বাংলা শেখার হাতেখড়ি

বাংলা শেখার হাতেখড়ি
বাংলা শেখার হাতেখড়ি

লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে মহান একুশ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আয়োজন করা হয়েছিল ভিন্নধর্মী এক অনুষ্ঠানের৷ ব্রিটেনে জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিশুদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মাধ্যমে এসো বাংলা শিখির হাতেখড়ি। সুন্দর এ অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামী যুবলীগ। এতে বেলা তিনটা থেকে লন্ডনপ্রবাসী নানান বয়সের ছেলেমেয়েরা অংশ নেয়। এ সময় মা-বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের উপস্থিত থেকে শিশুদের উৎসাহ-উদ্দীপনা দিতে দেখা যায়। সন্ধ্যা ছয়টা অবধি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা চলে। দুই বিচারক আবু জাফর ও ফখরুজ্জামান আঁকা ছবিগুলো দেখেন।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পর শুরু হয় সংগীতানুষ্ঠান।

প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের ক্রেস্ট প্রদানের দৃশ্য
প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের ক্রেস্ট প্রদানের দৃশ্য


এর আগে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা খলিল কাজী ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান শরীফ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে পারেননি। তাঁর শিশুদের এসো বাংলা শিখির হাতেখড়ি দেওয়ার কথা ছিল৷ তাঁর অনুপস্থিতিতে সুলতান শরীফ ও খলীল কাজী শিশু-কিশোরদের এসো বাংলা শিখি হাতেখড়ি দেন। ছোট ছেলেমেয়েরা সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে হাতেখড়ি নেয়।
সংগীতানুষ্ঠানে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন স্মৃতি আজাদ। সংগীত পরিবেশন করেন শম্পা দেওয়ান, তাহেরা, সালমা, সুমি, রুবি হক, মুজিবুল হকসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ক বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে ফাইজা, দ্বিতীয় রাফায়েল আর তৃতীয় হয়েছে নেহাল চৌধুরী। খ বিভাগে প্রথম হয়েছে শারমিলা আলম, দ্বিতীয় প্রিয়তি আজাদ, তৃতীয় ইতিহাদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের দুই অতিথি ও বিচারক এবং বিশেষ অতিথি আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বিজয়ীদের ক্রেস্ট দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়াসমিন সুলতানা ও সাধারণ সম্পাদিকা সাজিয়া স্নিগ্ধা।