা।

২.
ভিসাটিতে শুধু তারাই আবেদন করতে পারবে যারা অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।

৩.
ভিসাটিতে আবেদন করতে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) জমা দিতে হবে।

৪.
ভিসাটিতে আবেদন করতে ১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার মূল্যের ব্যবসা কিনতে হবে। সেই সঙ্গে অবশ্যই ক্রয়কৃত ব্যবসার শতভাগ মালিকানা আবেদনকারীর হতে হবে।

৫.
স্টার্ট-আপ ব্যবসা অর্থাৎ নতুন ব্যবসার মালিকানা গ্রহণযোগ্য নয়। অবশ্যই ইতিমধ্যে চালু রয়েছে এমন ব্যবসা কিনতে হবে।

৬.
ক্রয়কৃত ব্যবসায় কমপক্ষে একজন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক কর্মী থাকতে হবে যে কি না সপ্তাহে অন্তত ২০ ঘণ্টা কর্মরত থাকবেন। অস্ট্রেলীয় কর্মী আবেদনকারীর পরিবারের সদস্য কিংবা ঠিকাদার হওয়া যাবে না।

৭.
আবেদনকারীকে ৫০ পয়েন্ট পেতে হবে। সেই সঙ্গে অবশ্যই নিজের পেশার স্কিল অ্যাসেসমেন্ট থাকতে হবে।

৮.
আবেদন করার পূর্বে অন্তত ৬ মাস ব্যবসা করার প্রমাণপত্র দেখা হবে তবে আবেদনকারীকে এই ৬ মাস কুইন্সল্যান্ড কিংবা যেকোনো রিজিওনাল এলাকায় বসবাস করলেই হবে। তবে ব্যবসা যে এলাকায় সেখানেই বসবাস করার কোনো বাধ্যকতা নেই।

সাব ক্লাস ৪৯১ ভিসার বিস্তারিত জানা যাবে কুইন্সল্যান্ড রাজ্য সরকারের এই ওয়েবসাইট থেকে-বিএসএমকিউ।

*লেখক: অভিবাসন আইনজীবী, অস্ট্রেলিয়া