লস অ্যাঞ্জেলেসে অমর একুশ উদ্যাপন

অস্থায়ী মিনারে পুষ্পার্ঘ্য নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা
অস্থায়ী মিনারে পুষ্পার্ঘ্য নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

বিনম্র শ্রদ্ধায় লস অ্যাঞ্জেলেসে মহান একুশ উদ্‌যাপিত হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১ মিনিটে স্থানীয় চার্লিস এইচ কিম এলিমেন্টারি স্কুলে অস্থায়ী শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্যে দিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসপ্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহিদদের স্মরণে তাঁদের শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে। দলমত-নির্বিশেষে সবাই পুষ্পার্ঘ্য অর্পণে অংশ নেয়। লস অ্যাঞ্জেলেসের মোট ২১টি সংগঠন পুষ্পার্ঘ্য অর্পণে অংশ নেয়। লটারির মাধ্যমে সংগঠনের নাম নির্ধারণ করা হয়। প্রথম পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল সুলতানা লায়লা হোসেন ও তাঁর সহকর্মীরা। এরপর বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এবারের আয়োজন ছিল সুশৃংখল ও সুসংগঠিত। কোনো প্রকার বিতণ্ডা ছাড়াই প্রবাসীরা ভাষাশহীদদের প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করতে পেরেছেন।

অস্থায়ী মিনারে পুষ্পার্ঘ্য নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা
অস্থায়ী মিনারে পুষ্পার্ঘ্য নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা


এর আগে রাত নয়টার পর জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। শিশু-কিশোরদের কবিতা আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক গানের পর প্রবাসী কবিরা তাঁদের স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কনসাল জেনারেল সুলতানা লায়লা হোসেন।
কনসাল জেনারে​ল তাঁর সং‌ক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, আগামী দিনে লস অ্যাঞ্জেলেসে সত্যিকারের একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করে তাতে প্রবসীদের পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের জন্য তিনি ব্যবস্থা নেবেন। তাঁর এ প্রস্তাবকে প্রবাসীরা হাততালি দিয়ে স্বাগত জানান এবং তাঁরা আগামী বছরই এর প্রতিফলন দেখতে চান।